মোসাদ্দেক হোসেন
দিয়েছিলেন দারুণ কিছুর বার্তা। তাতে পূর্ণতা দিলেন ব্যাটাররা। নতুন দিনের বার্তা দেওয়া
দল পেল জয়ের দেখা। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল
টাইগাররা।
রোববার হারারেতে
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সামনে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দেয়
জিম্বাবুয়ে। ১৫ বল হাতে রেখেই ওই লক্ষ্য টপকে গেছে সফরকারীরা।
রান তাড়া করতে
নেমে ফের ব্যর্থ হন মুনিম শাহরিয়ার। ৮ বলে ৭ রান করে এনগ্রাবার বলে বোল্ড হন এই ব্যাটার।
অন্য প্রান্তে বেশ সাবলীল ছিলেন লিটন কুমার দাস। দারুণ সব শটে রান তুলছিলেন গতি ঠিক
রেখে, পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দেখাও।
৩৩ বলে ৫৬ রান
করার পর শেন উইলিয়ামসের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। লিটনের
পর বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়ও। ১৫ বলে ১৬ রান করে সিকান্দার রাজার শিকার হন তিনি।
এরপর বাকি পথটা
পাড়ি দেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৮ বলে ৩০ রান করে আফিফ ও ২১ বলে ১৯ রান
করে অপরাজিত থাকেন শান্ত। বাংলাদেশও পেয়ে যায় সহজ জয়।
এর আগে সিরিজে
বাঁচিয়ে রাখার মিশনে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম বলেই রেজিস
চাকাভাকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান মোসাদ্দেক। ওই ওভারের শেষ বলে আউট করেন আগের
ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ওয়েসলি মাদাভিরাকেও। ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
এক ওভারে দুই
উইকেট নেওয়ার পর মোসাদ্দেক সাফল্য পান নিজের দ্বিতীয় ওভারেও। এবার তার শিকার হন ক্রেইগ
আরবিন। ১০ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান স্বাগতিক অধিনায়ক।
নিজের তৃতীয় ওভারের
চতুর্থ বলে মোসাদ্দেক ফেরান শেন উইলিয়ামসকে। ৭ বলে ৮ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ নিজেই
নেন তিনি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে মিল্টন সাম্বাকে ফিরিয়ে ফাইফার পূর্ণ করেন মোসাদ্দেক।
তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ও টি-টোয়েন্টি কোনো বাংলাদেশির চতুর্থ পাঁচ উইকেট
এটি।
এরপর অবশ্য ঘুরে
দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকা দলকে উদ্ধার করেন রায়ান বার্ল
ও সিকান্দার রাজা। দুজন মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। ৩১ বলে ৩২ রান করে আউট করা বার্লকে
বোল্ড করে তাদের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।
সিকান্দার
রাজাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৩ বলে ৬২ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মুনিম শাহরিয়ারের
হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। তাতে জিম্বাবুয়ের ইনিংসও খুব একটা লম্বা হয়নি। ৮
উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থামে তারা। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট
নেন মোসাদ্দেক, এক উইকেট করে নিয়েছেন মোস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ।