চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের শিশু আবু হুরাইরাকে (১১) হত্যার দায়ে একই গ্রামের আসামি মোহাম্মদ মোমিনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর দু আসামি পারভেজ আহমেদ ও আশরাফুজ্জামান রিজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডিতদের মধ্যে পারভেজ আহমেদ পলাতক আছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে নিঁখোজ হয় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরাইরা। খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি আব্দুল বারেক বাদি হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জু হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন পর গোপন অনুসন্ধানে তথ্য পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ একই গ্রামের মোহাম্মদ মোমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে তালতলা কবরস্থানের একটি পুরাতন কবরের ভেতর থেকে শিশু আবু হুরাইরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ মামলায় তদন্তশেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট তালতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মোমিন (২৩), একই গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আশরাফুজ্জামান রিজন (৩০) ও মোতালেব হোসেনের ছেলে পারভেজ আহমেদকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমানে আসামি মোহাম্মদ মোমিন, আশরাফুজ্জামান রিজন ও পারভেজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোমিনকে মৃত্যুদণ্ড ও আসামি আশরাফুজ্জামান ও পারভেজ আহমেদকে ১৪ বছর করে যাবজ্জীবন করাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আসামি পারভেজ আহমেদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।