চলমান বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে
শক্তিশালী দল গঠন করেছে রংপুর রাইডার্স। দলে রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সকিব আল হাসান।
এ ছাড়াও টি-টোয়েন্টির বড় বড় তারকাকে দলে নিয়ে চমক দেখিয়েছে রংপুর। আট ম্যাচ খেলে ১২
পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সাকিব-সোহানরা। অষ্টম ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৫৩ রানে
বিধ্বস্ত করেছে রংপুর।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে
নেমে চট্টগ্রামকে ২১২ রানের লক্ষ্য দেয় শক্তিশালী রংপুর রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত
২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। ৫৩ রানে জয় পায় রংপুর রাইডার্স।
এতে আট ম্যাচে ছয়টিতেই জয় পেল রংপুর।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট
খায় চট্টগ্রাম। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে বোল্ড আউট হন জশ ব্রাউন। ৯ বলে ১০
রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে সৈকতকে সঙ্গ নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন
টস ব্রুস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি ব্রুসও।
১৩ বলে ১৪ রান করে ইমরান তাহেরের প্রথম
বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সৈকত। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাহাদত হাসান
দিপুও। ১৩ বলে ৯ রান করে সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দেন দিপু; যা সুন্দরভাবে তালুবদ্ধ
করেন জেমি নিশাম। এতে দলীয় ৫০ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হরিয়ে বসে চট্টগ্রাম।
কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে
থাকেন সৈকত। ৪২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন এই বাংলাদেশি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন
আইরিশ ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফার। দুজনের ব্যাটে ভর করে লক্ষ্য ছোট করতে থাকে বন্দরনগরীর
দলটি।
শেষ চার ওভারে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায়
১০৪ রান। ১৭তম ওভারে জেমি নিশামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন ক্যাম্ফার।
২১ বলে ২৪ রান করেন এই আইরিশ ব্যাটার।
এরপর ব্যাটিংয়ে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন
অধিনায়ক শুভাগত হোম। শেষ দুই ওভারে চট্টগ্রামে দরকার ছিল ৭০ রান। তবে ১৯তম ওভারে প্রথম
বলেই রান আউট হন সৈকত। ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
শেষ ৬ বলে তাদের দরকার ছিল ৬৭ রান; যা
ছিল অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোমের ১২ বলে ৩০ রান এবং নাহিদুজ্জমানের ২ রানের ভর
করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। এতে ৫৩ রানের
জয় পায় রংপুর রাইডার্স।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সাকিব আল হাসান ও
জেমি নিশাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও ইমরান তাহের শিকার করেন এক উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু
করে রংপুরের দুই ওপেনার। ১৭ বলে ২৪ রান করে রনি তালুকদার আউট হলেও পিচে এসে ব্যাট চালাতে
থাকেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৬ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এরপর ৪১ বলে ৫৮ রান
করে আউট হন রেজা হেনড্রিক্স।
শেষ দিকে সোহানের হার না মানা ২১ বলের
৩১ রান এবং জেমি নিশামের ২৬ বলে ৫১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য
পায় রংপুর রাইডাস।