আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ডেঙ্গুর দাপট থাকবে সেপ্টেম্বর জুড়ে

প্রকাশিত:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। কিন্তু আগস্ট মাস থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণ চেপে বসে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। এরই মধ্যে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গু সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে পারে।

এই অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মশা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশন বলছে, ডেঙ্গুরোধে সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে। অন্যথায় শত অভিযান চালিয়েও সুফল মিলবে না। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৯৫২ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে সংক্রমণ বাড়বে, অক্টোবরে কমে আসবে: ডেঙ্গু সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল ডা. মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই মাসে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়বে। তবে মাসের শেষের দিকে আশা করছি কমে আসবে। এখন ডেঙ্গু সংক্রমণের পিক টাইম। এরপরও আমরা যদি গতবারের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে বলব, তুলনামূলক ভালো আছি। গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৬৯৮ জন। আর এই আগস্টে রোগী ছিল ৩ হাজার ৩৭০ জন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৪১ জন। আর এই সেপ্টেম্বরে হয়তো সর্বোচ্চ হাজার চারেক রোগী হতে পারে।

গত মাসের তুলনায় এই মাসে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখছি সে হিসেবে বলা যায়, গত মাসের তুলনায় এ মাসে সংক্রমণ কিছুটা বাড়বে। ডেঙ্গুর সংক্রমণের ট্রেন্ড যেটা বলে, আগস্ট মাস থেকে বাড়া শুরু হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করে এবং অক্টোবর মাসে ধীরে ধীরে নেমে আসে। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে। ২০১৯ সালে তো আমাদের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়েছিল। সেই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু সংক্রমিত হয়েছিল ১৬ হাজার ৮০০ জন। এরপর অক্টোবর মাসে নেমে আসে ৮ হাজারে। সব মিলিয়ে বলব যে সেপ্টেম্বর ও আগস্ট মাস আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।

কনস্ট্রাকশনের কাজে নজরদারির পরামর্শ: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান বলেন, ডেঙ্গু রোগ মূলত যে মশার কামড়ে হয়, সেই মশাটিকে বলা হয় শহুরে মশা। গ্রামের মশার আবাসস্থলের সঙ্গে শহরের মশার আবাসস্থলের অনেক পার্থক্য। শহরে আমরা দেখি যে খুবই অল্প পানিতে মশাগুলো ডিম পাড়ে এবং জন্মাতে পারে। যেমন- ডাবের খোসা, ফুলের টব। এগুলোতে খুব অল্প পরিমাণ পানি থাকলেও এর মধ্যেই মশা জন্মাতে পারে। আর গ্রামের মশাগুলো জন্মায় আবদ্ধ পুকুর, ডোবা, নালায়। ঢাকা শহরে বাড়ি নির্মাণসহ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। যখন কনস্ট্রাকশনের কাজ করা হয়, তখন ওই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়। সেখানে ড্রামসহ বিভিন্ন কৌটা আর খানাখন্দে পানি জমে থাকে। এসব বিষয় খুব বেশি তদারকি করা হয় না। ফলে সেখানে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি হয়।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের মেয়রেরা বাসা বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছেন। বাসাবাড়িতে তো আপনি সবসময় ঢুকতে পারেন, কিন্তু কনস্ট্রাকশনের জায়গাগুলো তো টিন দিয়ে ঘিরে রাখা, ওসবে সাধারণ মানুষও যায় না, সিটি করপোরেশনও যায় না। যে কারণে সবসময়ই ডেঙ্গু মশা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

এভাবে তো অভিযান পরিচালনা করে কোনো লাভ নেই। অভিযান পরিচালনা করতে হবে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। রাতে বৃষ্টি হয়েছে, আমি দেখলাম রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে আছে। এই পানিগুলোই কিন্তু এক/দুইদিন পর্যন্ত জমে থাকে। ভালো করে দেখলে দেখা যাবে এগুলোতেই মশা ডিম ছাড়ছে এবং নতুন করে মশার জন্ম নিচ্ছে, বলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান।

যেখানে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেশি, সে জায়গাগুলোই অবহেলিত: ডা. সবুর খান বলেন, যে জায়গাগুলোতে সবসময় ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেশি, সে জায়গাগুলোই সবসময় অবহেলিত থাকে। মিরপুর এলাকায় ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি, সেখানে গিয়ে দেখবেন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িও বেশি। গুলশান এলাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হলে যত দ্রুত সময়ে সেগুলো বন্ধ করা হয়, মিরপুর এলাকায় সেটা হয় না। প্রায় সময়ই দীর্ঘদিন এভাবে চলে যায়। এছাড়া সেই এলাকাগুলোতে রাস্তাঘাটের আশেপাশের ড্রেনগুলো ঠিক কতদিন পরপর পরিষ্কার হয় সেটা বলা মুশকিল। দিনের পর দিন সেই জায়গাগুলোতে জমে থাকা পানি, ময়লা আবর্জনাতেও মশা ডিম পাড়ে, সেগুলো থেকেও প্রতিনিয়ত অসংখ্য মশার জন্ম হচ্ছে।

ডেঙ্গু মশা সকালে কামড়ায়, স্প্রে দেওয়া হয় বিকেলে: ডেঙ্গু সংক্রমণ কমছে না, আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে- দায়টা আসলে কার জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসার দায়দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু মশা কেন হলো বা ডেঙ্গু কেন বাড়ল সেজন্য জবাবদিহি করবে সিটি করপোরেশন। এখন আমরা দেখছি সিটি করপোরেশনের অভিযান সব মানুষের বাসাবাড়ি কেন্দ্রিক। হঠাৎ তারা ডেঙ্গু মশা বাড়ার পেছনে সাধারণ মানুষকে দায়ী করতে চায়। কিন্তু পাড়া-মহল্লায়, এলাকায়-এলাকায়, রাস্তাঘাটে যে পানি জমে আছে, সেটার দায় কি সাধারণ মানুষের?

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের অভিযান মানে কিছু এলাকায় গিয়ে স্প্রে করে আসা। কিন্তু এই স্প্রেগুলোতে কখনোই ডেঙ্গু মশা মরে না। যে মশাগুলো উড়ে বেড়াবে, সেগুলো স্প্রেতে মরবে। আরেকটা বিষয় হলো সিটি করপোরেশন সাধারণত স্প্রে করে বিকেল বা সন্ধ্যায়, কিন্তু ডেঙ্গু মশা তো সকালে কামড়ায়। আর ম্যালেরিয়া মশা সাধারণত বিকেলে বা সন্ধ্যার পর কামড়ায়। সেজন্য আমি বলব যে, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে যদি স্প্রে বা অভিযান পরিচালনা করতে হয় তাহলে তা সকালে করতে হবে।

ড্রেনের নোংরা পানি নয়, এডিস জন্মায় অল্প ও স্বচ্ছ পানিতে: ডা. সারওয়ার বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি তো অবশ্যই উদ্বেগের। এখন পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে এই সংখ্যা হয়তো কিছুই নয়। তারপরও যে পরিবার থেকে একটি লোক হারিয়ে গেছে তাদের জন্য এটা বিশাল কিছু। আমরা চাই না একটি মানুষও ডেঙ্গুতে প্রাণ হারাক।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে তিন/চার হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হোক, এটি আমরা চাই না। সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এমনকি গত বছরের তুলনায় কিছুটা সফলও হয়েছি। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মিডিয়াগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনের নোংরা পানিতে এডিস মশা জন্মায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অনেকেই হয়তো জানি না রাস্তাঘাটের ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি ও ড্রেনের পানিতে এডিস মশা জন্মায় না। এই মশা জন্মায় অল্প ও স্বচ্ছ পানিতে। নোংরা পানিতে জন্মায় কিউলেক্স জাতীয় মশা, যেগুলো শুধু মানুষকে বিরক্ত করে, কিন্তু এর কামড়ে কোনো ক্ষতি হয় না।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ তখন বাড়ে, যখন মশার সংখ্যা বাড়ে। অথবা মশাকে মেরে ফেলা না যায়। ডেঙ্গুবাহী মশা যদি কাউকে কামড়ায়, তাহলে তার ডেঙ্গু হতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র সেই রোগীগুলোর খবর পাই, যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে বা ভর্তি হয়।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ভালো। হাসপাতালে থাকলে একটা সেবার মধ্যে থাকে এবং তার মৃত্যু ঝুঁকিটা কমে যায়। আর যদি ঘরে থেকে নিজে নিজেই পাড়া মহল্লা থেকে ওষুধ খায়, তখন কিন্তু বিপদের আশঙ্কাটা বাড়ে। এই অর্থে আমরা খুশি যে রোগীগুলো কেয়ারে আছে, ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিচ্ছে এবং ঠিকমতো ওষুধ পাচ্ছে। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাটা কমে যায়। এই মুহূর্তে সবার আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতালগুলোতে রোগী বেড়ে যাওয়া। এখন মশা না মারলে রোগী কীভাবে কমাবেন? শুধু মশা মারলেই হবে না, সঙ্গে সঙ্গে মশার উৎপত্তিস্থল নষ্ট করতে হবে এবং সবাইকে এই কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা জানি যে, স্থানীয় সরকার এই কাজটি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে, এখন এই কাজটি আরেকটু জোর দিয়ে করলেই হয়ে যাবে।

মশা কমলে রোগীও কমে যাবে: ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়, যে কারণে এই সময়ে মশার বংশ বিস্তারটাও তাড়াতাড়ি ঘটে। আর এমনিতেও তো কোভিডের জন্য যেসব কাজকর্ম বন্ধ ছিলো, এখন সেগুলো পুরো গতিতে চলছে। কাজেই স্বাভাবিক যে উন্নয়ন কাজ চলছে, সেটি চলবে। মশা এই সময়ে একটু বেড়েও যায়। আমাদের বক্তব্য একটাই, মশা কমলে রোগীও কমে যাবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোধে দুটি কাজ করে। প্রথমত হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তৈরি করে, সেই ক্যাপাসিটি আমাদের তৈরি করা আছে। আমাদের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী যারা আছে, তাদেরকে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা আপডেটেড রাখছি। দ্বিতীয়ত যেই কাজটি করি তা হলো, বিভিন্ন মৌসুমে আমরা ঢাকা মহানগরীতে সার্ভে করি। সেই রিপোর্টটি আমরা স্থানীয় সরকারের কাছে হস্তান্ত করি। আমাদের নতুন সার্ভে অনুযায়ী উত্তর-দক্ষিণ দুই সিটিতেই সমানভাবে মশার উপদ্রব পেয়েছি।

ডেঙ্গুরোধে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সবসময় মনে করি, রোগ তৈরি যেন না হয়, সেই কাজটাই করা উচিত। তাহলে যারাই সামান্য কোনো কারণে রোগী হন, তারা অনেক ভালো মেডিকেয়ার পাবেন। এজন্য আমরা চাইব রোগীর সংখ্যাটা দিন দিন না বাড়ুক। এক্ষেত্রে সমন্বিত ভেক্টর ব্যবস্থাপনা, মশকের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা, মশকের বংশবৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করা- এই কাজগুলোতে আরও বেশি শক্তি সামর্থ্য ব্যয় করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। একইসঙ্গে এসব কর্মসূচিতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোগীর ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থাপনায় আমরা গাইডলাইন আপডেট করে দিয়েছি। আমাদের পাঁচটি হাসপাতাল তৈরি আছে। এর বাইরেও প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা চলছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোনো হাসপাতালই না বলে না। এরইমধ্যে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তিও হচ্ছে, চিকিৎসাও পাচ্ছে। সেই জায়গাতে আমাদের ডাক্তার, নার্সসহ সেবাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করারও সুযোগ দিচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: ডেঙ্গু জ্বর

আরও খবর



রাজধানীতে ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে নিহত দুই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বাসাবোতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ওপর থেকে নিচে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আইসিউউতে রয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০তলা ভবনের ওপর থেকে পড়ে ৩ নির্মাণ শ্রমিক আহত হন।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কাজ করার সময় ১০তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে তিনজন শ্রমিক আহত হন। তাদের মধ্যে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন আইসিইউতে রয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



দাবদাহ : এবার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের স্কুল কলেজ সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরমধ্যে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (ইংলিশ মিডিয়াম) শ্রেণি কার্যক্রম কোথাও কোথাও চলছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করার জন্য বলা হয়েছে।

শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শ্রেণিকার্যক্রম ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শ্রেণিকার্যক্রম চলবে।

রোববার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ৫ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে যেহেতু এরপর শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধটা টানা ৭ দিনে গিয়ে ঠেকছে। ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল কলেজ।

দুই মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতে পারে। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নিজের সাজা অন্যকে দিয়ে খাটানো সেই যুবলীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নিজের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটানোর অভিযোগে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নাজমুল হাসানের পক্ষে শুনানি করা শ্রী প্রাণনাথ কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বদলি সাজা খাটানোর ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে রবিবার নাজমুল হাসানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। সে সময় পালিয়ে যায় মামলার মূল আসামি ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান। এ ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামলা করে। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ রায়ের পর নাজমুলের পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটেন মিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ১১ দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে যান তিনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।


আরও খবর



পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে। ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের, বিশেষ করে পেঁয়াজের রাজ্যখ্যাত মহারাষ্ট্রের চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই সেখানকার চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

যদিও নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত সরকার।

মূলত, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে দিয়েছিল। সেই অবস্থান থেকে এবার সরে এল দেশটি।


আরও খবর



বেলাবতে এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিন্ধদ্বী সকল প্রার্থীরা এক মঞ্চে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

শনিবার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার সমাজসেবী সংগঠন লাল সবুজ চেতনা সংসদের উদ্যোগে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ও পুরুষ পদপ্রার্থীদের এক মঞ্চে আনা এনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

শনিবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাল সবুজ চেতনা সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনী ইশতেহার ও এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের একসাথে দেখতে বেলাব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত হয়।

নারায়নপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের ফরিদা বেগম মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে ভোটারদের সামনে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচন পূর্ব প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচন পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার ইশতেহার ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান পদ ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ইশতেহার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন,কাপ পিরিচ পদে বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী শরিফ উদ্দীন খান মোমেন, ঘোড়া প্রতীকে ভাস্কর অলি মাহমুদ, আনারস প্রতীকে আমান উল্লাহ আমান, চিংড়ি মাছ প্রতীকে মাজহারুল হক, টেলিফোন প্রতীকে জোনাইদ হোসেন পারভেজ।

ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বই প্রতীকে ইসলাম উদ্দিন, টিয়া পাখি প্রতীকে সাইফুল ইসলাম, টিউবওয়েল প্রতীকে মো: খোর্শেদ আলম, তালা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে শারমিন আক্তার খালেদা, সেলাই মেশিন প্রতীকে রহিমা বেগম ময়ুরী, হাঁস প্রতীকে নাজমুন্নাহার আমিনা।

প্রার্থীরা শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ও স্মার্ট উপজেলা গড়তে সকলে ঐক্যমত পোষন করেন এবং তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের পাতায় উঠে আসে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল, বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি।

কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্তী শরিফ উদ্দীন মোমেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বেলাব উপজেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্তসহ একটি মডেল উপজেলা হিসাবে বেলাব উপজেলাকে গড়ে তুলবেন।

আনারস প্রতীকে প্রার্থী আমান উল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সন্ত্রাস দূরীকরণ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং কৃষিতে ন্যায মূল্য পেতে হিমাগার নির্মান করবো।

ঘোড়া প্রতীকে প্রার্থী ভাস্কর অলি মাহমুদ বলেন, স্মার্ট, আধুনিক ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে যা যা করা দরকার তাই করবো। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কাজ করবো। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করতে সকল প্রার্থীরা তাদের অঙ্গিকার পোষণ করেন।


আরও খবর