পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার
(২৯ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ জুন) দেওয়া পৃথক বাণীতে তারা এ শুভেচ্ছা
জানান।
দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, কোরবানি আমাদের মাঝে সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। আত্মদান ও আত্মত্যাগের
মানসিকতা তৈরি করে। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার
মনোভাব জাগ্রত করে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির ২৪ নির্দেশনা
রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা মহামারির অভিঘাত
ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী।
এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে দিনাতিপাত করছে।
সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং
তাদের পাশে দাঁড়াতে দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানদের
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা শান্তি, সহমর্মিতা,
ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর উদ্দেশে প্রিয় বস্তুকে
উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। বিশ্ববাসীর
কাছে হযরত ইবরাহীম (আ.) এর শিক্ষা চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র ইদুল আজহার উৎসব
পালনের সময় সচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানি করে থাকে। কোরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয়স্বজন ও
গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা
করে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সংযম,
সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে
প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ বাড়ল
পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ
করে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ
ও শান্তিপূর্ণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, প্রতিবারের
মতো এবারও ঈদুল আজহা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে।
বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।