আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ড. কামালের কর ফাঁকি নিয়ে রিটের শুনানি আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের কর ফাঁকি নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিটের শুনানি হবে রোববার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে।

কর আপিল ট্রাইব্যুনালের এক আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ড. কামালের আইনজীবীর করা রিটের শুনানির জন্য আজ রোববার (০৫ জুন) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে উঠবে।

বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনের বিষয়টি শনিবার (৪ জুন) রাতে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ড. কামাল হোসেনের জুনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন।

তিনি বলেন, আপিলেট ট্রাইব্যুনালের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রোববারের কার্যতালিকার দুই নম্বরে রয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ কর বছরের জন্য ড. কামাল হোসেন তার আয়কর রিটার্নে মোট বার্ষিক আয় ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা প্রদর্শন করেন এবং সে অনুযায়ী ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৮ টাকা কর হিসেবে উৎসে কর কর্তন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর উপকর কমিশনার এক আদেশে তার আয় ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকা ধার্য করেন এবং এর জন্য ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা বিলম্ব মাশুলসহ মোট ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা আয়কর দাবি করেন। ড. কামাল হোসেন এ আদেশের বিরুদ্ধে কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করলে সেটি খারিজ হয়ে যায়।


আরও খবর



‘কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে সি ব্লকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ভয়েস বা স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশেই রয়েছে। কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয়েস, কণ্ঠ হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে হলেও কথা বলার প্রয়োজন হয়। তাই কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করলে, আবার জন্মগত ত্রুটির কারণেও কণ্ঠের ভয়েস বা স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভয়েসের সুরক্ষায় আমাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা, ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান এবং অতিরিক্ত ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে আহার সম্পন্ন করা উচিত। শিক্ষকদের ক্লাসে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে চলাফেরার সময় সবারই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোলজি ডিভিশন প্রধান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর



ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদ দেখার সাপেক্ষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ওই দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও দুপুরের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ওই দিন দেশের কোনো কোনো স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। এছাড়া আগামী দুদিন (বুধ-বৃহস্পতি) বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, যেহেতু কালবৈশাখীর সময় তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে। এদিন আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা বাড়বে, ঈদের দিনও সেটা অব্যাহত থাকবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, সরবরাহ বিঘ্নিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সা‌র্ভিসের পাঁচ‌টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। পল্লী বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফলে কয়েকটি উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগবে।

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে যাতে একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন তৈরি করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।


আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর