আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চতুর্থ দিন শেষে জয়ের খুব কাছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ৩৩২ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ১১৩ রানে ৭ ‍উইকেট হারিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। প্রথম টেস্ট বাঁচাতে কিউইদের প্রয়োজন ২১৯ রান। অন্যদিকে বাংলাদেশের জিততে দরকার আর মাত্র ৩ উইকেট। ড্যারিল মিচেল ৪৪ আর ইশ সোধি ৭ রানে অপরাজিত আছেন। ৭ উইকেটে ১১৩ রান সফরকারীদের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্পিন বিষে চাপে পড়ে কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লাথামকে আউট করে সাফল্য এনে দেন শরীফুল ইসলাম। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান এই কিউই ওপেনার। এরপর ক্রিজে আসা কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ডেভন কনওয়ে।

দলীয় ১৯ রানে উইলিয়ামসনকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ২৪ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উইলিয়ামসন। এরপর দলীয় ৩০ রানে ৮ বলে ২ রান করে আউট হন হেনরি নিকোলাস। তাকে সাজঘরে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

৩ উইকেটে ৩৭ রান সংগ্রহ করে চা পান বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর মাঠে ফিরে আরও ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৪৬ রানের মাথায় ওপেনার ডেভন কনওয়েকে ফেরান তাইজুল। খানিক বাদেই টম ব্ল্যান্ডেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দলীয় ৮১ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন গ্লেন ফিলিপস। তাকে এলবির ফাঁদে ফেলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।

এরপর কাইল জেমিসনকে এলবিডব্লিউ করে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেটের দেখা পান তাইজুল। তবে কিউইদের হয়ে একাই লড়ে গেছেন মিচেল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। চতুর্থ দিনের শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত আছেন মিচেল। যা কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান তুলেছিল। ওই ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন ওপেনার জয়। এছাড়া শান্ত ও মুমিনুল ৩৭ করে রান যোগ করেন। শাহাদাত ২৪ ও মিরাজ ২০ রান করেন। সোহান যোগ করেন ২৯ রান।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ১০৪ রান করেন। এছাড়া হেনরি নিকোলস ৪১ ও গ্লেন ফিলিপস ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। টিম সাউদি ৩৫ রান যোগ করেন। দলটি প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান তুলে অলআউট হয়েছিল।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ৬৭ ও মেহেদী মিরাজ ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন। মুমিনুল হক ৪০ রান করে আউট হন। ৩ উইকেটে ২১২ রানে তৃতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন ১২৬ রান যোগ করেছে। অলআউট হয়েছে ৩৩৮ রানে।


আরও খবর



মাদারীপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপদাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপদাহ। যা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



তাইওয়ানে ভূমিকম্প: ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে গেছে এবং এসব ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অন্তত ৭৭ জন মানুষ।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ৭ টা ৫৮ মিনিটে ঘটে এই ভূমিকম্প। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন ও জাপানেও অনুভূত হয়েছে কম্পণ। তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। এ সময় সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এই ১০০ ভবনের অর্ধেকই হুয়ালিয়েন শহরের। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেছেন, গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



তরমুজের পর ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের ডাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের হিড়িক। মূলত বাজারে গরুর মাংসের অতিরিক্ত দামের কারণে অনেকে এটিকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে দাম কমবে বলে ধারণা তাদের। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপে এ বয়কটের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।

এর আগে রমজানের শুরুতে রাজধানীতে তরমুজের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তখন থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে এ পণ্য কিছুদিনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অনেকে পোস্ট দেন। তবে রোজার মধ্যেই তরমুজ নেমে এসেছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। এটিকে প্রতিবাদ বা বয়কটের ফল হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা।

তরমুজ বয়কটের দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তবে শুক্রবারও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে অনেকের স্ট্যাটাসই ভাইরাল হয়েছে। এদের মধ্যে একজন লিখেছেন, তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আমজনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন, বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কত দিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।

অন্য একজন একটি গ্রুপে লিখেছেন, আমি গরুর মাংস কিনলাম। বললো যে, দেশের মানুষ ভাত পায় না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অন্য একটি স্ট্যাটাসে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে বলা হয়েছে, আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দেশবাসী আপনারা তরমুজকে বয়কট করেছেন, এখন বর্তমানে তরমুজের দাম ১০০ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩০ টাকা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এবার আপনাদের পালা, গরুর মাংস কে বয়কট করুন, দেখবেন ৮০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে চলে এসেছে গরুর মাংস। ধন্যবাদ।


আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




তীব্র তাপদাহে তিন শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) পাঠদান শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন শিক্ষক প্রাণ হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া তিন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরিতে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী (৫৫) মারা যান। তিনি জেলার বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন।

এদিন সকালে মাদ্রাসা খোলা থাকায় তিনি নগরের চান্দগাঁও মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। মোস্তাক আহমেদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশীখালীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।

এদিন সকালে যশোরে স্কুলে আসার পর আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহসান হাবীব যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামের ইউছুপ আলী মোল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, শিক্ষক আহসান হাবীব আজ সকালে মাঠে কৃষি কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের ধারণা ওই শিক্ষক গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এছাড়া মানিকগঞ্জে শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিক্ষিকা সদর উপজেলার বাসুদেবপুর ২৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষক হাছিনা ঢাকার পপুলার হাসপাতালে শনিবার দুপুরে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। পারভীন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিটি হাসপাতালেই বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে চলমান তাপপ্রবাহ আরো তিনদিন অব্যাহত ও তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে সারাদেশে ফের ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তীব্র তাপদাহের মধ্যেই এদিন সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


আরও খবর