আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশ স্বাধীনের দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশির ভাগ সময়ই কেটে গেছে লড়াই আর সংগ্রামে। হত্যা, ষড়যন্ত্র- সবই দেখেছে দলটি। এরই মধ্যে ৭৩ বছর পূর্ণ করল আওয়ামী লীগ নামক দলটি। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেওয়া দলটির ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ৭৪ বছরে পা দিল টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা দলটি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ- ইতিহাসে এই তিনটি নাম একই সুত্রে গাঁথা।

পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে শুধু আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে বিকাশ লাভ করে। পরবর্তী কালে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই দল প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিনত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শামসুল হক।

পকিস্তানের সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষনের বিরুদ্ধে সব আন্দোলন- সংগ্রামে অগ্রনী ভমিকা পালন করেছে দলটি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামারিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪ এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক  সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সমগ্র জাতির জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। এরপর থেকে তিনি শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে। মাঝে এক মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের অনেক নেতাকর্মী হতাহত হন। ২০০১ ও ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর আরেক দফা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে তিন চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আবারও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় দলটি। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত করার লক্ষ্য নির্ধারন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এসব একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারনে সম্ভব হচ্ছে।

সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামীন নারী-শিশুসহ সাধারন মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেই সংগে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ এবং গুনগত মনোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বর্তমানে প্রায় ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে, মহিলা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে।

বিশে^র  বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসূচক সমূহের ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর। 

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি দারিদ্রসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধি সহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনায় বৈশিক মহামারী কোভিড-১৯ এর করাল গ্রাস থেকে দেশের আপামর মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশাল অবকাশ রেখেছে। উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্খিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এছাড়া চলমান রয়েছে, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল সহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ।

১৯৮১ সালের ১৭ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসী সিদ্ধান্তের কারনেই আওয়ামী লীগ আজ দল হিসাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ বছরের অধিক সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশে এর আগে কেউ এত বছর সরকার প্রধান হিসাবে দেশ পরিচালনা করতে পারেননি। এর বাইরে ১১ বছরেরও বেশি সময় তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি আজ আপনার নেতৃত্বে সামরিক শাসনের স্মৃতি পেছনে ফেলে দেশকে বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। আপনার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে, জাতি হিসাবে বাঙালীকে এবং দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়।

আওয়ামী লীগের সর্বমোট ২২ বছরের শাসনামলে দেশের আর্থ-সামাজিক  উন্নয়ন দেশ বিদেশে আলোচিত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২২২৭ মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক রিজাভ রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপিত হয়েছে। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে সাফল্য এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গি দমনে সাফল্য সারা বিশে^ আলোচিত। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকুক আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা কামনা করি।


আরও খবর



বগুড়ায় বহুতল মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়া শহরের বহুতল বাণিজ্যিক বিপণিবিতান মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের সাতমাথার কাছে এম এ খান লেনে অবস্থিত ভবনটির ছয়তলায় এ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর
বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে ট্রেন যাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনের ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রি শুরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টায় অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ৬ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।

আগামী ১০ এপ্রিলকে ঈদের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু হবে।

আজ সকাল ৮টা থেকে বিক্রি হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বর্হিগামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে পাঁচ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার (২৪ মার্চ)। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

ট্রেনের ঈদযাত্রার ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।

এ ছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর
বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনাদের ফেরত পাঠানো হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার থেকে সেনাবাহিনী তিন কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছেন। খুব সহসাই তাদের নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের তিনজন সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে। আগের থাকা বিজেপির ১৭৭ জনকে নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মারমা ইতোমধ্যে প্রস্তাব করেছে। তাদের সঙ্গে এই তিনজনকেও ফেরত পাঠানো হবে।

বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আলাপ আলোচনা মাধ্যমে আমার আশা করছি সহসাই আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে পারব, জাহাজটিও মুক্ত করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবারদাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই।

আজ ভোরে মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলায় টিকতে না পেরে জান্তা বাহিনীর আরও তিন সেনাসদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।

বিজিবির সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে তুমব্রু বিওপিতে নিয়ে যান। বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. মুজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


আরও খবর
বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভাড়া গুনবেন যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এই ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৯৮৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে এসব যাত্রীদের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, তাদের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যরা গত ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু অসাধু বাস মালিক-চালকেরা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। সড়ক ও নৌ-পথের বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিল্যান্স টিমের অস্থায়ী অফিসে সদস্যরা বসে থাকলেও তারা এসব দেখার বা প্রতিকার করার প্রয়োজন মনে করছে না।

ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনও যাত্রী অভিযোগ দিলে তারা ব্যবস্থা নেবেন। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যদের সামনে ভাড়া নৈরাজ্য চললেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে আছেন। তাদের জানিয়ে আর কী লাভ হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌ-পথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে প্রায় ৬০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

রাজধানীতে চলাচলকাররী সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারি ২৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় প্রায় ৭০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ১৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

ইজিবাইক, মোটররিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারি প্রায় ১০ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশায় ১৪ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ২৮০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার লেগুনায় কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।

এবারের ঈদে লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত পরিবহন প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসের প্রায় ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হচ্ছে। এসব যানবাহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিজেদের পরিবহন ব্যবহার করলেও ১৫ লাখ যাত্রীকে ভাড়ায়চালিত যানবাহনে ঈদে বাড়ি যেতে ট্রিপ প্রতি গড়ে ৩৫০০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ১১২ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে ঢাকা থেকে বাসে দূরপাল্লার রুটে ৩০ লাখ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে বাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি সার্ভিস বাসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোনও গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৪ হাজার সিটি বাসে ৪৮ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।

গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছেন। অন্যরা রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০০ টাকা বেশি ভাড়া দিচ্ছেন। এতে ৮ লাখ ৪০ হাজার মোটরসাইকেল যাত্রীদের ২৫ কোটি ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এবারের ঈদে অতিরিক্ত কোচ, ঈদ স্পেশাল হিসেবে অতিরিক্ত রেল রেক যুক্ত করার পরে ঢাকা ৭ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। দৈনিক ৪০ হাজার যাত্রী নিয়মিত টিকিটের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিটসহ ৪৬ হাজার টিকিটধারী যাত্রী হিসেবে ১ সপ্তাহে ৩ লাখ ২২ যাত্রী রাজধানী ছাড়বেন। এর বাইরে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী। এত বড় সংখ্যক যাত্রী বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণে কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের রাজস্ব হারালেও চলমান ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি স্টুয়ার্ড, বেসরকারি কেন্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।


আরও খবর
বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার (৩০ মার্চ) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর