আজঃ রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া খাল রক্ষায় নৌকা চালানোর পরিকল্পনা চসিকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামের চলমান ৪টি প্রকল্প শেষ হলে উদ্ধার হওয়া খালে নৌকা চালানোর পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে রাজাখালী খাল-২ থেকে কল্পলোক আবাসিক এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ দুটি, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি করে ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

মেয়র বলেন, উদ্ধার হওয়া খালগুলোকে রক্ষার্থে প্রকল্প শেষ হলে সেখানে নৌকা চালুর পরিকল্পনা আছে আমার। কারণ প্রকল্প শেষ হলে খালগুলো রক্ষা করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য প্রকল্প শেষ হলে খালগুলোতে বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরির জন্য বারইপাড়া খালসহ উদ্ধার হওয়া সবগুলো খালে নৌকা ও স্পিডবোট চালু করা হবে। খালে যখন মানুষ ময়লা দেখবে না বরং স্বচ্ছ জলপ্রবাহে বিনোদনের উৎস খুঁজে পাবে তখন মানুষ আর খালে ময়লা ফেলবে না। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও রুটিন ওয়ার্ক পরিচালনা করলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা কমবে। পাশাপাশি, এ প্রকল্পগুলোর আওতায় খালপাড়ে নির্মিত সড়ক ও কালভার্টের কারণে নগরীর যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়বে।

প্রকল্পগুলোর সুফল পেতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাড়ানো হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, আমরা প্রকল্প এলাকাগুলোতে  ময়লার ভাগাড়ও নির্মাণ করব, যাতে খালপাড়ের মানুষ বর্জ্য ফেলে খাল ময়লা দিয়ে ভরিয়ে না ফেলে। প্রকল্প এলাকায় উদ্ধার হওয়া খালসংলগ্ন ভূমি রক্ষায় সীমানা নির্ধারণী খুঁটি বসানো হবে। কারণ এ খালগুলোকে রক্ষার সাথে কর্ণফুলী এবং চট্টগ্রামের অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল আর জোয়ারে নগরীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। বৈশ্বিক জলবায়ুগত পরিবর্তনে আগামী কয়েক দশকে ভাটির দেশগুলোতে এই প্রবণতা আরো বাড়বে। আমাদের লক্ষ্য, এই পানি যাতে জমে দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা তৈরি করতে না পারে সেজন্য যতদ্রুত সম্ভব পানি নগরী থেকে সমুদ্রপথে নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা করা।

প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী জানান, সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরীর বাকলিয়া এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পরস্পর সংযুক্ত ৩০-৩২ ফুট প্রস্থের রাজাখালী-১, রাজাখালী-২ এবং রাজাখালী-৩ খাল তিনটির খনন কাজের পাশাপাশি দুই পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল, রেলিং নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া খাল দখল ঠেকাতে দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে সড়কও। খালে এত বেশি পলিথিন ছিল যে, অনেক স্থানে ৪ মিটার পর্যন্ত মাটি তুলে ফেলতে হয়েছে। এরপর বালু ফেলে ভরাট করে বিটুমিনের পরিবর্তে আরসিসি রোড নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে সড়কগুলো দীর্ঘমেয়াদে খালের পানিতেও নষ্ট না হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম, মশক ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ।


আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রোববার থেকে নিয়মিত চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে নিয়মিত শিডিউলে চলবে মেট্রোরেল। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে মেট্রোরেল। এতে লাইনে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। কিছু কারিগরি ইস্যু নিয়ে কাজ করছে।

আগামীকাল থেকে মেট্রোরেল চালু হলেও মেরামত ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা থাকায় আপাতত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই দিন বিকাল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত মইন ইউ আহমেদ গত বৃহস্পতিবার তার ইউটিউব চ্যানেলে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন।

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালে ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।

মইন ইউ আহমেদ ২৫ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন। সেখানে ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই। অনেকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। ভূমিকা কী ছিল, তা তিনি জানাতে চান।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর অব্যবহৃত কিছু অস্ত্র বিডিআরকে দেওয়া নিয়ে বাহিনীটির তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের (হত্যাকাণ্ডে নিহত) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তার কথা হয়। তিনি অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন। তখন পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি (বিডিআরের ডিজি) কিছুই জানতেন না বলেই সাবেক সেনাপ্রধানের বিশ্বাস।

একটি বৈঠকে থাকার সময় ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিলখানায় কিছু একটা ঘটার তথ্য জানতে পারেন বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, আমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে কানে কানে বলেন, পিলখানায় গন্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।

মইন ইউ আহমেদ জানান, তিনি তখন ওই সভা স্থগিত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিডিআরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাদের ফোন ধারাবাহিক ব্যস্ত ছিল। সামরিক গোয়েন্দারা তখন তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তিনি তখন সময় বাঁচাতে কারও নির্দেশ ছাড়াই সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে, যার নামকরণ করা হয় অপারেশন রি-স্টোর অর্ডার

সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে বিডিআরের ডিজিকে ফোনে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, বিডিআর ডিজি এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি (মহাপরিচালক) বলেন, দরবার চলাকালীন দুজন সশস্ত্র সৈনিক দরবার হলে প্রবেশ করে। একজন ডিজির পেছনে এসে দাঁড়ায়, অপরজন দরবার হল অতিক্রম করে বাইরে চলে যায়। তার পরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে উপস্থিত সৈনিকেরা গন্ডগোল শুরু করে দেয়। তারা দাঁড়িয়ে যায়। দরবার হল থেকে বের হয়ে যায়।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, মনে হলো সব পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, অনেকে মনে করে, বিডিআর ডিজি সাহায্যের জন্য আমাকে কল করেছিলেন। এটা সত্য নয়। আমি বিডিআর ডিজিকে ফোন করি এবং আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা ওনাকে জানিয়ে দিই।

ওই দিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, এর মধ্যেই তিনি (শেখ হাসিনা) বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় আমি তাকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি বললাম, সাধারণত ছয় ঘণ্টা লাগে। তবে তাড়াতাড়ি করে দুই ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা যায়।

৪৬ ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার অনুমতি শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন বলে জানান মইন ইউ আহমেদ। ব্রিগেডটি এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শুরু করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪৬ ব্রিগেডের তৎকালীন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ১০ জন কর্মকর্তা ও ৬৫৫ জন সৈনিক পিলখানার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রিগেডের অগ্রবর্তী দল জাহাঙ্গীর গেট অতিক্রম করে।

ওদিকে বিদ্রোহীরা বিডিআর গেটগুলোর সামনে আক্রমণ প্রতিহত করতে বিভিন্ন অস্ত্র মোতায়েন করে বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়িটি পিলখানার মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকের পাশে বসা একজন গুরুতর আহত হন।

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার অফিস থেকে বিডিআরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তা সম্ভব হয়নি। হয়তো এর আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের বরাত দিয়ে বলেন, শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর ব্রিগেড পৌঁছায় ১১টার পরে।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, ক্যাপ্টেন শফিক তার নেতৃত্বে ৩৫৫ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে পিলখানায় পৌঁছান ১০টার আগেই। এ সময় তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পিলখানায় প্রবেশের অনুমতি চাইলেও তা পাননি। তিনি অনুমতি পেলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুবিধা হতো এবং এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

সাবেক সেনাপ্রধান জানান, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) তাকে জানান, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাই সরকার আদেশ করেছিল, সেনাবাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতে হবে। অন্তত দুই কিলোমিটার উত্তরে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। সমঝোতা না হলে তখন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আনুমানিক দুপুর ১২টায় পিএসও ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে মইন ইউ আহমেদকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় যেতে বলেন। তিনি সেখানে যান। মইন ইউ আহমেদ বলেন, বেলা একটার দিকে সাদা পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান। এরই মধ্যে সরকার থেকে বলা হলো, সেনাবাহিনী পিলখানার প্রধান ফটক এলাকায় থাকবে। র‍্যাব ও পুলিশ আরও দুটি এলাকায়। ডেইরি গেট এলাকাটি অরক্ষিত ছিল।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, যমুনায় গিয়ে তিনি অনেক লোককে দেখেন, যাদের কোনো কাজ ছিল না। কৌতূহলবশত এসেছিলেন। মন্ত্রিসভা বৈঠক করছিল। কোনো সিদ্ধান্ত আসছিল না। ওই সময় পিলখানা থেকে পালিয়ে আসা একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, সেখানে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার পর আরেকটি ছোট বৈঠক করে তিন বাহিনীর প্রধানদের শেখ হাসিনা ডাকেন বলে উল্লেখ করে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তিনি যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে যান। শেখ হাসিনা তাদের জানান, রাজনৈতিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম বিদ্রোহীদের একটি দলকে নিয়ে যমুনায় আসছেন এবং তারা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে তিন বাহিনীর প্রধান যেন তাদের বলেন।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, তখন আমি তাকে (শেখ হাসিনা) বলি, অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন, প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ।

তিনি বলেন, বৈঠকে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে আলোচনা তার (মইন) জানা নেই। পরের পর্যায়ে তাকে ডাকা হয়। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য বলেন। বিদ্রোহীরা ৬টা ৩৭ মিনিটে যমুনা থেকে পিলখানার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে গিয়ে তারা ঘোষণা দেয়, সাধারণ ক্ষমার প্রজ্ঞাপন না হলে তারা আত্মসমর্পণ করবে না। তারা গোলাগুলিও শুরু করে। কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকে।

মইন ইউ আহমেদ আরও বলেন, রাত ১২টায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও তৎকালীন আইজিপি পিলখানায় যান আলোচনার জন্য।

একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা কিছু অস্ত্র সমর্পণ করে এবং আটটি পরিবারকে মুক্তি দেয়। শুধু তিনটি পরিবার ছিল সেনা অফিসারদের। সাহারা খাতুন জানতেন অফিসারদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি তাদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি, কোনো খোঁজও নেননি।

২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার গোলাগুলি শুরু করে বিদ্রোহীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে ডেকে নেন জানিয়ে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তাকে জানানো হয় বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি সাভার থেকে ট্যাংক আনার অনুমতি চান। সেটা দেওয়া হয়। তিনি ট্যাংক রওনা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন। অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ট্যাংক আসার কথা শুনে বিদ্রোহীরা কোনো শর্ত ছাড়া আত্মসমর্পণে রাজি হয়। শেখ হাসিনা বেলা দুইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেন। সেই পরামর্শ তিনি (মইন) দিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রস্তুতি দেখে বিদ্রোহীরা আলোচনা ও আত্মসমর্পণের জন্য উদ্‌গ্রীব হয় এবং সাদা পতাকা টানিয়ে দেয়। রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের অবসান হয়। প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, যারা সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিলেন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত নিয়েও কথা বলেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দিই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী?

মইন ইউ আহমেদ বলেন, প্রতিউত্তরে তিনি বলেছিলেন, এত সেনা অফিসার হত্যার কারণ তাকে বের করতে হবে। তারপর সরকার আর উচ্চবাচ্য করেনি। তবে তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি। সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, তিনি আশা করেন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বের করতে সক্ষম হবেন। তিনি নতুন সরকার গঠনের পর মুঠোফোনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন।

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মইন ইউ আহমেদ বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।


আরও খবর



ভারতে ‘বৈধভাবে’ থাকার সময় ফুরিয়ে আসছে শেখ হাসিনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েও পারেননি। তাই গত ৫ আগস্ট থেকে বাধ্য হয়ে ভারতেই থাকতে হচ্ছে তাকে।

আজ শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতেও শেখ হাসিনার সময় ফুরিয়ে আসছে। কেননা শেখ হাসিনার কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। তার কাছে আর কোনো পাসপোর্ট নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের একটি সূত্র।

ভারতীয় ভিসানীতির আওতায় কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। এরপর তারা ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে কাটিয়েছেন ২০ দিন। সেখানে বৈধভাবে তার থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিনি আর ২৫ দিন থাকতে পারবেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার ফলে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে শেখ হাসিনার। সেখানে তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে পড়বে, যা ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। চুক্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলায় আসামি হলে অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে।

তবে মামলাটি ন্যায়বিচারের স্বার্থে হয় হলেও দুই দেশ অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে বা অস্বীকৃতি জানাতে পারে।


আরও খবর



জাপানে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় শানশান, নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপান সাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় শানশান প্রবল বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত তিন জন নিহত এবং ৩৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশুর কাগোশিমা শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে শানশান। তার আগে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপক বর্ষণ হয়েছে কিউশু এবং তার আশপাশের অঞ্চলে। জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের (জেএমএ) রেকর্ড বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিউশু ও তার আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬০০ মিলিমিটার।

কিউশু দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম-শহরে বাসবাস করেন অন্তত ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বর্তমানে দ্বীপটির প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে।

আবহাওয়াগত কারণে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশকিছু উচ্চগতির ট্রেনের চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে কাগোশিমা ও পার্শ্ববর্তী মিয়াজাকি শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা সাতাশি সুগিমোতো জানিয়েছিলেন, দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এই শানশান। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পর এই ঝড়ের প্রভাবে উপদ্রুত এলাকায় বাতাসের গতিবেগ উঠতে পারে ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

তীব্র বাতাস, প্রবল বর্ষণ এবং সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আসছে শানশান। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত হবে এই ঝড় মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি রাখা। নিকট অতীতে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এত বড় ঘূর্নিঝড় দেখা যায়নি, সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন সুগিমোতো।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিউশুর উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও শান্ত হবে না শানশান; বরং কিউশুতে তাণ্ডব চালানোর পর ক্রমশ দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় শানশান

আরও খবর



ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সাগর মিয়া (২০) নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ইসবপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলুর লোকজনের সঙ্গে একই এলাকার আওলাদ মিয়ার লোকজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আওলাদ মিয়ার স্বজন জলসুখার বনহাটীর বাসিন্দা মৃত তকবোল মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।

এরই জেরে ফয়েজ আহমেদ খেলু স্বজন ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা মেতী মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া সাগরকে পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘঠে। রাতে বিষয়টি জানার পর আওলাদ মিয়ার ছেলে সাবেক পুলিশ সদস্য জনি মিয়া আকাশের পরিবারকে দেখে নেবে বলে হুমকিসহ গালাগাল করেন।

পরে রোববার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ বলেন, দুপক্ষের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। শনিবার বিকেলে ফেসবুকে একটি পোস্টের জেরে এই সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪