আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দামুড়হুদায় মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা বিক্রি: পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা বিক্রির অপরাধে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় এক গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা বিনষ্ট করা হয়। আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, বুধবার দুপুরে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের মেসার্স মাহিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মেঘনা গ্রুপের মেয়াদোত্তীর্ণ ফ্রেশ ময়দার বস্তার গায়ের লেবেল ছিড়ে ফেলে তা বাজারে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় হাতেনাতে এক গাড়ি লেবেল বিহীন মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা জব্দ করা হয় যা বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল।

লেবেল বিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে মেসার্স মাহিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. কবির উদ্দিন মিন্টুকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৫১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ময়দা জনসম্মুখে বিনষ্ট করা হয়।

সহকারী পরিচালক আরো বলেন, এসময় বাজারের অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তদারকী এবং সতর্ক করা হয়। অভিযারে জেলা পুলিশের একটি সহযোগিতা করে।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসুদ আলী তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) গিয়াস উদ্দিন জানান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার আসাননগর গ্রামের সাহাবুল হক, রাজিব হোসেন এবং বিদ্যুৎ আলী। রায়ে ফাঁসির পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকেই ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলা আরেক আসামি ওই এলাকার শাকিল হোসেনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজারে একটি বসত বাড়িতে ঢুকে একদল সন্ত্রাসী ব্যবসায়ী নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে ওই চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন।

১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।


আরও খবর



বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা এই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে বলে জানান ইসি সচিব। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে– এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।

এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দু-দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিনদুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ। বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সোমবার পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক সদস্যের’ নিহতের খবর জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।


আরও খবর



‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



তাইওয়ানে ভূমিকম্প: ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে গেছে এবং এসব ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অন্তত ৭৭ জন মানুষ।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ৭ টা ৫৮ মিনিটে ঘটে এই ভূমিকম্প। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন ও জাপানেও অনুভূত হয়েছে কম্পণ। তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। এ সময় সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এই ১০০ ভবনের অর্ধেকই হুয়ালিয়েন শহরের। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেছেন, গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর