আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে আরও ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। তবে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে নতুন কারও মৃত্যু হয়নি।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে নয় জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে সারাদেশে সর্বমোট ১৬৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৫ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ১১৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩৪২ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৬৬ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ১৭৬ জন রয়েছে।

একই সময়ে সারাদেশে সর্বমোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গুরোগী ১৭৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী ১১১ জন, ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৬২ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।

 

 


আরও খবর



রাজধানীর ওয়ারীতে রেস্টুরেন্টে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ওয়ারীতে একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ওয়ারীর একটি ভবনের দোতলার রেস্টুরেন্টটিতে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেন স্থানীয়রা।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত সোয়া ১০ টায় আগুনের সংবাদ পেয়ে রেস্টুরেন্টটিতে যায় ফায়ার সার্ভিস। ১৬ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টে পৌঁছে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে আগুন নেভানো হয়েছে।

রেস্টুরেন্টটির কিচেনে আগুন লেগেছিল। এপর্যন্ত হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে রেস্টুরেন্টের নাম জানা যায়নি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে আগুন: নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

এবার চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (০১ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বাকলিয়া থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, বেলা ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তিনটি স্টেশনের সাতটি ইউনিট কাজ করছে। এর মধ্যে আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে তিনটি, চন্দনপুরা স্টেশন থেকে দুটি এবং লামার বাজার স্টেশন থেকে দুটি করে ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এখানে নতুন নির্মাণাধীন ভবনে হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছিল। কাঠ এবং ককশিটের সাহায্যে এ হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ভয়াবহ আগুনে পাশের ভবনে থাকা ১০-১২ জন বাসিন্দা ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এরআগে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী-শিশুসহ এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।


আরও খবর



যে ১০টি বিষয় দেখে বোঝা যাবে ভবন নিরাপদ কিনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে বহু। গতবছরও ঢাকায় একাধিক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঈদের আগে আগে রাজধানীর বঙ্গবাজারের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যাতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এবং বছর শেষে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭৭টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে কয়েকশত মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমূহ কী কী বা, নিজের প্রিয়জনদের নিয়ে কোনও ভবনে প্রবেশের আগে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবেন যে ভবনটি তাদের জন্য নিরাপদ কি-না; এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং আগুন নেভানোর জন্য সেসব ভবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাই, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরি, যে কোনও প্রয়োজনেই কোনও ভবনে প্রবেশ করার আগে ঐ ভবনটি কতটা নিরাপদ, তা যতটা সম্ভব যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। যেসব বিষয় যাচাই করে ভবনে প্রবেশ করবেন।

১. একটা ভবন কতটা নিরাপদ সহজ বোঝার জন্য ভবনের সামনে নিরাপত্তা সনদ বা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করা আছে কি-না, তা দেখে ওই ভবনে প্রবেশ করা।

২. কোনো জনাকীর্ণ ভবনের প্রবেশদ্বার যদি তিন মিটারের কম হয়, তাহলে সেখানে প্রবেশ করার আগে ভাবা উচিৎ। জনাকীর্ণ স্থানসমূহের মাঝে আছেরেস্টুরেন্ট, মসজিদ, গীর্জা, হাসপাতাল, এমনকি স্কুলও। এই ধরনের স্থানে একসঙ্গে অনেক মানুষ প্রবেশ করে এবং বের হয়। এছাড়া, বাণিজ্যিক ভবনে বিভিন্ন অফিস থাকায় সেসব স্থানও সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকে।

৩. আগুন লাগার পর একটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ভবনে মূলত দুইটা জিনিস থাকা দরকার। পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম। আর কিছুর দরকার নাই। কোনও শপিংমল, হাসপাতাল বা রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকলে সেখানে যাবেন না।

৪. একটি আদর্শ ভবনে দুই ধরনের সিঁড়ি থাকে। একটি দিয়ে সবসময় চলাচল করা হয়। অন্যটি দিয়ে জরুরি অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বের হওয়া যায়। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ। আগুন লাগলে একে অগ্নি নির্গমন পথও বলা হয়। আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য কিছু হলে সেই ভবনের প্রত্যেক তলায় অগ্নি নির্গমন পথ থাকতে হবে।

৫. কোনো ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেই ভবনে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং আলাদা অগ্নি নির্গমন পথও রয়েছে। কিন্তু সব থাকার পরও আগুনের মাঝে পড়লে সাধারণত মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে ঘটনাস্থল থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় না। সেজন্য ভবনে আগুন লাগলে (বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক) জরুরি বহির্গমনের দিকে যাওয়ার পথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নি চলাকালীন সময়ে জ্বলে উঠে, এমন এক্সিট সাইন এবং ডিরেকশন থাকতে হবে।

৬. আগুন নেভানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বলা হয়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোতে উচ্চচাপে রক্ষিত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। আগুন লাগলে এই যন্ত্র থেকে স্প্রে আকারে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে আগুন নেভানো হয়। একটি নিরাপদ ভবনে অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপন সিলিণ্ডার বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

৭. একই ভবনকে একাধিক কাজে ব্যবহার করাকে ভবনের মিশ্র ব্যবহার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, একটি ভবনে যদি মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, এমনকি রেস্টুরেন্ট থাকে; তাহলে সেটিকে বহু কাজে ব্যবহৃত ভবন হিসেবে ধরা হয়। এসব ভবন নিরাপদ নয়।

৮. উপরের বিষয়গুলো সাদা চোখে দেখে বুঝে নেয়া যায় যে ভবনটি নিরাপদ কি-না। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়বে না। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বলেন, ভবনের ডাক্ট লাইন ও ক্যাবল হোল সিল করা গুরুপূর্ণ।

৯. আগুন নেভানোর জন্য একটা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হচ্ছে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম। এটি একটি ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রির বেশি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হয়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। ফলে আগুন নিভে যায়। সাধারণত বড় বড় বাণিজ্যিক বা কারখানা ভবনে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু আবাসিক ভবনেও এগুলোর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ভবনে আগুন লাগার পর মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখানে সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু সম্পত্তি রক্ষার জন্য সেখানে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে বা স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম থাকা লাগবে।

১০. কোনও ভবনে গ্লাস দিতে হলে সেটার ড্রয়িং এবং ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। স্মোক এলে যেন তা অটোমেটিক্যালি বের হতে যেতে পারে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ওই গ্লাসের জন্য ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ধোঁয়া ভেতরে ঢুকে গেছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। সেখানে কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদমই আলাদা। তাই কোনো ভবনে প্রবেশের আগে তার শুরুর ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য জেনে নেয়া গেলে নিজেকে অনেকাংশে নিরাপদে রাখা সম্ভব।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৭০ রোহিঙ্গার মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে নৌকা ডুবে ৭০ জনের বেশি রোহিঙ্গা নিখোঁজ বা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭৫ জনকে। শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন- আইওএমের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এ বছর এটিই হবে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।

এর আগে বুধবার জেলেরা ছয়জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করার সময় সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছিল। আচেহ প্রদেশের এক জেলে সম্প্রদায় জানিয়েছে, তীব্র স্রোতে নৌকা উল্টে যাওয়ার পর তারা এর তলদেশের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বারবারা বালুচ বলেন, নৌকাটিতে ১৫১ জন ছিল। তাদের ৭৫ জনকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে। বাকিরা মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে।

আচেহ প্রদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েট ফয়সাল রেহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা ভালো আছে। তাদের আচেহ পশ্চিমাঞ্চলে রেডক্রসের একটি ভবনে রাখা হয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা গত বছর ইন্দোনেশিয়া গেছে। এ সংখ্যা দেশটিতে গত চার বছরে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।


আরও খবর



চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, গুরুতর আহত চালক হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ট্রেনের চালক মো. আতিকুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি বোকাইনগর এলাকায় একটি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রেনচালক আতিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।

বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্তব্যরত রেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বোকাইনগর এলাকার একটি সেতুর কাছে আসতেই দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করে। এতে পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক আতিকুল ইসলামের নাক ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছাকাছি নিয়ে থামিয়ে দেন। পরে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও জানান রেল পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া।


আরও খবর