যুক্তরাজ্যের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে রাজা ৩য় চার্লসের কাছ থেকে কার্যভার গ্রহণ করেছেন ঋষি
সুনাক; মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণের ছয় ঘণ্টার মধ্যে লিজ ট্রাসের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার
৮ সদস্যকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে।
প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছেন ঋষি। হাত দিয়েছেন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজে।
শুরুতেই সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভার ওপর কুড়াল চালান ঋষি। ফিনান্সিয়াল
টাইমসের প্রতিবেদন মতে, হাউজ অব কমন্সে সুনাকের অফিস থেকে মন্ত্রীদের পদত্যাগের আহ্বান
জানানো হয়।
সেই আহ্বানে সাড়া
দিয়ে এরইমধ্যে অন্তত আট মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তালিকায় রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জ্যাকব
রিস মগ, আইনমন্ত্রী ব্রান্ডন লুইস, চীফ হুইপ ওয়েন্ডি মর্টন, শিক্ষামন্ত্রী কিট মল্টহাউজ
ও টোরি চেয়ারম্যান জেক বেরি। এছাড়া আরও রয়েছেন ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড,
পরিবেশমন্ত্রী রনিল জয়াবর্ধনে ও গণপূর্ত ও ভাতা বিষয়ক মন্ত্রী ক্লোই স্মিথ।
এদিকে নতুন মন্ত্রিসভায়
এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পদে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন
এ নারী রাজনীতিক।
সুনাকের ঘনিষ্ঠ
অলিভার ডওডেনকে কেবিনেট অফিস বিষয়ক চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডওডেন সাবেক
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও টোরি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি সুনাক সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নাদিম জাহাবিকে
কনজারভেটিভ পার্টির নতুন চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত মন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সংসদ
নির্বাচনের লক্ষ্যে দলকে সংগঠিত করার দায়িত্বও পালন করবেন তিনি। জেমস ক্লেভারলিকে ফের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন সুনাক।
এছাড়া ডোমিনিক
রাবকে উপপ্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায়
উভয় দায়িত্ব পালন করেছিলেন রাব। তবে লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছিলেন। সুনাকের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক হিসেবে আবারও পুরনো দায়িত্ব ফিরে পেলেন তিনি।
আর অর্থমন্ত্রী
করা হয়েছে জেরেমি হান্টকে। লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন তিনি। প্রথমে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে
অর্থমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাস। কিন্তু ‘মিনি বাজেটে’ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত
করে সেই জায়গায় জেরেমিকে বসান তিনি। আর বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন গ্রান্ট শ্যাপস।
বেন ওয়ালেস আবারও
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন। দলের নেতা নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মরডান্টকে
হাউজ অব কমন্সের নেতার পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন সুনাক।