চুয়াডাঙ্গার
আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক সুনীল কুমার দাসকে হত্যার দায়ে দুই ভাইসহ
তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে
জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় ২৯ বছর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মাসুদ আলী এ
রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামিরা হলো, আলমডাঙ্গার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের কালু ফকিরের ছেলে সুলতান হোসেন (৫৫),
লালু মণ্ডলের ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে ন্যাকো (৫৮) ও তার ভাই শওকত আলী (৬০)।
মামলা সূত্রে
জানা গেছে, জমি জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দণ্ডিত
আসামিরাসহ অন্তত ১৫-১৬ জন ব্যক্তি সুনীলদের বাড়িতে গিয়ে সুনীলের দুই হাত বেঁধে ধারালো
অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই অনিল কুমার দণ্ডিত আসামিসহ অজ্ঞাত
আসামিদের নামে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এদিকে মামলায়
মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে
প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামি সুলতান হোসেন, লিয়াকত আলী ও শওকত আলীকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড
করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা
ও দায়রা জজ-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াস উদ্দিন জানান, এ হত্যা মামলায় মোট আসামি
ছিলেন ২৫ জন। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার বাকী আসামিদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।