সারাদেশে ডেঙ্গু
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের
সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫৫ জনে। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৯০৩
জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে
চিকিৎসাধীন আছেন ৬ হাজার ৩৪৬ জন ডেঙ্গুরোগী।
বুধবার (১ নভেম্বর)
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো.
জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানায়, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু
আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৯০৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৮৪ এবং
ঢাকার বাইরের এক হাজার ১৫১৯ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে ঢাকার
বাসিন্দা দুজন, ঢাকার বাইরের পাঁচজন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৭৩ হাজার ৭৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৯ হাজার ৫৫৩ জন আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫২৫ জন।
আরও পড়ুন>> মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
গত ২৪ ঘণ্টায়
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই হাজার ৭৭ জন। তাদের মধ্যে
ঢাকার বাসিন্দা ৪৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৬৪০ জন।
গত ১ জানুয়ারি
থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই
লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৭ হাজার ৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরের
১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৪ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে
২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য
বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা
মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত
হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে
সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।