আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

চট্টগ্রামে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৬৮৪টি আবাসিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামে আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনির মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন গর্ণপূর্ত বিভাগ।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৮২৯৩.৫৭ লক্ষ টাকা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করায় আবাসন সমস্যা অনেকটাই পূরণ হবে। এতে শহরের শহরাঞ্চলের জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ৬৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট ২টি ২০ তলা ভবনে ১৫২টি ফ্ল্যাট, ৮৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৪টি ২০ তলা ভবনে ৩০৪টি ফ্ল্যাট, ১০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৩টি ২০ তলা ভবনে ২২৮টি ফ্ল্যাট সহ মোট ৬৮৪টি ফ্ল্যাট এবং ১টি কমিউনিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ ফাঁকা জায়গায় সবুজ আচ্ছাদিত স্থান, মাত্র ২৫ শতাংশ স্থানে ভবনসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পে মোট ৯৪৬০টি ফলজ, ঔষধি, বনজ এবং সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছসহ অসংখ্য ফুল গাছ রোপণ করা হয়। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে খেলার মাঠ, হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে, ১টি মনোরম জলাধার ও এর চারপাশে বসা ও হাঁটার স্থান, ৩ তলা বিশিষ্ট কমিউনিটি ভবনে কমিউনিটি হল, গণপূর্ত সিভিল ও ই/এম এর রক্ষণাবেক্ষণ অফিস, নিজস্ব গভীর নলকূপ দ্বারা সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, সিসিটিভি দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা, সাব-স্টেশন এর ব্যবস্থা, ১টি ৫০০ কেভিএ ও ১টি ৪০০ কেভিএ ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা, ডিজেল জেনারেটরের ব্যবস্থা, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রতিটি ফ্ল্যাটে পিএবিএক্স, ইন্টারকম এবং এলইডি বাতি ব্যবহার করা হয়েছে, সেন্ট্রাল ডাষ্টবিন ও ওয়েস্ট কালেকশন পয়েন্ট, প্রতিটি ভবনে সোলার প্যানেলের সংস্থান করা হয়েছে, প্রতিটি ভবনে তিনটি করে ৯টি ভবনে মোট ২৭টি এবং কমিউনিটি ভবনে একটি সহ মোট ২৮টি লিফট, স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, জলাধার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার, পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, জ্বালানী গ্যাস সাশ্রয়ের জন্য রেটিকুলেটেড প্রি-পেইড এলপিজি গ্যাস সিস্টেমের ব্যবস্থা প্রভৃতি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭৬৬০.৯৫ লক্ষ টাকা। সরকারি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত হওয়ায় সেবার মান বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও বেদখল হওয়া থেকে সরকারী জমি রক্ষা করা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত অনুশাসন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা উন্নীতকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান গর্ণপূত বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

প্রকল্পের আওতায় ১৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ১০টি ভবনে ৪১৪টি ফ্ল্যাট, ১২৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ৪টি ভবনে ১৬২টি ফ্ল্যাটসহ ৫৭৬টি ফ্ল্যাট এবং ১টি ভবনে ৬৪টি ডরমিটরি রুম (প্রতি ইউনিট ২৫০ বর্গফুট ফ্ল্যাট বিশিষ্ট) নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির সর্বমোট ৪টি ভবনে ১৬০টি ফ্ল্যাট ও ৬৪টি ডরমিটরি রুম নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে সাব-ষ্টেশন, ভূগর্ভস্থ জলাধার, গভীর নলকূপ, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), পাম্প হাউজ, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, কম্পাউন্ড ড্রেন, ভূমি উন্নয়ন, আরবরিকালচার/ ল্যান্ডস্ক্যাপিং, এলপিজি গ্যাস সংযোগ, সিকিউরিটি লাইট ও লাইটেনিং এরেস্টর, সিসিটিভি, জেনারেটর, অত্যাধুনিক ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ও সৌরবিদ্যুৎ, কমিউনিটি স্পেস, প্রতিটি ভবনে ২টি করে লিফট, প্রতিটি ভবনে টেলিফোন সংযোগ, ইন্টারকম, পিএবিএক্স, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ইন্টারনেট সংযোগ, ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, সুপরিসর সবুজ ব্যবস্থাসহ প্রভৃতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়ের, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-২ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ আশিফ ইমরোজ, চট্টগ্রাম গণপূর্ত সার্কেল-১ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম খান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোক্তার হোসেন দেওয়ান, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম সার্কেল  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ২৭ নং ওয়ার্ড এলাকার কাউন্সিলর মো: শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, আবাসন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম আইইবির সাধারণ সম্পাদকসহ চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের সকল নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার, সিজিএস কলোনী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে। কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।


আরও খবর



মাদারীপুরে থ্রি-হুইলার খাদে পড়ে চালকসহ নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুরে মালটানা মাহিন্দ্র গাড়ি উল্টে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও দুই পথচারী। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার পখিরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া এলাকার সরাফাত আলী মীরার ছেলে মাহিন্দ্র চালক এনামুল হোসেন (২৫) ও মাদারীপুর সদরের মধ্যচক গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে চালকের সহযোগী আরিফ শিকদার (১৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ফখিরা এলাকার ফারুক হাওলাদারের গ্যারেজ থেকে সহযোগী আরিফকে সঙ্গে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে মাহিন্দ্র গাড়িটি বের সড়কে উঠতেছিল চালক এনামুল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহিন্দ্রটি উল্টে যায়। এতে চালক এনামুল ও তার সহযোগী আরিফের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা দুই পথচারীও আহত হয়। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী লোকমান মালো বলেন, গ্যারেজ থেকে বের করার সময় গাড়ির গতি ছিল বেশি। এজন্য চালক গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। এতে উল্টে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। এ সময় পাশে থাকা দুই পথচারী সামান্য আহত হয়েছে।’

নিহত আরিফের মামা আবু আলেম গৌড়া বলেন, আমার ভাগ্নে ও চালক দুইজনে গ্যারেজ থেকে গাড়িটা বের করে ভাবছিল রাস্তায় পাশে পার্কিং করে নাস্তা খাবে। কিন্তু পার্কিং করার আগেই উল্টে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যারেজ থেকে গাড়িটি বের করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



নরসিংদীতে পিকআপ-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর মাধবদীতে পিকআপভ্যান ও যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার মাধবদীর টাটা পাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নরসিংদী সদর থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, একটি যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাস ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী টাটা পাড়া এলাকার পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত আটজন।

আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আটজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে বাস, প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ভেতরে ঢুকে যায়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নামে সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তিনি সিদ্দিকী সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটিকে বাসটি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও আমল

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর। ফারসি ভাষায় যা শবে কদর নামে খ্যাত। লাইলাতুল কদর এমন এক মহিমান্বিত রজনী যে রজনীতে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। মূলত এজন্যই এই রজনী এত ফজিলতপূর্ণ আর এই রজনীর কারণেই মাহে রমজান এত সম্মানিত।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এই রজনীর গুরুত্ব বুঝাতে কদর নামে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই আমি এই কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আর আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর অর্থাৎ কদরের রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত। সুরা কদর: ১-৫

পবিত্র কুরআনে লাইলাতুল কদরকে আল্লাহ তাআলা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহর কোন বান্দা যদি এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে তবে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করার সাওয়াব লাভ করবে। এক হাজার মাসে ৩০ হাজার রাত্রি হয়। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০ হাজারগুণ অপেক্ষাও বেশী!

সুতরাং বলা যায় এ রাতের একটি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার তাসবিহ অপেক্ষা উত্তম। অনুরূপভাবে, এই রাতের এক রাকাত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০ হাজার রাকাতের চেয়েও উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল লাইলাতুল কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। তাই যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, মূলত সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।

এছাড়াও লাইলাতুল কদরের রাতের অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। কদর রজনীর ইবাদত, সালাত আদায়ের ফলে পূর্ববর্তী জীবনের গুণাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ইমানের সাথে, সাওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৪।

এই ফজিলতপূর্ণ রাতটি কখন? কোন সময় আসে? এ সম্পর্কে রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী: ২০২০

তাহলে শেষ-দশক মানে কি রমজানের শেষ দশকে প্রতিদিন লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে? এই প্রসঙ্গে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: তোমরা রমজানের শেষ-দশকের বেজোড় রাতসমূহে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। বুখারী : ২০১৭

অর্থাৎ মাহে রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ এ পাঁচটি রাতের মধ্যে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর তালাশ করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যে ২৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে লাইলাতুল কদর পালন করি এর ভিত্তি কী? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের জন্য এ রাতের ব্যাপারে আরও নির্দিষ্ট করে বলছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অক্ষম হয় বা দুর্বল থাকে তাহলে সে যেন ২৭ রমজানের রজনীকে লাইলাতুল কদর বলে বিবেচনা করে ইবাদত করে। মুসলিম: ১১৬৫

হযরত উবাই ইবনে কাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর বিবেচনা করে ইবাদত করতে বলেছেন।

এছাড়াও মুহাক্কিক ইমামগণ বলেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে নয়টি হরফ বা আরবি বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই সাতাশে রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাফসিরে মাযহারি

যে রাতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হবে তার কিছু আলামত হাদিস শরিফে এসেছে:

১. আকাশ মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল থাকবে। তিরমিজি

২. ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি তথা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে। তিরমিজি

৩. রাতগত দিনে সূর্য উদিত হবে আলোক-রশ্মীহীন অবস্থায়, অর্থাৎ সূর্যের চিরচেনা তেজবিহীন অবস্থায়। মুসলিম, সহিহ ইবনে খুযায়মা

মহিমান্বিত এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে? কী চাইবে? এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন: একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, যদি আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী দোয়া পড়বো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। সুনানুত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩

সুতরাং, লাইলাতুল কদরে আমাদেরকে আমল ও দোয়ার মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা জরুরি। আর কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এই রাতের কতিপয় আমল হলো-

১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে প্রবেশ করে ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ, সুরা ইখলাস ইত্যাদি সুরা তিলাওয়াত করা।

১০. অধিক পরিমাণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম ও দরূদ শরিফ পাঠ করা।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা,

১৪. কবর জেয়ারত করা।

১৫. বেশি বেশি দান-সদকাহ করা।

এছাড়াও এই রাতে নিজেকে নানাবিধ ইবাদতে ব্যস্ত রাখা। কারণ এই রাতের ইবাদতের দ্বারা আমাদের জীবনের গুণাহসমূহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতকে অবহেলায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখা। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পালন করে কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুক। আমিন বিজাহিন নাবিয়্যিল কারিম রাউফুর রাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪