আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দাম কমবে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের পাশাপাশি জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করেন, তাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষায় বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্যাট ও কর অব্যাহতি প্রস্তাবে দাম কমতে পারে কিছু পণ্যের। বর্তমানে কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

অন্যদিকে, আমদানিকারকদের ওই সব পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। ফলে স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।

একই কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির সরঞ্জামের দাম। এছাড়া কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কর সুবিধার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় গাড়ি তৈরির শিল্প। ফলে মোটরগাড়ি তৈরিতে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। ফলে দেশে তৈরি গাড়ি তুলনামূলক কম দামে মিলবে।

এছাড়া স্থানীয় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের শুল্ক ও ভ্যাট সুবিধা ভোগ করে আসছে। যেখানে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের ওপর ৫৮ শতাংশ শুল্ক-কর প্রযোজ্য। সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও অ্যাসেম্বলড হ্যান্ডসেটের জন্য কর দিতে হয় যথাক্রমে ১৩ ও ১৮ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত থাকছে। সে হিসাবে আমদানি কর মোবাইলের তুলনায় আগামী অর্থবছরের তুলনামূলক কম দামে ফিচার ফোন (বাটন ফোন) মিলতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: বাজেট দাম কমবে

আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের বিষয়টি জানিয়েছেন।

আবু নাছের বলেন, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে।

এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


আরও খবর



ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: আইএইএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি রয়েছে পারমাণবিক স্থাপনাও।

তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। এছাড়া ইসফাহানের কাছে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক ভাবে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করতে পারে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কখনোই সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।’

এদিকে ইসফাহানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন’ নেই।

প্রেস টিভির এই প্রতিবেদনে পারমাণবিক স্থাপনাটি চিহ্নিত করা হয়নি, তবে ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইসফাহানের উত্তরে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত। এই শহরটি আবার ইসফাহান প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এছাড়া ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে’ রয়েছে বলে আগেই জানায় ইরানের আরেক রাষ্ট্রীয় টিভি ও সম্প্রচারকারী আইআরআইবি। নির্ভরযোগ্য সূত্র’কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও নিরাপদ’ রয়েছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রটি এর আগেও অবশ্য নাশকতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২১ সালে একই অবকাঠামোতে একটি নিয়ন্ত্রিত’ বিস্ফোরণের খবরও রিপোর্ট করা হয়েছিল।


আরও খবর



মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত ৫৮

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে একটি যাত্রীবাহী নৌকা (ফেরি) ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করা এই নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গত শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নৌকাডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ঙ্কর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।

নাগরিক সুরক্ষা প্রধান থমাস ডিজিমাসে বলেন, উদ্ধারকারীরা পানি থেকে ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পানির নিচে থাকা মোট লোকের সংখ্যা আমরা জানি না।

অবশ্য নৌকা দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বহু মানুষ বাঙ্গুইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়।


আরও খবর



রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে অটল বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরিবেশ ছাত্র রাজনীতিবিহীন অবস্থায়ই সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, নিজেদের দাবিতে তারা অনড় রয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটের উপাচার্যকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বুয়েটের এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

হাইকোর্টের বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি স্থগিতাদেশের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রাখি। বুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগমন এবং শোডাউনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর ৯ অক্টোবর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে অনেক প্রতিষ্ঠানেই তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে, বুয়েট যদি মনে করে তারা সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে।

সব শিক্ষার্থীর মতামত বিচার বিভাগে তুলে ধরতে বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকার আমাদের যে দাবি তার যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অটল। যেই ছাত্ররাজনীতি র‌্যাগিং কালচারকে প্রশ্রয় দেয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ খুলে দেয়, যার বলি হতে হয় নিরীহ ছাত্রদের তা আমাদের জন্য ভালো কিছু কখনোই বয়ে আনেনি, আনবেও না। ছাত্র রাজনীতিবিহীন বুয়েটের পরিবেশ ছিল সর্বোচ্চ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব। মৌলবাদী শক্তিকেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারি।

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূরণ করতে উপাচার্যের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আমাদের ভিসি স্যারের ওপর আস্থা রাখি। আমরা শিক্ষার্থীরা আমাদের ভিসি স্যারকে এই আর্জি জানাচ্ছি, তিনি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে নিয়ে আপামর বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের যে আকাঙ্ক্ষা তা সব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাতে পূরণ করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার ২০১৯ সালের বুয়েটের ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর