আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চুনারুঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সিকৃবি ছাত্র রাব্বির মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে চার জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহত মো. মঈনুল ইসলাম (রাব্বি) মৃত্যু হয়। নিহত মঈনুল ইসলাম নবীগঞ্জ ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন।

এখনও হাসপাতালে দুই জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতরা হলেন সিএনজির যাত্রী উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের কাকাউশ প্রকাশ পাঁচগাও গ্রামের সুরুক আলীর মেয়ে, কালিশিড়ি গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৪০), একই ইউনিয়নের লাদিয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রুমেন মিয়া (৫৫), দেওরগাছ ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার করিম মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫) ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামের মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম (৩০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার সিএনজিচালক আব্দুল নুরের ছেলে পারভেজ (২৪) ও একই উপজেলার বনগাও গ্রামের শফিক মিয়ার মেয়ে ফারিয়া আক্তার (৩০)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে অটোরিকশাযোগে চুনারুঘাট যাচ্ছিলেন ছয় যাত্রী। চাঁনভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই রুমেল ও নাজমা নিহত হন।

এ ঘটনায় অটোরিকশাচালকসহ চার জন গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জসিম মিয়া মারা যান। শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাব্বি। বাকি দুই জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে চার জনে দাঁড়িয়েছে। গুরুতর আহত দুই জন সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেতর এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বেতর এলাকায় ওই লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশনের ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোররাতে বঙ্গবন্ধু পূর্ব রেলস্টেশনে বিরতি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। পথে টাঙ্গাইল রেল স্টেশন পৌঁছালে ট্রেনটির ইঞ্জিনের পাশে লাগেজবাহী বগিটি হঠাৎ লাইসচ্যুত হয়। ফলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকবর জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিক রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দুএক দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ও সময় (তফসিল) ঘোষণা করবে। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন ও মহাসড়ক বিভাগের বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধনসহ প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা স্বরনী (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনা ও ঘরের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায়না। কারণ, যারা ৩০টি সিট পেয়েছিল (২০০৮ সালে) স্বাভাবিক ভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোন আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলাই তাদের চেষ্টা।

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৯ হাজার ৯৯৫টি অবকাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত কাজের উদ্বোধন এবং ৪৬টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১০১টি প্রান্ত ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৪৪টি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৩৯৭টি গৃহ নির্মাণ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জালাও পোড়াও। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে। অথচ বিএনপির আমলে যেখানে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ সেখান থেকে বর্তমানে আমরা সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে উন্নীত করেছি। আজকে সমস্ত ছেলে-মেয়ে, প্রায় ৯৮ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে। সেসব কিছু আজকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি এটুকু বলবো যে ওদের সুমতি হোক। এই ধ্বংসযজ্ঞ তারা বন্ধ করুক। অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসীকেও বলবো যে এই অগ্নিসন্ত্রাস আপনাদের প্রতিরোধ করতে হবে। সকলেরই জানমাল আছে। ২০১৩,১৪ ও পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ভূক্তভোগীদের যন্ত্রণা ও কষ্ট আমরা দেখেছি। কাজেই এই ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়। অনুষ্ঠানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সে জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাও প্রয়োজন।প্রধানমন্ত্রী সরকারের ধারবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন হিসেবে তাঁর ৯৬ থেকে ২০০১ পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দু:শাসনের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ৯৬ সালে তিনি সরকারের এসে দেশকে খাদ্য ঘাটতির একটি দেশ হিসেবে পেয়েছিলেন, ৪০ লাখ মেট্রিক টন ছিল খাদ্য ঘাটতি। উৎপাদন হতো ৬৯ বা ৭৯ লাখ মেট্রিক টন। সে সময় তাঁর সরকার গবেষণা ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা বরাদ্দ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলে। সে সময় চালের দাম ছিল মাত্র ১০ টাকা। মূল্যস্ফীতি ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। যখন তাঁর মেয়াদ শেষে দেশে প্রথমবারের মত শান্তিপূর্ণ ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য দেশে উবৃত্ত রেখে যান। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে। দেশের গ্যাস বিক্রির দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে রাজি না হওয়ায় ভোট বেশি পেলেও পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এরপর বাংলাদেশে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-বাংলাভাই-বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, একইসাথে ৫শ জায়গায় বোমা হামলা-এগুলো বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবেলা করতে হয়। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর থেকে ৭১ এর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ন্যয় বর্বরতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীও এরকম নির্যাতনের শিকার হয়। আইনজীবী হত্যা, জেলা জজকে বোমা মেরে হত্যা এমনকি ছয় বছরের ছোট্ট রজুফাও গ্যাং রেপ থেকে রেহাই পায়নি। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ভিটিমাটি থেকে উৎখাত হতে হয়। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। আর এই অবস্থার জন্যই দেশে জরুরি অবস্থা আসে।

২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে যেখানে বিএনপি ৩০ আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় যখন নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। এরপর ২০১৮র নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটায় তারা।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ কোনদিন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া সরকার গঠন করে নাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনকরে নির্বাচন কমিশন গঠন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন তথা নির্বাচন ব্যবস্থার যাবতীয় সংস্কার আওয়ামী লীগের প্রস্তাবেই করা হয়েছে। কারণ, রাতের অন্ধকারে অস্ত্র তুলে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আজ দেশের যে প্রভূত উন্নয়ন তা দীর্ঘসময় একটানা ক্ষমতায় থাকতে পারার জন্যই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে সক্ষমতা ১৬শ মেগাওয়াট ছিল তা বর্তমানে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জে¦লেছে সরকার। অথচ তাঁর সরকার ৯৬ সালে পাওয়া ১৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াটে রেখে যায়। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার এক ইউনিটও উৎপাদন না বাড়িয়ে উল্টো বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেই মর্যাদাটা আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি যেটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর আমরা পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় কাজ করে যাবার আহবান জানান।

১১টি জেলাকে ও ৬০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীণ মুক্ত ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় কেউ ভূমিহীন-গৃহহীণ থাকবে না, তাঁর এই অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ১১টি জেলা ও ৬০টি উপজেলা সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত বলে ঘোষণা করেন। জেলাগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, সিলেট ও মৌলভীবাজার। এনিয়ে দেশের মোট ভূমিহীন ও গৃহহীণ মুক্ত জেলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২টি এবং উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৯৪টি।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




২৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪৯ কোটি ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার করে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ২৪ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পরের মাস আগস্টে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


আরও খবর
চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




শ্রীমঙ্গলে হোটেল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হোটেল থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ৮টায় শহরের নতুন বাজার এলাকায় মুন হোটেল থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর তিন ব্যক্তি ওই হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। পরদিন দুজন চেক আউট করে চলে যায়। পরে হোটেল বয় ওই কক্ষ তল্লাশি না করে ওই কক্ষের দরজা তালা মেরে দেন। সোমবার ওই কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে কক্ষের তালা খুলে খাটের নিচে একজন পুরুষের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান হোটেলের ম্যানেজার। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘঠনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেন।

এ সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল মৌলভীবাজার থেকে এসে লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য হাতের আঙুলের চাপ নিলে লাশ পচনের কারণে আঙুলের চাপ ম্যাচ করেনি বলে জানা যায়। 

রও পড়ুন>> ভারী বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ে ৫ জনের মৃত্যু, বিমানবন্দর বন্ধ

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার তদন্তের স্বার্থে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা দুজনের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, লাশ পচনের কারণে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন বুঝা যায় নাই, তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে এটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর ওই হোটেল থেকে একজন ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


আরও খবর



আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমানকে শোকজ করেছে ইসির অনুসন্ধান কমিটি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে চিঠি দেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব। আগামী ৩ ডিসেম্বর আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কিংবা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় পত্রিকার অনলাইনে ও ২ ডিসেম্বর প্রিন্ট ভার্সনে সচিত্র সংবাদ অনুযায়ী শুক্রবার শহরের তল্লা এলাকায় আপনার পক্ষে নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মিছিল ও পথসভা করা হয়। যার ফলে যানবাহন ও পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এরূপ কার্যক্রম প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ৬-এর (খ) এবং ১২ ধারা বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আগামী ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে শামীম ওসমানের পক্ষে শোডাউন ও নৌকায় ভোট চেয়ে মিছিল করেন ফতুল্লার যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব। শতাধিক কর্মী সমর্থক সঙ্গে নিয়ে বাদ্য বাজিয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। অনুসন্ধানী কমিটির উল্লিখিত ধারা অনুযায়ী প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে ভোট চাওয়া বা কোনো শোডাউন করতে পারবেন না।

শামীম ওসমানের অনুসারীদের মিছিলটি আচরণবিধির লঙ্ঘন স্বীকার করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, যারা মিছিল করেছেন তাদের সতর্ক করা হবে। নির্বাচন অনুসন্ধানী কমিটি প্রার্থীকে চিঠি প্রদান করেছে।

এ বিষয়ে শামীম ওসমানের একান্ত সচিব হাফিজুর রহমান মান্না জানান, এ বিষয়ে জানা নেই। নোটিশ পেয়েছে কি না তা স্যার (শামীম ওসমান) ভালো বলতে পারবেন।

এদিকে চিঠির বিষয়ে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় শামীম ওসমান সশরীরে আদালতে উপস্থিত হবেন। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩