আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গায় জমে উঠেছে শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চুয়াডাঙ্গা থেকে তানজীর ফয়সাল:

কার্তিক বা কত্যায়নী পূজা হিন্দু বাঙালিদের একটি জনপ্রিয় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব কে ঘিরে চুয়াডাঙ্গায় এবারও পুরনো রীতি অনুসারে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কত্যায়নী পূজা উৎসব মুখর জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে কলাগাছি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্জার সকল কাজ সম্পুর্ন শেষে আজ ৩০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আরম্ভ হবে এ পূর্জার আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচ দিনের এ উৎসব আগামী ৩ নভেম্বর দশমী বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরনো রীতি অনুসারে অতীতের মতো প্রতিবছরের ন্যায় জেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের  কলাগাছি গ্রামের দু'টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কাত্যায়নী পূজা বা কার্তিক পূজার এ উৎসটি। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা উৎসব। এ দূর্গা উৎসবের ঠিক একমাস পরই কলাগাছির হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কার্তিকী বা কাত্যায়নী পূজাটি উদযাপন করে থাকেন। এ পূজাকে ঘিরে কলাগাছির হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

পূর্জা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যেই পাবনা থেকে আগত প্রতিমা শিল্পী শ্রী জিতেন চন্দ্রর নিখুঁত হাতে খড়, বাঁশ, কাঁঠ, বেলে ও এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন স্বরস্বতী, কার্তিক, লক্ষী, সিংহ, গণেশ, অসুর, মহিষ, হাতি, পদ্মফুল প্রভৃতি প্রতিমাগুলো। প্রতিমা গুলোর শুকানোর পর প্রতিমা শিল্পীর নিখুঁত হাতের ছোঁয়া আর রং তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছেন সকল প্রতিমা গুলো। দেখে মনে হয় প্রতিমা শিল্পী তার হাতের জাদুকরী ছোঁয়াতে রূপ দান করেছেন আপন মনে। ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন্ত রূপ। মূলতঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিমা গুলো দেখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি পথচারী সহ এলাকার শিশু-কিশোররাও ছুটে যাচ্ছেন দেখতে।

প্রতিমা শিল্পী জিতেন চন্দ্রর সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, পাবনা জেলায় বাড়ি তার। বাপ দাদা সূত্রে পাওয়া এ পেশায় দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন জেলাতে কাজ করছেন তিনি। নিজের হাতে মায়ের কাজ করতে পারাতে আনান্দিত বলে ও জানান তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, মায়ের সর্বোচ্চ সুন্দর রূপ দান করতে নিজ মনের গভীর থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে সর্বদাই চেষ্টা করেছি। আর এ প্রতিমা তৈরি করতে হলে আমাদের মতোন মৃৎশিল্পীদের মনের মাধুরি মিশিয়ে কাজ করাটাও জরুরি।

পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে, কার্তিক পূজা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি জনপ্রিয় উৎসব। কার্তিক শিব ও দুর্গার সন্তান। তিনিই হিন্দুদের যুদ্ধ দেবতা। এ পূজাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে জনপ্রিয় ও  প্রসিদ্ধ। কার্ত্তিক পূজার মাধ্যমে দম্পতিরা তাদের সন্তান-সন্ততি প্রার্থনা করে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, গত দুইটি বছর মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ স্বল্প পরিসরে এ পূজা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে ছিলো এখানে। গত দুইটি বছরের আনন্দ পুষিয়ে নিতে এ বছরের অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ আর বাহারি আলোকসজ্জায় পূজা প্রাঙ্গণের গেইট ও ডেকোরেশনে সাজানো হয়েছে। মায়ের মন্দির ও প্রবেশের দার পথেও রয়েছেন বিভিন্ন রঙের আলোকবাতি।

রোববার মহাষ্টমীর মধ্যে দিয়ে শুরু এ পূর্জা উৎসব আগামী ৩ নভেম্বর বিজয়ী দশমিক মধ্য দিয়ে শেষ হবে। কার্ত্তিক দেবতাদের সেনাপতি। তিনি অসীম শক্তিধর দেবতা। সেজন্য তাকে রক্ষাকর্তা হিসেবে আমার প্রতি বছরের মতো এবারও ইউনিয়নটির কলাগাছি গ্রামে এ পূজার আয়োজন করেছি।

এ বিষয়ে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাঃ শফিকুর রহমান রাজুর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে, তিনি আজকের দর্পণের প্রতিবেদক তানজীর ফয়সালকে জানান, ইউনিয়নের কলাগাছি গ্রামটি খুবই সীমিত মানুষ নিয়ে গঠিত একটি গ্রাম। পুরোনো রীতি অনুসারে এখানে প্রতি বছরের এ দিনটিকে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর শত বছরেরে পুরনো এ কার্তিক পূজার আয়োজনে করে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করে আসছেন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৪ দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে জেলেরা সহায়তা চাইলে রাতে কোস্টগার্ড জেলেদের উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ড জানায়, পাথরঘাটা থেকে হানিফ মুন্সি নামক একটি ফিশিং বোট গত ১৫ মার্চ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। এরপরে গত ১৯ মার্চ বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া বোটের মাঝি মাসুম মৌলভি এর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড। এরপর আজ রাতে ওইসব জেলেদের জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দুবলা ও কচিখালী যৌথ অভিযানিক দল।

উদ্ধার হওয়া জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানায় কোস্ট গার্ড।


আরও খবর



মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৪৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৪৫ জন। রাশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারির একমাসের মধ্যে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটলো। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একদল অস্ত্রধারী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) একটি শপিংমলে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

হামলার সময় হলে পিকনিক নামের একটি ব্যান্ডের পরিবেশনার প্রস্তুতি চলছিল। এই কনসার্টের জন্য ৬ হাজার ২০০ টিকেট বিক্রি হয়েছিল। হলটিতে ৯ হাজারের বেশি মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে শপিংমলে বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনার পরপর নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক পোস্টে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়েছে। তবে আইএসের ওই পোস্ট স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা সব্যসাচী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

এদিকে, টলিপাড়ায় এ খবর জানার সাথে সাথেই চিন্তা পরে গেছেন সবাই।

সব্যসাচীর কী হয়েছে তা জানতে সব্যসাচীর স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এ বিষয়ে খুব বেশি কথা বলতে রাজি হননি। তবে সব্যসাচী যে হাসপাতালে ভর্তি সেই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি পুত্র গৌরব ও পুত্রবধূ ঋদ্ধিমা ঘোষের সন্তান ধীরের অন্নপ্রশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব কিছুর তদারকি করেছেন। নাতির সঙ্গে সময় কাটাতে যে পছন্দ করেন সব্যসাচী, সে কথাও এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন গৌরব। আপাতত সব্যসাচীর শারীরিক অসুস্থতার খবরে চিন্তিত অনুরাগীদের একাংশ।

গত বছর শোনা গিয়েছিল, সব্যসাচী নাকি আর অভিনয় করবেন না। বাংলাদেশের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন অবসর নেয়ার কথা। তবে, পরে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, তার বক্তব্যের অন্য মানে বার করা হয়েছে। অভিনয় কম করলেও তিনি যে অবসর গ্রহণ করেননি, সে কথাও স্পষ্ট করেছিলেন অভিনেতা। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তিনি শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত দেবী চৌধুরাণী ছবিতে অভিনয় করছেন।


আরও খবর



পদোন্নতি পেয়ে বিসিএসের মর্যাদা পেলেন ৩৭ পরিদর্শক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের ৩৭ জন পুলিশ পরিদর্শককে (ইন্সপেক্টর) পদোন্নতি দিয়ে বিসিএস-পুলিশ ক্যাডার সমমর্যাদায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) করা হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে তাদের এই পদোন্নতি দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর যোগদানপত্র দিয়ে নতুন পদে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন, মো. আনোয়ার হোসেন মিয়া- হাইওয়ে গাজীপুর, জাফর উদ্দিন আহম্মদ- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, মো. দেলওয়ার হোসেন- কুমিল্লা, খোন্দকার হোসেন আহম্মদ-খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, খুলনা, মো. নজরুল ইসলাম- রাজশাহী জেলা; মো. শাহজাহান আলী, স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন-২।

মো. বাবুল উদ্দীন সরদার- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, বরিশাল; এ কে এম কাউসার- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নোয়াখালী; মোহাম্মদ মিজানুর রহমান- বিশেষ শাখা, মো. ইসমাইল হোসেন- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পাবনা; মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নাটোর; জিল্লুর রহমান চৌধুরী- বিশেষ শাখা।

কাজী জাহেদুল হাফিজ- রাজশাহী মহানগরী পুলিশ, রাজশাহী; মো. মতিয়ার রহমান- বিশেষ শাখা, মো. আব্দুল বাছেদ- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মো. মাহফুজুর রহমান- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মো. কামরুল হক- বিশেষ শাখা, মো. এনামুল হক- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নোয়াখালী; মো. কাউয়ুম শেখ- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, মকবুল আহাম্মেদ- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, হবিগঞ্জ।

মো. জাকির হোসেন মোল্লা- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ অধিদপ্তর, মো: রফিকুল ইসলাম খান- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, ঢাকা; মো: নবীর হোসেন- সিলেট মহানগরী পুলিশ, মো. তাবরেজুর রহমান সরদার- রংপুর, মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিক- ১৩ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, উত্তরা; মো. হাবিবুর রহমান- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পটুয়াখালী; মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, একেএম মেহেদী হাসান- স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন-২, মো. আনোয়ারুল হক ভূঁঞা- বিশেষ শাখা, ঢাকা;

শেখ মোস্তাফিজুর রহমান- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মো. মনজুর রহমান- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ; মো. শাহ আলম- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকা; আ ম ফারুক- অপরাধ তদন্ত বিভাগ, ঢাকা; মো. আমিরুল ইসলাম- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মুহাম্মদ জাকের হোসাইন- বিশেষ শাখা, ঢাকা; মো. সাইদুর রহমান- পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কক্সবাজার।


আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর