আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে নিউরোস্পাইন সোসাইটির ৪র্থ সম্মেলন উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দুই দিনব্যাপী ‘‘নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এনএসএসবি) এর চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে (৬ ডিসেম্বর ২০২২) বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রডিসন ব্লু-তে প্রধান অতিথি হিসেবে  এ সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও দ্বিতীয় দিনে দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাতেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু পরবর্তী স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন তাঁর (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয়। তাঁর হাতেই দেশের সরকারি বেসরকারি আধুনিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র গড়ে ওঠে। তাঁর নানামুখী উদ্যোগের কারণে দেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা টানা থাকার কারণে দেশের উন্নয়নের চিত্রপট পরিবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দুর্বার গতিতে ছুটছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় চেতনা, সঠিক পরামর্শ, আলাদা বাজেট বরাদ্দ ও অনুপ্রেরণা করোনাভাইরাস মহামারী যুদ্ধে বাংলাদেশ সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক পর্যায়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের সেবা দিচ্ছে।

বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার, কিডনি, প্লাস্টি সার্জারি সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে।নিউরোসাউন্সের মত আধুনিক সেবা প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়ে তুলেছেন।  তার হাতেই বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের দিকে ধাবিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বর্তমানে নিউরো সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীদের চিকিৎসা বাংলাদেশে করতে সক্ষম। তবে প্রয়োজনের তুলনায়  দক্ষ লোকবল কম।  মানুষের প্রয়োজনে স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসার জন্য নিউরোসার্জন সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান করা হয়। এর আগে সম্মেলনের প্রি ওয়ার্কসপ হিসবে মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এনাটমি বিভাগে মঙ্গলবার দিনব্যাপী মৃত বা ডেথবডির উপর স্পাইনাল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের উপর হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান করা হয়।

নিউরোস্পাইন সোসাইটির ৪র্থ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলেই স্বাস্থ্যসেক্টরসহ উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যসেক্টরের উন্নয়নের ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশের গড়ায়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।দেশের ওষুধ শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। দেশের ওষুধ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এসব শিল্পের দ্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই উন্মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেক্টরের উন্নয়নের ফলে করোনাভাইরাস যুদ্ধে বাংলাদেশে সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। করোনাভাইরাস শুরুর সময় ঘনবসতি হবার ফলে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন ছিলাম।কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিডিয়ার সামনে এসে করোনাভাইরাস যুদ্ধে করণীয় সম্পর্কে বলার পর দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ঘুরে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ২১২ জন জন নিউরোসার্জন রয়েছে। কিন্তু দেশের জনগণের অনুযায়ী দরকার ১৬০০ জন নিউরোসার্জনস। একসাথে না পারলেও ধীরে ধীরে এ আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রয়োজনে নিউরোসার্জনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের অধীনে যেখানে ফ্যাকাল্টি আছে সেখানে আসন সংখ্যা দেরগুণ ও দ্বিগুণ  বৃদ্ধি করা হবে। যেখানে ফ্যাকাল্টি নেই সেখানে আমরা কোর্স বন্ধ করে দেবো। আমরা সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে কোয়ালিটি ইনসিউর করতে চাই।

অধ্যাপক মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই দেশের সকল উন্নয়ন সম্ভব হয়ছে । দেশের স্বাস্থ্যখাতের ভিত্তি বঙ্গবন্ধুর হাতে রচিত হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই পরিপূর্ণতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস যুদ্ধের মহানায়ক। তাঁর হাতেই দেশের স্বাস্থ্যখাত উন্নত হয়েছে।স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের ফলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া লোকের সংখ্যা কমছে।করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম এবং সারাবিশ্বে পঞ্চম অধিকার লাভ করেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ সকল খাতের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ ও স্বাচিপের সাবেক সফল মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা সব সময় শ্রদ্ধার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিকিৎসকদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যসেক্টর ঢেলে সাজান। স্বাস্থ্যসেক্টরের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের সম্মানিত ডিন ও সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিউরোসার্জারি বিভাগ চালু করেন অধ্যাপক রশিদ উদ্দিন স্যারকে দিয়ে খুলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আধুনিক নিউরো সার্জারির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতায় থাকলে ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিউরো সার্জারির মডেলে রুপান্তরিত করতে পারব। বাংলাদেশে নিউরো সার্জারির মডেলে রূপান্তরিত করতে পারলে দেশের বাইরে আর কোন মানুষকে যেতে হবে না।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউরো স্পাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউরোস্পাইন সোসাইটির ভারপাপ্ত সভাপতিত্ব অধ্যাপক ডা. মোঃ কামালউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের ডা. এটিএম আসাদুল্লাহ।  এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে নিউরোসার্জন ও নিউরোস্পাইন সার্জনরা অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর



ঈদে ঘুরতে যাচ্ছেন? খরচ বাঁচানোর উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

রহমতের মাস মাহে রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। আবার অনেকে ঈদের এই ছুটিতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে বা দেশের বাহিরে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে যাবে ঘুরতে। এই ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন : ভ্রমণে প্রথমধাপে যেই খরচটা হয় তা হচ্ছে যাতায়াতের খরচ। তাই যাতায়াতে মিতব্যয়ী হতে হবে। কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ব্যস্ত বিমানবন্দর বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ব্যস্ত বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।

বুঝেশুনে প্যাকেজ অফার নিন : কাঙ্ক্ষিত স্থানে যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এর জন্য রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। যেমন খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র থাকার জন্য রিসোর্ট বুকিং দিয়ে খাবারের খরচটা বাহিরে করলে হোটেলের বিল কম আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কম খরচের হোটলেরুম বা রিসোর্টে উঠতে পারেন।

সাথে শুকনো খাবার রাখুন : ভ্রমণের সময় লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো তা অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেলেও সঙ্গে থাকা খাবার খাওয়া যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।

উপহারে অপচয় নয় : অনেকেই ভ্রমণে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে থাকেন। এতে অনেক খরচ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দামি কিছু উপহার না দিয়ে বা মার্কেট থেকে না কিনে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কিনুন। এতে কম খরছে ভালো কিছু কেনা যাবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ।


আরও খবর



ভালো আছেন খালেদা জিয়া, চিকিৎসা নিচ্ছেন বাসায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যাতে কোনো ধরনের জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া যায়।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) বিএনপি পক্ষে থেকে জানানো হয়, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে পরীক্ষা-নিরিক্ষীর জন্য রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে। কিন্তু রাত ১২ দিকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করেন। এরপর চিকিৎসকরা তার বেশকিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করান। রাতে তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করায় হাসপাতাল না নিয়ে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে, প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন ডা. জাহিদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ২টার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাডাম এখন ভালো আছেন। তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।


আরও খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি টাকার মাদকের পার্সেল, আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় আসা একটি পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়।

এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ডিএনসি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসির সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায় একটি পার্সেল আসে। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, কেনাবিনয়েড চকলেট ও কেনাবিস কেক জব্দ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সেগুনবাগিচা ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।


আরও খবর