হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব
শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব বৃহস্পতিবার। বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবটি কালীপূজা নামেও পরিচিত।
তবে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হামলার
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার শ্যামাপূজায় দীপাবলি উৎসব বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ
পূজা উদযাপন পরিষদ।
বাংলা কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে শ্যামাপূজা
বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্থায়ী মন্দির ও অস্থায়ী মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণ করে
এ পূজা হয়। এদিন পূজা-অর্চনার পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায় বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ জ্বালিয়ে
স্বর্গীয় পিতা-মাতা, পিতৃপুরুষ ও আত্মীয়দের স্মরণ করেন।
শাস্ত্র মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি
শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী
নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির
বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে
পরিচিত।
সম্প্রতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত এক
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শ্যামাপূজা সংশ্লিষ্ট মন্দির কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা অনুযায়ী
প্রতিমা বা ঘটে করা হবে এবং একাধিক দিনের অনুষ্ঠান পরিহার করা হবে। একই সঙ্গে শ্যামাপূজায়
দীপাবলির উৎসব বর্জন করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ মিনিট কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে
দর্শনার্থী ও ভক্তরা নিজ নিজ মন্দিরে নীরবতা পালন করবেন।
বুধবার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল
কুমার চ্যাটার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের ভেতরে
যে ব্যথা সে কারণে এবার শ্যামাপূজায় দীপাবলি উৎসব যে হচ্ছে না সেই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া
ছিল।”
ওই সংবাদ সম্মেলনের অনুলিপি ইতিমধ্যে দেশের
বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। এবার শুধু পূজা-অর্চনার মাধ্যমে শ্যামাপূজার আনুষ্ঠানিকতা
হবে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজারসহ বিভিন্ন স্থায়ী মন্দির ও অস্থায়ী মন্ডপে কালীপূজা হচ্ছে।