আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চুয়াডাঙ্গা ৮ ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ ১৬ ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার উথলি, কেডিকে, মনোহরপুর, বাঁকা, হাসাদাহ, ও রায়পুর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় নাগদাহ ও আইলহাস ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে।  প্রথমবারের মতো সবাই ইভিএমে ভোট দিচ্ছে ভোটারা। তাই আনন্দ আর উদ্দিপনার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে। আর এদিকে কোনো ভোটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না হয়। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে কঠোর তৎপর।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ১৮টি কেন্দ্রে এবং জীবননগর উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নে ৫৪ টি ভোটকেন্দ্রে ২৬১ টি ভোটকক্ষে সকাল ৮ টায় আজ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।  আর  বিকাল ৪ টায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ছিল প্রতিটা ইউনিয়ন হাটবাজার থেকে শুরু করে সব অলিগলিতে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাধা দেয়া ও কর্মীদের ওপর হামলা ভাংচুরের ঘটনা যেন না সেজন্য প্রশাসন কঠোর তৎপর রয়েছে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭৮৫ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছে ২৫৮জন প্রার্থী।

উথলী ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৫৩ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৬১৪ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৫৩৯ জন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হান্নান, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজালুর রহমান ধীরু, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, শাখাওয়াত হোসেন, আব্বাস উদ্দিন জোয়াদ্দার, লিমন ফেরদৌস।

মনোহরপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৪৬১ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৭৮৩ জন,নারী ভোটার ৬ হাজার ৬৭৮ জন। এ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহরাব হোসেন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন বিএনপির নেতা কামরুজ্জামান, মো. রাজা মিয়া এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হলেন আবু নাঈম।

কে.ডি.কে ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৯৪ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬হাজার ৬৯২ জন এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৯০২ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাইরুল বাশার শিপলু, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন বিএনপির নেতা মো. তানভির হোসেন রাজীব।

বাঁকা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৪৫ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭হাজার ৫৮৪ জন,নারী ভোটার ৭হাজার ৫৬১ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের প্রধান। জাতীয় পার্টি মো. তরিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহাববুদ্দিন মালিতা, মো. আবুল কাশেম মুন্সী, মাওলানা হাফিজুর রহমান, রাজা আহাম্মেদ।

হাসাদহ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৫ হাজার ৮৫৬ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৯০১ জন ,নারী ভোটার ৭ হাজার ৯৫৫ জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. সোহরাব বিশ্বাস, মো. ইসরাফিল হুসাইন, মো. সামছুল আলম, মো. বাবুল আকতার টলো, মো. মতিয়ার রহমান। এবং রায়পুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১০ হাজার ২৭৬ জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ২৫৭ জন এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ১৯ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন তাহাজ্জদ মিজা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হলেন মো. আব্দুর রশিদ শাহ , সাজ্জাদ বিশ্বাস, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আব্দুল হান্নান।

উথলী, কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজর আহমেদ। আর বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান।

নির্বাচনে ৫৪ টি কেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও ২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিকেন্দ্রে ২ জন করে মোট ৫২২ জন পোলিং অফিসার থাকবেন। প্রতিটি ভোট কক্ষে ১টি করে ২৬১ টি ইভিএম মেশিন থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ১ টি করে মোট ১৩০ টি অতিরিক্ত ইভিএম মেশিন থাকবে বলেও জানান  উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজর আহাম্মেদ।

আলমডাঙ্গা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, এই দুটি ইউনিয়নে মোট ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নাগদাহ ইউনিয়নে ৯ জন ও আইলহাঁস ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান। নগদাহ ইউনিয়নে ৯ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, হায়াত আলী (নৌকা প্রতিক), স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল (চশমা প্রতিক) স্বতন্ত্র প্রার্থী দারুস সালাম (মটর সাইকেল প্রতিক), আলমগীর হোসেন (রজনীগন্ধা প্রতিক), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (আনারস প্রতিক ), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক), আওয়ালুজ্জামান (অটো রিক্সা প্রতিক), মিশর আলী (টেলিফোন প্রতিক), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত (টেবিল ফ্যান)

আইলহাঁস  ইউনিয়নে ৩ প্রার্থীর মধ্যে  আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী, জাহিদুল ইসলাম বাদল (নৌকা প্রতিক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ বিল্লাল গনি (আনারস প্রতিক) ও মিনাজ উদ্দিন বিশ্বাস (চশমা প্রতিক)। অন্যদিকে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা ২৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নিউজ ট্যাগ: চুয়াডাঙ্গা

আরও খবর



মিয়ানমারে সংঘাত: উখিয়া সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সীমান্তে গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ারুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আনোয়ারুল ইসলাম পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতের বিল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।

এ নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি হলো। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জলপাইতলী এলাকায় ওপারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে দুজন নিহত হন। এদের একজন বাংলাদেশি নারী ও অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ।

গুলিবিদ্ধ আনোয়ারুল এক মাসেরও বেশি চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যায় বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন>> পাঁচ দিনের মাথায় উৎপাদনে ফিরছে এস আলমের চিনিকল

তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল অস্ত্র নিয়ে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই দিন পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্রধারী ২৩ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিলে তাঁরা গুলি ছোড়েন।

গুলিতে আনোয়ারুলসহ পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আনোয়ারুল ইসলামের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানো হয়। আনোয়ারুল ইসলাম তিন সন্তান রয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘাত চলে আসছে। এ সংঘাতের জেরে প্রায় প্রতিদিন গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে এপারের সীমান্তঘেঁষা বাসিন্দারা ভয় ও আতঙ্কে আছেন।


আরও খবর



রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।

সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে৷ কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে৷ পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি৷ চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব৷ মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহ্বান জানান৷

সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম,  চৈতী সর্ববিদ্যা,  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,

চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হলমার্কের তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি তানভীর মাহমুদ ও জেসমিন ইসলামকে ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহম্মেদ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগণ গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি আব্দুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হাসান খান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মেরীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছিলেন। তবে ওইদিন রায় থেকে মামলাটি উত্তোলন করে আরও দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে গত ১২ মার্চ আদালত দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে ভুয়া কোম্পানির হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাৎ মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান মামলার তদন্তকাজ শেষ করেন বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।


আরও খবর



ইসরায়েলি কমান্ড সেন্টারে হামাসের হামলা, নিহত ৭

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। এদিকে পৃথক পৃথক হামলায় অন্তত ৭ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করার দাবি করেছে হামাস। আল কাসাম ব্রিগেড শুক্রবার এক বিবৃতিতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছে।

বেইত হানুন শহরের পূর্বপাশে অবস্থিত ওই কমান্ড সেন্টারটিতে একটি ড্রোন ব্যবহার করে দুটি অ্যান্টি পার্সোনাল রকেটে ছোড়ে হামাস যোদ্ধারা। একই শহরে আরো এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করার দাবি করেছে হামাসের ব্রিগেডটি। 

আরও পড়ুন>> গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে নিহত ৫

আলাদা বিবৃতিতে আল কাসাম জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাড়ির ভেতরে অবস্থান করা ছয় ইসরায়েলি সেনাকেও হামলা করে হত্যা করেছে তারা।

৭ অক্টোবর হঠাৎ করেই ইসরয়েলে হামলা চালিয়েছিলো হামাস যোদ্ধাদের একটি দল। তারপর থেকেই পাল্টা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ পর্যন্ত ইসরাইলের প্রায় ছয়শ' সেনা প্রাণ হারিয়েছে হামাসের বহুমুখী আক্রমণে। বিপরীতে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা ও স্থল অভিযানে প্রাণ গেছে প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনির। 


আরও খবর



রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার হবে প্রথম রমজান। আজ সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি জানান, আজ রাতে প্রথম তারাবির নামাজ এবং সেহরি হবে। আগামীকাল প্রথম রমজান।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভায় বসে চাঁদ দেখা কমিটি।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ইসলামির ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে সোমবার (১১ মার্চ) ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে।

এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ সোমবার দেশের কিছু কিছু এলাকায় রোজা পালন করছে মুসলিমরা।


আরও খবর