আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দীপাবলি উৎসব বর্জন, পালিত হচ্ছে শ্যামাপূজা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব বৃহস্পতিবার। বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবটি কালীপূজা নামেও পরিচিত। তবে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার শ্যামাপূজায় দীপাবলি উৎসব বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

বাংলা কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্থায়ী মন্দির ও অস্থায়ী মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণ করে এ পূজা হয়। এদিন পূজা-অর্চনার পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায় বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ জ্বালিয়ে স্বর্গীয় পিতা-মাতা, পিতৃপুরুষ ও আত্মীয়দের স্মরণ করেন।

শাস্ত্র মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার কাল শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

সম্প্রতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শ্যামাপূজা সংশ্লিষ্ট মন্দির কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিমা বা ঘটে করা হবে এবং একাধিক দিনের অনুষ্ঠান পরিহার করা হবে। একই সঙ্গে শ্যামাপূজায় দীপাবলির উৎসব বর্জন করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ মিনিট কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে দর্শনার্থী ও ভক্তরা নিজ নিজ মন্দিরে নীরবতা পালন করবেন।

বুধবার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ভেতরে যে ব্যথা সে কারণে এবার শ্যামাপূজায় দীপাবলি উৎসব যে হচ্ছে না সেই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া ছিল।

ওই সংবাদ সম্মেলনের অনুলিপি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। এবার শুধু পূজা-অর্চনার মাধ্যমে শ্যামাপূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজারসহ বিভিন্ন স্থায়ী মন্দির ও অস্থায়ী মন্ডপে কালীপূজা হচ্ছে।



আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আধুনিক হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লি হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (০১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধুনিক হামদর্দ কারখানার মিলনায়তনে আনন্দঘন আয়োজনে উদযাপিত হয় দিনটি।

এ সময় হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তরভাবে চেষ্টা করে আমরা আজ এ পর্যায়ে পৌঁছেছি। মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন এবং প্রায় ৬ গুণ দায়-দেনা থেকে হামদর্দ আজ পরিণত হয়েছে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোঘরে। ভবিষ্যতেও মানবসেবার কাজে আমরা এগিয়ে যাবো এবং সফল হবো, ইনশাআল্লাহ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্ত্রী, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (ইউনানি) লক্ষ্মীপুরের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক হাকিম কামরুন নাহার হারুন বলেন, হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার ধ্যান-জ্ঞান এবং মননে কেবলই হামদর্দ। সব সময় তিনি মানুষের কল্যাণ কামনা করেন বলেই আজ তার নেতৃত্বে হামদর্দ এত দূর আসতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া, হামদর্দ এবং ইউছুফ হারুন ভূঁইয়াকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন হামদর্দের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিরুল মোমেনীন মানিক।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনহামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ঢাকা রেলওয়ে জেলার এসপি আনোয়ার হোসেন, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনানি চেয়ার ভারতের প্রখ্যাত গবেষক অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমি, সিনিয়র পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আনিসুল হক, পরিচালক (উৎপাদন) বশির আহম্মদ, পরিচালক (বিপণন) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাকিম আবু ইউছুফ আব্দুল হক, হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) ডা. হারুন আল রশীদ এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।


আরও খবর



এনেস্থেসিয়ার ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন হাসপাতালে সম্প্রতি এনেস্থেসিয়াজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা নিরসনের জন্যে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে ও এনেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নির্দেশনায় এনেস্থেসিয়ায় হ্যালোজেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক (নিশ্বাসের সঙ্গে যে চেতনানাশক নেওয়া হয়) হিসেবে হ্যালোথেনের (চেতনানাশক ওষুধ) পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে।

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।

ডিজিডি-এর অনুমোদন ছাড়া হ্যালোজেন ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সারা দেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নতুন অ্যানেসথেসিয়ার মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এনেস্থেসিয়া

আরও খবর



স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর দূর্গাপুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের মেয়ে জোৎনা বেগম ও দাশরা খানপাড়ার বুলু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া বাবু।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে জামিরুল ইসলাম জোৎনা বেগমকে বিয়ের পর ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর দূর্গাপুর গ্রামে ঘর জামাই থাকতেন। এদিকে তার স্ত্রী পার্শ্ববর্তী শাহিন মিয়া বাবুর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।

এর জের ধরেই ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।


আরও খবর



‌পি‌রোজপুরে বাস-অটোরিকশা-বাইকের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ৭

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরে বাস, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের পিরোজপুর-চরখালী সড়কের ঝাউতলায় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. রেজোয়ান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসটি ব্রেকফেল করে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এতে ঘটনাস্থল থেকে আমরা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চারজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন স্বপন, নাইম, হেমায়েত এবং খাইরুল। বাকি তিনজনের নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুরের অভ্যন্তরীণ রুটের বাস ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে ঝাইতলায় এসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



শ্রম আইন লঙ্ঘন : ড. ইউনূসের জামিন ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ঢাকার শ্রম আদালত। সোমবার (১১ মার্চ) ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন আদালত।

লিখিত আদেশে বলা হয়, ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ড. ইউনূস জামিনে থাকবেন। ওইদিন তিনিসহ ৪ জনকে ফের হাজির হতে হবে। আদালত আরও বলেন, ১৬ এপ্রিল আপিল শুনানির দিন ধার্য করা হলো। একই সঙ্গে শ্রম আদালত থেকে পাঠানো মামলার এলসিআর গ্রহণ করা হলো।

গত বুধবার (৬ মার্চ) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় ও আদেশ স্থগিত করা প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হয়েছে। এর আগে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের গত ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী। পরে মামলার বাদী ও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এছাড়া ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।

এদিকে, রোববার (১০ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে দেশের বাইরে যেতে চেয়ে আবেদন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতে চান। কিন্তু আদালত যেহেতু দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবহিত করতে বলেছেন, তাই এই আবেদন করা হলো।


আরও খবর