বল হাতে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যানদের টিকতেই দেননি ইংলিশ বোলাররা। দাপুটে বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অল্প রানেই আটকে দিয়েছে ইয়াং মরগানের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২১ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। একে একে বিদায় নেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মার্কোস স্টয়নিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওয়ার্নারকে ফাঁদে ফেলেন ক্রিস ওকস। ২ বলে ১ রান করেন ওয়ার্নার, ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরের ওভারে স্মিথকে নিজের শিকার বানান ক্রিস জর্ডান। এখানেও ক্যাচ ধরে ভূমিকা রাখেন ওকস। স্মিথও বিদায় নেন ১ রানে।
দুই টপ অর্ডারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিতে পারলেন না ম্যাক্সওয়েলও। তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন ওকস। ৬ রানে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়েল। রানের খাতা খোলার আগে স্টয়নিসকে আউট করেন আদিল রশিদ। দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর খুব চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
মাঝে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু এই উইকেট জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩০ রানে ওই জুটি ভাঙেন লিভিংস্টোন। ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু ওয়েড।
সতীর্থদের আশা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে টিকে ছিলেন কেবল অধিনায়ক ফিঞ্চ। ওপেনিংয়ে নেমে ১৮.১ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন তিনি। তবে একা লড়াই করে রানের গতি খুব বেশি বাড়াতে পারেননি ফিঞ্চ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৪৯ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন অ্যাস্টন অ্যাগার।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ১৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান। ২৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
চলমান বিশ্বকাপে গ্রুপ-১ এ খেলছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। দুদলই দারুণ ছন্দে আছে। দুদলই এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছে। এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে সাফল্য পেতে লড়াইয়ে নেমেছে অ্যারন ফিঞ্চ ও ইয়াং মরগানের দল।