আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

দীঘিনালায় চা-দোকানির মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সড়কের পাশ থেকে এক চা-দোকানির মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা সড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। 

এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মেরুং ব্রিজ সংলগ্ন হাজাছড়া এলাকায়।

জাহাঙ্গীর আলম হাজাছড়া গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ছোট মেরুং বাজারে চা দোকান করতেন। বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) মেরুং হাটবার ছিল; সে কারণে রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি হয়। স্থানীয়দের ধারণা, বাড়ি ফেরার পথেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

দীঘিনালা থানার ওসি পেয়ার আহমদ জানান, মরদেহ উদ্বারের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে ১০ হাজার ড্রোন দেবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ব্রিটেন ইউক্রেনকে ১০ হাজারের বেশি ড্রোন সরবরাহ করবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস কিয়েভ সফরের সময় এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব ড্রোনের জন্য আরো সাড়ে ১২ কোটি ইউরো ব্যয় হচ্ছে। এ নিয়ে ইউক্রেনে তাদের মোট ব্যয় বেড়ে সাড়ে ৩২ কোটি ইউরো দাঁড়াবে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ অর্থে বছর জুড়ে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে ১০ হাজারেরও বেশি ড্রোন সরবরাহ করা হবে।

ইউক্রেনে তৃতীয় দফার সফরে শ্যাপস গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি আনা অত্যাধুনিক নতুন ড্রোন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি বাড়াচ্ছি। এ সময় তিনি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

ব্রিটেন বলেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া তার প্রতিবেশি দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে তারা দেশটিকে ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ব্রিটেন হচ্ছে প্রথম দেশ যারা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে দূর-পাল্লার বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহ করে। গত মে মাসে দেশটি ঘোষণা দেয় যে, স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে ইউক্রেনে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ধ্বংস এবং ক্ষতিগ্রস্ত করতে ইক্রেনের সামরিক বাহিনী মস্কোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে আসছে।


আরও খবর



এক ঘণ্টা এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ এলাকায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়েছে অর্থাৎ রবিবার ভোর রাত ২টার সময় সকলকে ৩টা বাজাতে হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে রবিবার ১০ মার্চ থেকে শুরু হলো ডে লাইট সেভিংস টাইম। দিনের আলোকে কাজে লাগানোর এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ৩ নভেম্বর রবিবার ভোর রাত ২টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, স্মার্ট ফোন বা আই ফোনে আপনাআপনি সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী নিউইয়র্কে যখন রাত ১২টা বাজবে, ঢাকায় তখন হবে সকাল ১০টা। ঘড়ির কাটা আগ-পাছ করার আওতায় নেই আরিজোনা, হাওয়াই, আমেরিকান সামুয়া, গুয়াম, পর্তোরিকো ও ভার্জিন আইল্যান্ড।


আরও খবর



শেষ কর্মদিবসে সড়কে বেড়েছে যানজট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সড়কে বেড়েছে যানজট। গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীদের দীর্ঘসময় অতিবাহিত হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও রোজাদার ব্যক্তিরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি ও আগারগাঁওসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে যানজটের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। সকালে যানজটের পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েই চলেছে।

সকালে সড়কে যানজটের ফলে অফিসগামী অনেককেই হেঁটে রওনা দিতেও দেখা গেছে। বেশি কষ্টের মুখে পড়তে হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিদের।

বাড্ডা থেকে বিজয় সরণি যাবেন চাকরিজীবী জীবন আহমেদ। তিনি বলেন, বাসে ওঠার পর থেকেই জ্যাম শুরু। থেমে থেমে মহাখালী পর্যন্ত আসছি। এখন বাকি রাস্তা যেতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে!

বাসচালকরা বলছেন, সড়কে অন্যান্য দিন যানজট থাকলেও বৃহস্পতিবার গাড়ির চাপ বেশি থাকে। সে কারণে এদিন তীব্র যানজট লেগে থাকে।

বিআরটিসি বাসের চালক লুৎফুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাস্তাঘাটে চাপ একটু বেশি থাকে। দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই ঢাকার বাইরে বা বাড়িতে যায়। ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্র্যাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসি) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তা স্বাভাবিক। গতকাল গাড়ির চাপ আরও বেশি ছিল, সেই তুলনায় আজকে একটু কম। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছি আনতে কাজ করছি।


আরও খবর



ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের দণ্ড (কনভিকশন) স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৮ মার্চ) এ রায় দেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালে মামলা করেছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ মামলার রায় দেন।

রায়ে ড. ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন বিচারক। তাদের প্রত্যেককে শ্রম আইনের ৩০৩ ও ৩০৭ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে সেদিন তাদের জেলে যেতে হয়নি। রায় ঘোষণার পর পরই জামিন আবেদন করা হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাদের এক মাসের জামিন দেন বিচারক। গত ৩১ জানুয়ারি এ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ দণ্ডিতরা।

গত ২৮ জানুয়ারি ইউনূসসহ দণ্ডিতদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেন। সেই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দণ্ড স্থগিতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

এ আবেদনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চূড়ান্ত শুনানির পর রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

আদালতে রুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার মানে হচ্ছে, তৃতীয় শ্রম আদালতের দণ্ড স্থগিত করে গত ২৮ জানুয়ারি দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করা হয়েছে।’

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রায়ে হাইকোর্ট চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন- এক. তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া দণ্ড (কনভিটশন) চলমান থাকবে। দুই. আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজা (৬ মাসের কারাদণ্ড) স্থগিত থাকবে। তিন. শ্রম আদালতের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও স্থগিত থাকবে। চার. যত দ্রুত সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করবেন আপিল ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিতরা দেশের বাইরে গেলে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হবে।’

গত ১১ মার্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস। এখন তিনি বিদেশে আছেন বলে জানান এ আইনজীবী।


আরও খবর