আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ৯০০

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০৯। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৮ জন।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা  ৮১২ জন। ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৪৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৭৯৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৮ হাজার ৯১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮১০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪৬ জন। ঢাকায় ৭৪ হাজার ৫১৮ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১ হাজার ৮২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর



নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চিত্রনায়িকা পরীমণি ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি বছরখানেক আগে বোট ক্লাবে মদ খেয়ে মারামারিতে জড়ানোর কাণ্ডে আরও একবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।

এছাড়াও সংসার, বিচ্ছেদ বিতর্ক যেন পরীর সর্বক্ষণের সঙ্গী। তবুও পরীমণি থামেন না, ব্যক্তিজীবনে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই এগিয়ে চলেছেন একমাত্র ছেলে পূণ্যকে সঙ্গে নিয়ে।

পরীমণির জীবনে এখন তার সবচেয়ে বড় শক্তি ছেলে পূণ্য। তাকে নিয়েই সকল ব্যস্ততা, যত আয়োজন। তবুও নিজের প্রতিও অনেক ভালোবাসা রয়েছে নায়িকার। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তেমনটাই জানান দিয়েছেন তিনি।

বুধবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা। যেই ছবিতে পরীমণি জানিয়েছেন, নিজের প্রতি মুগ্ধতার কথা।

অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা একটি ছবি প্রকাশ করে পরী লিখেছেন, এমন মুগ্ধ হয়ে এর আগে নিজেকে চেয়ে দেখিনি কখনো। এখন দেখি। প্রাণভরে নিজেকে দেখি। আর সাহস করে নিজেকে নিজের ভালোবাসার কথা জানান দেই। নিজেকে ভালোবাসার মতো প্রেম যে দ্বিতীয়টি আর নেই।

পরীমণির সেই ছবিতে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ভক্ত থেকে শুরু করে সহশিল্পীরাও। বিবাহবিচ্ছেদ, বোট ক্লাব কাণ্ড নানা কারণে বিতর্ক থাকলেও পরীমণি ব্যস্ত থাকেন নিজেকে নিয়েই। নিজের প্রতিই মুগ্ধতা, ভালোবাসার শেষ নেই তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ করেই যেন আরও একবার সেই বার্তাটিই পৌঁছে দিতে চাইলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেলু বক্সী নামের কলকাতার একটি ছবির ঘোষণা দিয়েছেন পরীমণি। যেটা নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা। ছবিতে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকারের মতো তারকা।


আরও খবর



মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থাপনা সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত পবিত্র মসজিদে নববীতে রমজান মাসে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের রেকর্ড হয়েছে। পবিত্র এই মাসের প্রথম ২০ দিনে মসজিদে নববীতে দুই কোটিরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন বলে সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, একই সময়ে মসজিদে অবস্থিত আল রওজা আল-শরিফায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন নারীসহ মোট ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৭ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন।

পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। আল রওজা আল-শরিফা পরিদর্শন এবং সেখানে নামাজ আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের পৌঁছানোর আগে সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বলেছে, মুসল্লিদের স্বস্তিতে ইবাদত নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার শেষ রমজানের আগে সেখানে মুসল্লিদের উপস্থিতি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

রমজানের শেষ শুক্রবার সাপ্তাহিক জুমআর নামাজ আদায় করতে গতকাল মসজিদে নববীতে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। এসপিএ বলছে, মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য আগেই মসজিদে নববীর ছাদ ও চত্বর প্রস্তুত করা হয়েছিল; যাতে মুসল্লিরা শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

সাধারণত রমজান মাসে মক্কায় ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবায় ওমরাহ পালনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা ছুটে যান। ওমরাহ পালনের পর অনেকে মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে যান।

সৌদির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মসজিদে নববীতে ২৮ কোটিরও বেশি মুসলমান নামাজ আদায় করেন। তবে চলতি বছর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




মাদারীপুরে থ্রি-হুইলার খাদে পড়ে চালকসহ নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুরে মালটানা মাহিন্দ্র গাড়ি উল্টে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও দুই পথচারী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার পখিরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া এলাকার সরাফাত আলী মীরার ছেলে মাহিন্দ্র চালক এনামুল হোসেন (২৫) ও মাদারীপুর সদরের মধ্যচক গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে চালকের সহযোগী আরিফ শিকদার (১৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ফখিরা এলাকার ফারুক হাওলাদারের গ্যারেজ থেকে সহযোগী আরিফকে সঙ্গে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে মাহিন্দ্র গাড়িটি বের সড়কে উঠতেছিল চালক এনামুল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহিন্দ্রটি উল্টে যায়। এতে চালক এনামুল ও তার সহযোগী আরিফের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা দুই পথচারীও আহত হয়। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকমান মালো বলেন, গ্যারেজ থেকে বের করার সময় গাড়ির গতি ছিল বেশি। এজন্য চালক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। এতে উল্টে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। এ সময় পাশে থাকা দুই পথচারী সামান্য আহত হয়েছে।’

নিহত আরিফের মামা আবু আলেম গৌড়া বলেন, আমার ভাগ্নে ও চালক দুইজনে গ্যারেজ থেকে গাড়িটা বের করে ভাবছিল রাস্তায় পাশে পার্কিং করে নাস্তা খাবে। কিন্তু পার্কিং করার আগেই উল্টে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যারেজ থেকে গাড়িটি বের করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



দীর্ঘ ছুটিতে ঈদযাত্রা, বাস ট্রেন লঞ্চে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অফিস ছুটি হয়নি এখনো। পরিবার নিয়ে যেতে হবে গ্রামে। ঈদের ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে সবাই বাড়ির পথ ধরবে। এতে বাড়বে চাপ। এজন্য পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।

শনিবারও রাজধানী ছাড়বেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ। ঈদের লম্বা ছুটি ঘিরে মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করায় সড়ক, নৌ ও ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রী বেড়েছে আকাশপথেও।  তবে এখনো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়নি। যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার মসজিদে মসজিদে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটির সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। এজন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদে খতিবরা এবং কোথাও পুলিশ সদস্যরা এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে গ্রামে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আবার শহরে ফিরতে পারে।

ঈদে বাসযাত্রা : ফজরের নামাজের পর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ঈদযাত্রায় পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই বাসগুলো একের পর এক স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী মোড়, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন। বাস সংকটে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়ে।

ঢাকা-চাঁদপুর রুটের পদ্মা পরিবহণের সুপারভাইজার মকবুল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। শনিবার সাহরির পর তা আরও বেড়েছে।

ঢাকা-সিলেট রুটের মিতালী পরিবহণের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনশ টাকা বাড়তি দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী চাকরি করেন। তাকে ঢাকায় রেখেই ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সে কারণে আমরা আগেভাগে চলে যাচ্ছি।

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।

গাবতলী বাস টার্মিনাল : গাবতলী বাস টার্মিনালের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে শুক্রবার যাত্রীর তেমন একটা চাপ ছিল না। বেশিরভাগ কাউন্টার ছিল ফাঁকা। ঢাকা-বরিশাল রুটের দর্শনা পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার আল আমিন বলেন, গাবতলীতে রানিং (এসেই টিকিট কাটবেন এমন) কোনো যাত্রী নেই। যারা অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছেন তারাই শুধু আসছেন।

সদরঘাট নৌটার্মিনাল : সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রী ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। তবে খুব বেশি চাপ ছিল না। ফলে নৌপথের যাত্রায় এখনো অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিআইডব্লিউটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী ও টার্মিনালে নৌপুলিশের একাধিক টিম টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় অর্থঋণ আদালতের পেশকার। পরিবার নিয়ে থাকেন পুরান ঢাকায়। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি।

ট্রেনযাত্রা : এদিকে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনযাত্রা ছিল স্বস্তির। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ রোধেও কাজ করছি। আমরা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সিটবিহীন টিকিট বিক্রি করছি।


আরও খবর