আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের সোচ্চার হতে হবে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

গত রবিবার (৩০ এপ্রিল) জার্মানির মিউনিখের একটি হোটেলে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

জার্মান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুম মিয়া, জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী, জার্মানি প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রোমান মিয়া, রেহমান হাবিব খোকন, নীতিশ কুন্ডু, মফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দীন, গোলাম মোহাম্মদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য যারা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত তাদের স্বরূপ উন্মোচন করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নচিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।

তিনি আরো বলেন, "স্বাধীনতাবিরোধীরা ও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এখনো দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর। অথচ নেতিবাচক, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীরা। তারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এ অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের সোচ্চার হতে হবে।

আরও পড়ুন >> রাজউকের গায়েব হওয়া ২৬ হাজার নথি উদ্ধার

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, আমাদের নেতা শেখ হাসিনা, আদর্শ বঙ্গবন্ধু, দেশ বাংলাদেশ, চেতনা মুক্তিযুদ্ধের। আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর চেয়ে বড় সম্পদ বাংলাদেশের জন্য আর দ্বিতীয়টি নেই। আইএমএফ প্রধান সম্প্রতি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সেজন্য  প্রবাসীরা বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে শেখ হাসিনাকে  সমর্থন দিতে হবে। তাকে ঘিরে দেশে ও প্রবাসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে, বিদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধুর কথা বলছে, শেখ হাসিনার কথা বলছে। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় প্রবাসীদের এ অবদান অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বিদেশে তুলে ধরার জন্য প্রবাসীদের দায়িত্ব নিতে  হবে।

এদিন মন্ত্রী জার্মানির মিউনিখে পৌঁছালে সেখানে বসবাসরত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার স্পেনের বার্সেলোনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাতালোনীয়া, স্পেন শাখা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন মন্ত্রী। স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম, স্পেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান বিজয়, কাতালোনীয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, স্পেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খাদিজা আকতার মনিকা, কাতালোনীয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসানসহ স্পেন আওয়ামী লীগ ও কাতালোনীয়া আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



জ্যাকলিনের অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের অ্যাপার্টমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, তখন বাড়িতে ছিলেন না জ্যাকলিন। অভিনেত্রী এখন দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে।

মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার পালি হিল অঞ্চলের নাওরোজ হিল সোসাইটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বুধবার (০৬ মার্চ)। বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বাসস্থান এটি। যদিও সরাসরি জ্যাকলিনের ফ্ল্যাটে আগুন লাগেনি, লেগেছে তার নিচ তলায়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জ্যাকনিল তার নতুন বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

মুম্বাইয়ের পালি হিলে এখন তার বাস। সেখানেই রণবীর কাপুর থেকে শুরু করে সাইফ আলি খানের বাড়ি রয়েছে। এবার সেখানেই দেখা গেল আগুন। কিছু মানুষ তা লক্ষ্য করেই খবর দেয় দমকল বাহিনীকে।

বুধবার ঘটে এই অঘটন। যদিও প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি, কীভাবে আগুন লেগেছে। ভিডিও দেখা মাত্রই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে অনুরাগীদের। সকলেই তার বাড়ির ভেতরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন। যদিও আগুন লাগে অ্যাপার্টমেন্টের ১৪ তলায়। ঠিক তার ওপরেই জ্যাকলিনের ফ্ল্যাট। তিনি থাকেন ১৫ তলায়। দ্রুত দমকল এসে পরিস্থিতি সামল দেন।

বর্তমানে ক্যারিয়ার নিয়েই সমস্যায় রয়েছেন জ্যাকলিন। ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাজেহাল অবস্থা অভিনেত্রীর। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে তার নাম জড়াতেই তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এরপর থেকেই বলিউডের সঙ্গে বাড়ে জ্যাকলিনের দূরত্ব। হাতে নেই তেমন সিনেমা, নেই কোনও কাজের প্রস্তাব। যদিও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি কনসার্টে তাকে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে সুকেশের এই মামলার জাল থেকে বেরিয়ে আসতে চান অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে আবারও আগের মতোই কাজ করে যেতে চান।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন: ফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদশী কয়েকজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভোট বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়। তখন থেকেই স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপির প্যানেলের প্রার্থীরা রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন। তারা নির্বাচন কমিশনকে ভোট গণনা করে ফল ঘোষণা করতে বলেন। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক শুক্রবার বেলা ৩ টায় দিনের আলোতে ভোট গণনা চাচ্ছিলেন।

এ বিষয় নিয়েই একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়। শুক্রবার ভোরে হাতাহাতি মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে কয়েকজন আইনজীবী আহত। যেখানে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে মারধর করা হয়। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বহিরাগতরা এই হামলা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানিয়েছে।

এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। তিনি বলেন, ভোট গণনার সময় অন্য সম্পাদক প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুপ্রিম কোর্টে এসে বহিরাগতদের বের করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ভোটের বাক্সগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হকবলেন, ভোট তো গণনাই হয়নি। সকাল ৮ টার পর পুলিশের পাহারায় আমি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাসায় চলে এসেছি। আমাদের নেতৃবৃন্দ সার্বিক বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।

বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভোটের পর আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও আমরা ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। আমরা এখন ব্যালট বাক্সও খুজে পাচ্ছি না, নির্বাচন কমিশনকেও খুজে পাচ্ছি না।

শুক্রবার সকালে দেখা যায় ভোটের ব্যালট বাক্স সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে পুলিশের পাহারায় রয়েছে। এই প্রাঙ্গণে আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্য ছাড়া কোন দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনের শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। দুইদিনে সাত হাজার ৮৮৩ জন আইনজীবীর মধ্যে পাঁচ হাজার ৩১৯ আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।


আরও খবর



জয় বাংলা স্লোগান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

জয় বাংলা স্লোগানকে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে জাতির জন্য স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন জাতির পিতা। এমন একটি ভাষণ এটি যেখানে বঙ্গবন্ধু এক কথা দুইবার উচ্চারণ করেননি। অথচ সব দিক নির্দেশনা সেখানে ছিলো।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ প্রদাণে বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার বক্তৃতায় এটা বলবেন ওটা বলবেন। বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বললেন "আপনি আপনার মনের কথা কথা বলবেন"।

তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিলো। তাঁর নির্দেশনা মেনে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিলো।

দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ মাইকে এটি বাজালে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। সেই ভাষণ এখন আমাদের গর্বের বিষয়। ইউনেস্কো এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ি ভাষণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন, সাবেক অধ্যক্ষ মো: শরিফুল ইসলাম খান, সাবেক ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: আফজাল হোসেন এবং নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: আবু বক্কার সিদ্দিক।

এসময় খাদ্যমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন।

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।


আরও খবর



হাতবদলেয় ৪০ টাকার পাইকারি লেবু খুচরায় ৮০

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাস কেন্দ্র করে লাগামহীন দেশের নিত্যপণ্যের বাজার। এর প্রভাবে বাজারে ক্রেতার ঘাম ঝরাচ্ছে ইফতারির অন্যতম অনুসঙ্গ লেবুর চড়া দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে শুক্রবার (১৫ মার্চ) দেখা যায়, পাইকারি ৪০ টাকা হলেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কোথাও কোথাও আবার সেটি চাওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, লেবুর দাম কমতে শুরু করেছে। মূলত রোজার আগে ও শুরুর দিকে ক্রেতারা দাম বাড়ার শঙ্কায় বেশি বেশি লেবু কিনে মজুত করেছেন। যার প্রভাব পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর।

সবজি বিক্রেতা আজিজ বলেন, রোজা এলেই ক্রেতারা পণ্য কিনে ফ্রিজ ভর্তি করা শুরু করে। এতে সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়ে। এ ছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটও রয়েছে। যার প্রভাবে বেড়েছে লেবুর দাম।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারিতে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর শ’প্রতি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়।

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামে দ্বিগুন পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে হাতবদল হলে এমনিতেই পণ্যের দাম বাড়ে। কারণ পাইকারি দামের সঙ্গে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হয়। তাছাড়া অসাধুদের দৌরাত্ম্যতো রয়েছেই।

ক্রেতারা বলছেন, ইফতারিতে বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য লেবু। সিন্ডিকেট করে সেটির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। রোজার মাসেও তাদের দৌরাত্ম্য কমেনি।

এদিকে সম্প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত লেবুর দাম কত হবে তা সমন্বয়ের কাজ চলছে। তবে বাজারে লেবুর হালির সর্বোচ্চ দাম হওয়া উচিত ৪০ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




এক বছরে চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ। তবে দেশের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষকই এখন সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬.৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি। এরই মধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারেন না। এমনকি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে কৃষক নিজে যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে তিনি তা-ই বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩-এ বলা হয়েছে, পেশাগত জায়গায় শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারের মধ্যে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কৃষক পরিবার নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকটে রয়েছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্য পেশাগুলোর ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর চেয়ে অনেক কম। যারা শিল্প খাতে কাজ করেন তাদের খাবারের বিপদ সব পেশার মধ্যে সবচেয়ে কম।

শিল্পের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ১৬.৬৪ শতাংশ। সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে তা ২০.২৮ শতাংশ, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারের ২০.০৩ শতাংশ, অন্য পেশার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৯২ শতাংশ। আর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ০.৮৩ শতাংশ।

বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের ডিসেম্বরের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কৃষিকাজ ছেড়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন হতাশার কারণে তারা এ পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, আয়ের বৈষম্য, যান্ত্রিকীকরণের কারণে কাজের ক্ষেত্র কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে কৃষি পেশা ছাড়ছে মানুষ। অনেক কৃষকই এখন নিজের দেশে চাষ করার বদলে বিদেশে গিয়ে অন্যের জন্য ফসল ফলাচ্ছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই যাচ্ছেন কৃষিকাজে।

শ্রমশক্তি জরিপ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, কৃষি পেশায় যুক্ত কর্মী তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষেও সংখ্যাটি ছিল তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার।

কৃষকদের নিজের পেশা ছেড়ে দেওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে। বিবিএস এখন জিডিপির হিসাব প্রতি প্রান্তিকেই দিয়ে থাকে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের জিডিপি দাঁড়ায় ৬.০৭ শতাংশ। এ প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি এতটা কমেছে যে দেশের খাদ্য উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮৪ শতাংশ। অথচ এর আগের অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.০৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষির প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে। ফলে খাদ্যপণ্যের আমদানিনির্ভরতা আরো বাড়ছে।

কৃষকদের এত বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকরা বিশেষ করে এখন যে উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য এসেছে সেগুলো উৎপাদন করে বিক্রি করে ফেলেন। তারা নিজের খাবারের জন্য যা রাখেন সেগুলো খুবই সামান্য, অপুষ্টিকর। কাজেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তাদেরই বেশি হবে। যেমনতারা দুধ বিক্রি করে ফেলেন, নিজের জন্য রাখেন না। দুধ পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্য রাখেন না। তারা দুধ বিক্রি করে খাদ্য, কাপড়সহ অন্য কিছু কেনেন।

খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় কম। সে হিসাবে তারা মাছ-মাংস কিনে খেতে পারেন না। তারা যেসব শাক-সবজি খান সেগুলোও একেবারেই নিম্নমানের, সব বিক্রি করার পর যা থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পুষ্টি নিয়ে তাদের শিক্ষা বা সচেতনতা কম। সে জন্যও তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি।

দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে রয়েছে তা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ নিজে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নষ্ট হওয়া ও অপচয় কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।


আরও খবর