দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের
ডেন্টাল ইউনিটের (বিডিএস) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (৫ মে) অনুষ্ঠিত
হবে। এদিন এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১১টায়।
এ বছর ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে
মোট আবেদন করেছেন ৩৭ হাজার ৫২৮ জন শিক্ষার্থী। ১২টি কেন্দ্রের ১৬টি ভেন্যুতে একযোগে
এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা
গেছে, সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৫৪৫টি। আবেদনের সংখ্যা
অনুযায়ী এবার প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৮ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ববির ৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক
জানা গেছে, সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল
ইউনিটে মোট আসনের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন ৫৩০টি আসনে। মুক্তিযোদ্ধা
কোটায় আবেদনকারীরা পাবেন ১০টি আসন। পার্বত্য তিন জেলার উপজাতিদের জন্য রয়েছে ৩টি এবং
অন্যান্য জেলার উপজাতিদের জন্য থাকবে ২টি আসন।
৫৪৫টি আসনের মধ্যে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে
১১০টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৬০টি, এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে
৫২টি, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ৫২টি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ৫৯টি, রংপুর মেডিকেল কলেজে
৫২টি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ৫৬টি, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ৫২টি ও স্যার
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে আসন রয়েছে ৫২টি।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই : শিক্ষামন্ত্রী
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ
ও ডেন্টাল ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয় গত ২৮ মার্চ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়েছিল, ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ মে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন
করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন শেষ হবে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। আবেদন ফি জমা দেওয়ার
শেষ সময় ৯ এপ্রিল। ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১
ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক নম্বরবিন্যাস—জীববিজ্ঞান ৩০,
রসায়নবিদ্যা ২৫, পদার্থবিদ্যা ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস
ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০।
লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের
জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীরা
অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।
এদিকে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
* পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের
ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড
ও রিফিল দেখা যায়, এমন কালো কালির বলপয়েন্ট কলম নিয়ে নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে
সকাল সাড়ে ৯টার আগেই প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে
প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
* পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর,
হাতঘড়ি, পকেটঘড়ি বা অন্য কোনো ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ও গেজেট নিয়ে প্রবেশ করা সম্পূর্ণভাবে
নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে উল্লিখিত ডিভাইস পাওয়া গেলে অথবা কাউকে
এ ধরনের কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে দেখা গেলে তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
* উত্তর প্রদান করার আগে পরীক্ষার্থীকে
প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত উত্তরপত্রটি (OMR Sheet) নিজ দায়িত্বে সাবধানতার সঙ্গে
আলাদা করে নিতে হবে এবং উত্তরপত্রে উল্লেখিত নির্দেশাবলী প্রতিপালন করতে হবে।
* প্রবেশপত্র অনুযায়ী উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট
স্থানে স্বাক্ষর দিতে হবে এবং স্পষ্টভাবে নাম লিখতে হবে। উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট বৃত্তগুলো
ভরাট করা এবং নির্দেশিত স্থানে যথাযথ তথ্য দেয়া ছাড়া অন্য কোনো স্থানে কিছু লেখা সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ এবং লিখলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
* কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে
দুই কান ঢেকে রাখতে পারবেন না। হল পরিদর্শকরা উত্তরপত্রে স্বাক্ষর দেয়ার সময় শনাক্তকরণের
জন্য প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীর মুখমণ্ডলের আবরণ খোলার নির্দেশনা দিতে পারবেন।
* পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বন অথবা
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে অথবা অন্যের সাহায্য নিতে অথবা অন্যকে সাহায্য করতে দেখা গেলে
সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তার উত্তরপত্র
বাতিল করা হবে।
* পরীক্ষার্থীকে হল পরিদর্শকের নির্দেশ
ও সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং হল পরিদর্শকের অনুমতি
ব্যতীত পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে দেয়া হবে না।