চুরির মামলার আসামি মো. রিপন (৩২)। তিনি
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আবদুল আলীমের ছেলে। আইনজীবীর সঙ্গে মামলা বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া
ও মামলার আপডেট জানতে আসতেন আদালত এলাকায়। চট্টগ্রামের কোতোয়ালী, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ,
পটিয়া, ফেনী সদর ও কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট থানায় মোট আটটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে
তার বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ফেরার পথে নতুন করে আবারও মোটরসাইকেল
চুরি করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিপনসহ ৩ জনকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক অন্যরা হলেন, জিলানী প্রকাশ অভি (২৬) ও কক্সবাজার জেলার
মহেশখালী থানার মাতারবাড়ী মনহাজীর পাড়া আনছারের বাপের বাড়ির মো. মোস্তাকের ছেলে সজিবুল
ইসলাম (২১)। তাদের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুমিল্লা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে মেরিনার্স রোড
এলাকা থেকে চোর চক্রের মূলহোতা মো. রিপনকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করা হয়।
রিপন চোরই মোটরসাইকেলগুলো কুমিল্লার আব্দুল কাদের জিলানী প্রকাশ অভি ও কক্সবাজারের
মহেশখালী সজিবুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। অভির কাছ থেকে আটটি ও সজিবের কাছ থেকে চারটি
চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার রিপনের বিরুদ্ধে
বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে। সেই মামলাগুলোর হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম আদালতে আসতেন
নিয়মিত। আদালতের কাজ শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে কোর্ট বিল্ডিং এলাকাসহ বিভিন্ন
এলাকা থেকে লক করা মোটরসাইকেল বিশেষ কায়দায় তৈরি মাস্টার চাবি ব্যবহার করে দ্রুততম
সময়ে লক খুলে চুরি করে নিয়ে যেত। কক্সবাজারের সজিবুল ইসলামের কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি
করে আসার সময়, সেইখান থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে আসে। সেটি আবার কুমিল্লা
জেলার আব্দুল কাদের জিলানীর কাছে বিক্রি করে। মূলত রিপনই মোটরসাইকেল চুরি করে চট্টগ্রামের
বিভিন্ন স্থানে কম দামে বিক্রি করে দিতেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, মোটরসাইকেল চুরি করতে থাকা রিপনকে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে। বিক্রিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে সহযোগী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায়
চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা দিতে আসতেন সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল চুরি করে কম দামে অভির
কাছে বিক্রি করতেন। কুমিল্লা থেকে আসার পথে মীরসরাই ও সীতাকুণ্ডের হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক
সেন্টারে থাকা বিভিন্ন বিক্রয় প্রতিনিধির মোটরসাইকেল চুরি করে মহেশখালী নিয়ে সজিবের
কাছে কম দামে বর্ডার ক্রস বলে বিক্রি করতেন। রিপনের কাছ থেকে একটি মাস্টার চাবি পেয়েছি।
যেসব মোটরসাইকেল কম দামি ও লক দুর্বল ওগুলোকে তার টার্গেট করতো। গ্রেপ্তার তিনজনকে
আদালতে পাঠানো হয়েছে।