শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিবৃতি পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিয়ন পিআর নিউজওয়্যার তাদের ওয়েবসাইটে গত ২৮ আগস্ট এই চিঠি প্রকাশ করে।
এক সপ্তাহের মাথায় ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া দাবি করেছিলেন, তাদের বিবৃতির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না। ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’
পরদিনই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি একদম নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আমাদের অফিস থেকে এই ধরনের কোনো বিবৃতি প্রস্তুত হয়নি। গতকাল ওনার (এমরান) ছুটি ছিল। ডিউটি ছিল না। উনি দেখলাম স্যুট-টাই পরে চলে এসেছেন। অফিসে আসেননি, যেখানে রেগুলার ব্রিফিং করা হয়, সেখানে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে উনি কতগুলো কথা বললেন। কী কারণে বললেন, কোন উদ্দেশ্যে বললেন, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। কাকে খুশি করার জন্য কথাগুলো বললেন, আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন। নিশ্চিত থাকেন, অন্য কাউকে খুশি করার জন্য তিনি (এমরান) এটা করেছেন, এই বক্তব্য দিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (এমরান আহমেদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।