অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও চাহিদা মোতাবেক নথিপত্রসসহ তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুপা
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামিকে জামিন করিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ অনুসন্ধানে তার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুপাকে তলব করেছিল দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সই করা নোটিশে বলা হয়, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও চাহিদা মোতাবেক নথিপত্রসসহ তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুপা ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১ নভেম্বর রিট দায়ের করেন। গত ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুপার রিট আবেদন খারিজ করে দেন। এরপরই দুদকের পক্ষ থেকে রুপার ব্যাংক হিসাব তলব করা হলো।