আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে যে শহরের

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বসন্তের ছোয়া লেগেছে প্রকৃতিতে। শীতের হাত থেকে মুক্ত আকাশে পাখা মেলেছে পাখির দল। উড়ন্ত পাখিরা নির্ভয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ফিরছে গাছের ডালে।

পাখ-পাখালির কথা উঠলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজে ঘেরা গ্রাম। শ্যামল-ছায়া আর সুনিবিড় সেই গ্রামজুড়ে থাকে পাখির কিচিরমিচির। তবে ইট-পাথরের শহরে কোলাহলের মাঝেও পাখিরা যে গলা ছেড়ে গাইতে পারে- তা চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না।

ঠাকুরগাঁও শহরের ব্যস্ততম এলাকা বাসস্ট্যান্ড তেমনই ব্যতিক্রমী একটি জায়গা। যেখানে পাখিরা খুঁজে পেয়েছে তাদের নিরাপদ আবাস। তাইতো ছোট দুই-তিনটি গাছেই প্রতিদিন বিকেল হলেই জড়ো হয় হাজার হাজার চড়ুই। সেই সঙ্গে সন্ধ্যা নামতেই কিচিরমিচির ছন্দে তাল মিলিয়ে মেতে ওঠে তারা। আবার ভোরের আলো ফুটতেই উড়াল দেয় অজানায়।

পশ্চিমে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুইপাখি আসে এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে। আবার পূর্ব আকাশে ভোর হলেই বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে। এ যেন রোজকার রুটিন তাদের। শহরের যান্ত্রিকতা কিংবা কর্মব্যস্ত মানুষের ঘরে ফেরার শোরগোল ছাপিয়ে এই কলতান যেনো রঙ ছড়ায় পথের গল্পে, যা শুনে মুহূর্তের জন্য হলেও থমকে দাঁড়ায় পথিক। তাদের এমন ইতিউতি উড়াউড়ি আর খুঁনসুটি নাগরিক মন খুঁজে পায় গ্রামীন পরশ। হয়ে ওঠে ভীষণ রকম নস্টালজিক। যদিও গ্রামগঞ্জে দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে চড়ুই।

ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গোধূলি নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে গাছের দিকে পাখির দল। এরা গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে ছোটাছুটি শুরু করে। কিচিরমিচির ডাকে মাতিয়ে তোলে পুরো শহর। সন্ধ্যা হলেই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যান পথচারীরা। যারা নতুন আসেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে পাখির উড়াউড়ি দেখেন, মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন, তোলেন ছবিও।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই শহরের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড চত্বরকে ঘিরে বিদ্যুতের তারে ও গাছের ডালে চড়ুই পাখির এমন বাড়ি দেখা যাচ্ছে। বিকেল হলেই এরা দলে দলে আসতে থাকে। শুরু হয় কিচিরমিচির, ওড়াউড়ি। রাত বাড়লে বিদ্যুতের খুঁটিকে ঘিরে ঘন হয়ে আসে। একসময় চুপ হয়ে যায়। হঠাৎ করে পাখি বলে মনেও হবে না। মনে হতে পারে, গোলাকার কোনো কিছু তারে তারে ঝুলে আছে। শীত, ঝড়-বৃষ্টি সব সময়ই এরা কমবেশি আছে। কোনো কারণে মানুষ বিরক্ত করলে মাঝেমাঝে তারা একটু-আধটু এদিক-ওদিক স্থান বদল করে। কিছুদিন পর আবার পুরোনো স্থানে ফিরে আসে।

ওয়াজেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে পাখিরা এখানে এসে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যায় পুরো এলাকা পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। নির্বিঘ্নে রাত কাটায় আর ভোর হলেই উড়ে যায় এরা। দিনের শেষে আবার নীড়ে ফেরে।

পরিবেশ কর্মী এস.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, আগে বাসা-বাড়িতে প্রচুর চড়ুই পাখি দেখা যেত। এখন পাকা ঘর হওয়ায় আর তেমন দেখা যায় না। শহরের বাসস্ট্যান্ড মৌড়ে অনেকগুলো চড়ুই পাখি। এরা বিদ্যুতের খুঁটি ও তারে রাত কাটায়। যান্ত্রিক শহরে একসঙ্গে এত পাখির চঞ্চলতা ভালোই লাগে।

ঠাকুরগাঁও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছপালা, পশুপাখি প্রকৃতির ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। চড়ুই পাখিরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে ভালোবাসে। তাই এরা একসঙ্গে থাকে। শহরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে একটি গাছে হাজারো চড়ুই পাখি বসবাস করছে, এটি দারুণ ভালো লাগার বিষয়। এদেরকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল: রিজভী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল বলে তিনি বেশি অবান্তর কথা বলেন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে চিৎকার করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আর তালিকা-তো আপনাদের কাছেই রয়েছে। আইন-আদালত, থানা-পুলিশ আপনাদের কব্জায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্নায়ু শিথিল, মস্তিষ্ক অলস ও হৃদয় দুর্বল হওয়ার কারণে বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন। শেখ হাসিনার বিনাভোটের সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন, অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। আজ পর্যন্ত বিনাভোটের সরকার এর কোনো জবাব দিতে পারেনি।

বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের আজ ১২ বছর পূর্ণ হলো। তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তানসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী। সমাজে মানুষের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। মূল লক্ষ্য বিরোধী কণ্ঠকে নির্মূল করা, দীর্ঘ মেয়াদে ফ্যাসিবাদী শাসনকে নিষ্কণ্টক করা। এ সরকারের গোটা আমলটায় অপহরণ, গুম, খুন, ক্রসফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এম ইলিয়াস আলীসহ সরকারের গুমের শিকার সবাইকে অক্ষত অবস্থায় যার যার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় একদিন প্রতিটি গুম-খুনের দায়ে বিচারের জন্য তৈরি থাকুন।


আরও খবর



লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



কামারখন্দে প্রভাষককে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চৌবাড়ী ড. ছালাম জহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলামকে (বাদল) গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার কলেজপাড়া এলাকায় শফিকুলের শশুর বাড়ির পাশের একটি পুকুর পার থেকে তাকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজনসহ তার স্ত্রী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কা মুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কামারখন্দ থানা-পুলিশ ও সিআইডির সদস্যরা সেখান থেকে একটি চাপাতি জব্দ করে।

শফিকুল উপজেলার চরকামারখন্দ এলাকার মৃত মনতাজ উদ্দিনের ছেলে ও জামতৈল কলেজপাড়া এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ের জামাতা।

ঘটনাস্থলে আসা স্থানীয় কয়েকজন জানান, আমরা সকালে খবর পেয়ে এখানে এসে শুনতে পাই শিক্ষককে গলা কেটে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে লোকজন তাকে স্থানীয় খোকন মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে পাঠান।

চৌবাড়ি কলেজের অধ্যক্ষ জুনায়েদ হোসেন জানান, ওই শিক্ষক অনেকদিন যাবত মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিলেন। সে কোন ক্লাস নিতে পারত না। তবে তিনি খুব সাদা ও সরল মনের মানুষ। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না।

কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।

এরপর শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে ছুটি। তবে ছুটির দিনেও আজ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। বেলা ১১টার দিকে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫৭। বায়ুর এই মান অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

এ সময়ে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ২৪৮। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের কলকাতা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৯৩ ও ১৯২।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর