আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চট্টগ্রামে জাহাজডুবিতে নিহত মাগুরার ৪ জনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জাহাজ ডুবির ঘটনায় স্থানীয় কোস্ট গার্ড মাগুরার মহম্মদপুরের নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দিয়েছেন। শনিবার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার নিজ নিজ এলাকায় নিহত চারজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বাকী দুইজনের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। তারা হলো- উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের নূরুল হোসেন মোল্যার ছেলে জাহিদুল ও গোলাম রসূল মোল্যার ছেলে নূর মোহাম্মদ। 

উদ্ধার হওয়া চার জনের মধ্যে একজন উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের আকরাম মোল্যার ছেলে মো: নাজমুল হাসান। বাকী তিনজনের দুইজন হচ্ছে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের নূরুল হোসেন মোল্যার ছেলে শিমুল এবং মো. খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ। অন্যজন খলিশাখালী গ্রামের কামাল মোল্যার ছেলে মনির হোসেন।  

গত (১১ অক্টোবর) মঙ্গলবার এমভি সুলতান সানজার নামের একটি পাথর বোঝাই জাহাজ বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে আসার সময় এমভি আকিজ লজিস্টিক -২৩ নামের অপর একটি লাইটার জাহাজকে ধাক্কা দেয়। এতে এম ভি সানজার নামের জাহাজটি ঘটনাস্থলেই ডুবে যায়।

এ জাহাজে থাকা মহম্মদপুর উপজেলার মন্ডলগাতী, খলীশাখালী ও দাতিয়াদাহ গ্রামের ছয়জন নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম। সন্তান, স্বামী ও ভাইকে হারানোর আহাজারীতে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জাহাজে কর্মরত উপজেলার যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত্যু লুলু মিয়ার ছেলে রুবেল এবং খলিশাখালী গ্রামের কামাল মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম সাঁতরে তীরে এসে প্রাঁণে বেঁচে যায়। তবে রবিউল ইসলাম নিজের ভাই মনিরকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে যশোবন্তপুরের রুবেল বলেন, আমরা পাথর বোঝাই জাহাজ নিয়ে পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলির দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পেছন থেকে অন্য একটি লাইটার জাহাজ আঘাত করে। সে সময় আমাদের জাহাজে মধ্যে মহম্মদপুরের ৮জন ছিলাম। আমার সঙ্গে রবিউল কুঁলে উঠলেও অন্য ৬জন আসতে পারেনি।

শনিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার মন্ডলগাতী ও খলিশাখালী গ্রামে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তান, স্বামী ও ভাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।

মন্ডলগাতি গ্রামের নিখোঁজ শিমুল ও জাহিদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, 'আমার ছেলেরা বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে কথা বলে কাজে গেছে। পরে কথা বলবে জানালেও আর কথা হয়নি। পরে জানলাম তাদের জাহাজ ডুবে গেছে। আমার এক মনির লাশ পায়ছি, আরেক মনিকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এখন কি করে বাঁচবো।

একইভাবে অন্যান্যদের পরিবারে গিয়েও দেখা যায় প্রতিটি পরিবার শোকাগ্রস্থ। তাদের আহাজারীতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর



বুধবার থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটার সুবিধা করে দিতে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল। আসন্ন ঈদের কারণে নিউমার্কেটসহ অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। দোকান বন্ধ করার পর ক্রেতা ও বিক্রেতা বাসায় ফেরার সময় বিপাকে পড়েন। কেনাকাটার জন্য মানুষ বের হওয়ায় যাত্রীও বাড়বে। তাই ১৬ রোজা অর্থাৎ আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬তম রোজার দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক ট্রেনের বাড়তি সিডিউল ঘোষণা করবেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জনসংযোগ কর্মকর্তা আফতাব মাহমুদ গালিব বলেন, আসন্ন ঈদে মানুষ দোকান পাট বেশি সময় খোলা রাখে। এসব যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রোরেল চলাচলের সময় সূচি বাড়বে। আগামীকাল এমডি স্যার এই বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।'


আরও খবর



বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তারের (১২) মৃত্যু হয়েছে। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয় ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



সগিরা মোর্শেদ হত্যা, ২ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তিন যুগ আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালাত।

বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।চুক্তি করা ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মারুফ রেজাকে ১৫ হাজার টাকা দেন হাসান আলী। ১০ হাজার টাকা পরে দেওয়ার কথা বললেও আর দেননি।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে সৌদিতে ৫ পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। গুরুতর আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তদন্তের পর ওই পাঁচজনকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে তারা দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে আসামিদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে রাজকীয় অধ্যাদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়।

সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যায়নি। দণ্ডিতদের মধ্যে পাঁচজনই পাকিস্তানের নাগরিক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও পাচারের ক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছর ডিসেম্বরে আর্থিক বিরোধের জেরে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায়ে বলা হয়, ভুক্তভোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই আসামি তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখে কাপড় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।


আরও খবর