মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ লেখা নিয়ে ক্ষমা
চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, তাড়াহুড়োর কারণে ভুল
হয়ে গেছে। এ সময় ভুলের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব
ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে। আমাদের ছোট একটা ভুল, ছোট না আমি বলব যে, বড়ই
ভুল। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটুই হয়ে
গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটি সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটি হাইলাইটেড হয়নি।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের
খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর দুটির নামে সংশোধন করে দিয়েছি। আমরা যখন দ্রুত
কাজ করতে যাই তখন কিছুটা ভুলত্রুটি হয়ে যায়। আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি
দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার।
যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল, আর আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে, তাই তাড়াহুড়োয়
আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সে জন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
এর আগে গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ
করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের
সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের
খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫
টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ
করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে
দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তা হলে
কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে।