আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

চোখের কৃত্রিম লেন্সের দাম বেঁধে দিল সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অনেকেই চোখে কৃত্রিম লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। তবে চোখের এই লেন্স কিনতে গিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এবার সেই বিড়ম্বনা কিছুটা হলেও কমবে। চোখের লেন্সের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এখন থেকে ২৯টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১২৯ ধরনের লেন্সের দাম সর্বনিম্ন ১৪৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এ দামেই রোগীদের লেন্স সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।

গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব হাসপাতালে কৃত্রিম লেন্সের নতুন মূল্যতালিকা নোটিশবোর্ডে প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেন্সের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে লেন্সের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং উৎপাদক দেশের নাম উল্লেখ করে ক্যাশমেমো দিতে হবে। ফ্যাকো সার্জারির পর রোগীকে লেন্সের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে। লেন্সের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদক দেশ এবং সর্বোচ্চ খুচরামূল্য উল্লেখ থাকতে হবে, যাতে সার্জনরা সেটি দেখে নির্দেশনা দিতে পারেন।

ঔষধ প্রশাসন ও কসমেটিক আইন ২০২৩ এর ৩০ (১) ধারা অনুসারে অধিদপ্তর কৃত্রিম লেন্সের এই দাম নির্ধারণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

কোন লেন্সের কত দাম

থাইল্যান্ডের হয়া ল্যাম্পুন লিমিটেডের হয়া আইইএনএস-২৫১ মডেলের লেন্সের দাম হবে ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা, হয়া আইইএনএস-১৫০ মডেল ৯ হাজার ৮৫ টাকা, এক্সওয়াই১-এসপি মডেল ২১ হাজার ১৯০ টাকা, পিসি-৬০ এরা মডেল ৮ হাজার ৩২৫ টাকা, হয়া ভিভিনিক্স টরিক ৪৬ হাজার ২৩৮ টাকা, হয়া নামিক্সমাল্টিসেরট ১৯ হাজার ২৮০ টাকা।

ভারতের ট্রফোল্ডফোডেবল ১ হাজার ১৯০ টাকা, এক্সিলেন্স রিজিড পিএমএমএ ২০৩ টাকা, অপটিমা লেন্স ২০১ টাকা, অপটিমা এ্যাক্রিলিক ৮৭১ টাকা, ম্যাক ফোল্ড ৮০০ টাকা, অপটিমা ভিইউই ৩ হাজার ৮০০ টাকা, আইক্রেল টোরিক ১৬ হাজার ৪৪২ টাকা, আইক্রেল প্লাস ৪ হাজার ৭৩৩ টাকা, আইক্রেল প্লাস হাইড্রোলিলিক ১ হাজার ৪২৪ টাকা, আইক্রেল এসইআরটি ৬ হাজার ৩৬০ টাকা, একোয়া ফোল্ড ১ হাজার টাকা, এক্রিভাস ২ হাজার ৯৫০ টাকা, ইউরোলেন্স ২২৮ টাকা, ইউরোঢোল্প ১ হাজার ১৩ টাকা, ইউরোভিউ ৩ হাজার ১৬৫ টাকা, ইউরোভিউ টোরিক ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, ইউরোভিউ ডিফাইন ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, ইউরোভিউ ইভি গোল্ড ৭২৯৩ টাকা, ইউরোব্ল ২২০ টাকা, ইউরোভাইস ৩০৫ টাকা, ইউরোজেল প্লাস ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ইউরোসিল ৪ হাজার ২৫০ টাকা, আইরো অপকটেন লিকুইড ৫ হাজার ৯৩২ টাকা, ন্যানো আইওএল ৫ হাজার ৯৩০ টাকা, ন্যনো আইএএল ২০১ টাকা, ন্যানো এসকিউডি৩৬০ ৪০২ টাকা, ন্যানো কিউ ৪৯১ টাকা, ন্যানো ফোল্ড ৮৭১ টাকা, আইলা এ্যক্রেলিক ৩ হাজার ২৬৬ টাকা, এ্যাক্রিল ৮৯০ টাকা, ক্লারভিউ ৬৮০ টাকা, হাইড্রোফিল (এফএ-৬০২৫) ১ হাজার ১৪৫ টাকা, কেটরাকোর ১৮১ টাকা, গ্লোফোল্ড ৭২৬ টাকা, অকুফ্লিস ৭৮০ টাকা, আই-ও-কেয়ার ১৪৩ টাকা, অ্যাক্রোল ইসি ৪ হাজার ৫৪৬ টাকা, অ্যাক্রোল প্রিলোডেড ২ হাজার ৭২৮ টাকা, অ্যক্রিডিফ ২১ হাজার ৪২৯ টাকা, অ্যাপেলেন্স ২২৮ টাকা, অ্যক্রিফোল্ড ইন্ট্রিকুলার ১ হাজার ১৩ টাকা, সুপার ফোব ৩ হাজার ২৬৬ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের একিউট পিএমএমএ ১ হাজার ৫৯৮ টাকা, একিউইটি হাইপ্রোফোবিক ৬ হাজার ৬৬০ টাকা, আইকিউ এক্রেলিক ১৬ হাজার ৩২৫ টাকা, এক্রোসফ মাল্টপিস ৬ হাজার ৯০০ টাকা, এক্রোসফ এক্রলিক ৯ হাজার ৭০২ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ টরিক ৪১ হাজার ৫০৫ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ এসফেরিক ১৮ হাজার ৫৮৪ টাকা, এক্রোসফ আইকিউপেনপটিক্ ৮০ হাজার ২২৩ টাকা, এক্রোসফ আইকিউ ভিভিটি ৮৬ হাজার ১২৫ টাকা, ক্লেরন হাইড্রোফবিক ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিলিক ৪ হাজার ৫৫০ টাকা, সানকস্ট পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা, মাইরাডো ১১ হাজার ৫০০ টাকা, ভিসটাজো ৫ হাজার ৪০০ টাকা, ওএসআই পিএমএমএ ১ হাজার ৫০০ টাকা, সানকস্ট হাইড্রোফিবিক ১৩ হাজার টাকা, ইভিও ভিসিআন আইসিএল ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও ভিসিন টোরিক আইসিএল ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, ইভিও প্লাস ৫৫ হাজার ২০৩ টাকা, ইভিও প্লাস ভিসিন টোরিক ৮২ হাজার ৪২৭ টাকা, একেআরইওএস (মাইক্রো) ১৩ হাজার ৭২৪ টাকা, একেআরইওএস (এডভান্স) ৮ হাজার ২০০ টাকা, ইএন ভিসটা ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, আইএসআইওএল পিএমএমএ ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, এমডিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬০০ টাকা, এমডিআর হাইড্রোলিলিক ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এমডিআর হাইডোফিলিক এ্যক্রেলিক ৬ হাজার ৯০০ টাকা, আইএসআইএএল ফোল্ডাবেল ৪ হাজার ৮০ টাকা, টেক-লেন্স ২৬ হাজার ৬০০ টাকা, টেক লেন্স (৮৭২) ৫৯ হাজার টাকা, টেক লেন্স (৮৭২ ওয়াই) ৬ হাজার ৪০০ টাকা, টেক লেন্স (৯০০) ৭ হাজার ৯৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট (পি ৩০২ এ) ১৫ হাজার ১৫০ টাকা, প্রিসিসেল সফট (পি ৩০২ এসি) ৯ হাজার ৮৫০ টাকা, হাইড্রোফিলিকসিএলএম ফ্লিক্স-৪২ ৫ হাজার ১০০ টাকা, অ্যস্ট্রেরি ৫৬ ইনজেক্টর ৭ হাজার টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (আইবি ৬০) ১০ হাজার ৪০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (২৫ বিএসওয়াই) ১৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক (এইচপি-২৫) ১১ হাজার ২০০ টাকা, সেনসার এইচডিওয়াই ৭ হাজার ৩২৫ টাকা, সেনসার-১ পিস ৯ হাজার ৫৯৭ টাকা, টেকনিস মনোফোকাল ১৬ হাজার ৫৬২ টাকা, টেকনিস সিমফনে ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা, টেকনিস আইহেন্স ২২ হাজার ৯২২ টাকা, ডিজিআর হাইডোফোবিক ৬ হাজার ৯০৩ ও ৪ হাজার ৮৮ টাকা এবং ডিজিআর পিএমএমএ ১ হাজার ৬২০ টাকা।

জাপানের নেক্স লয়েড এসপি ১৪ হাজার টাকা, নেক্স লয়েড এসপি ক্লিয়ার ১১ হাজার ৭০০ টাকা।

বেলজিয়ামের ভিসকোট স্টেরিল ৪৬৫০ টাকা, আইএসওপিউর ২৫ হাজার ৫০০ টাকা, ফাইন ভিশন ৭২ হাজার ৫০০ টাকা, মাইক্রোপুরি-১২৩ ১৫ হাজার টাকা।

যুক্তরাজ্যের এক্সপার্ট ১ হাজার ৫৮৫ টাকা, একুয়া ফ্রি ৯ হাজার ১৫৪ টাকা, হাউড্রো সেন্সে ইয়েলা ৪ হাজার ৩০০ টাকা, হাউড্রো সেন্সে ৩ হাজার ৯৯৪ টাকা, রেওয়ান ৫ হাজার টাকা, সি-ফ্লেক্স ৫ হাজার ৬০০ টাকা, সি-ফ্লেক্স (৫৭০ সি), ৪ হাজার ৮০৬ টাকা, রেওয়ান এসপেরিক ৫ হাজার ৭৭৫ টাকা, রেওয়ান হাইড্রোফোবিক ৭ হাজার ৩৫০ টাকা, রেওয়ান টোরিক ৩০ হাজার ৩৮০ টাকা, রেওয়ান টোরিফোকাল ৩৮ হাজার ৯৭৫ টাকা, আইসোটেকনিক পিএমএমএ ২ হাজার ৩০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ৫ হাজার ৭০০ টাকা, আইসোটিনক হাইড্রোফিলিক ইয়েলো ১৫ হাজার টাকা।

বারবাডোজের সফটেক-১ ২ হাজার ৮৫২ টাকা, সফটেক এইচডি ৪ হাজার ৬৩ টাকা, সফটেক এইচিডওয়াই ৫ হাজার ২৭৫ টাকা, সফটেক এইচপি-১ ৬ হাজার টাকা।

জার্মানির সিটি লুসিয়া ৬২১ পিওয়াই ১৯ হাজার টাকা, সিটি লুসয়া ১০ হাজার টাকা, এটি টোরবি ৪৩ হাজার টাকা, এটি লিসা ট্রা টোরিক ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

হাঙ্গেরির জেড-ফ্লিক্স (৮৬০ ইয়েলো) ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, জেড-ফ্লিক্স (৮৬০ পিএ ক্লিয়ার), জেড-ফ্লিক্স এইচবি অ্যপেরিক ১১ হাজার টাকা, জেড-ফ্লিক্স ক্লিয়ার ১০ হাজার টাকা।

গ্রিসের ওরিজন ১১ হাজার ১০০ টাকা, সিডা-লেন্স ৫ হাজার ৩০০ টাকা।


আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত: বিবিসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫০ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত সেনাদের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিসি’র প্রতিবেদকরা। তাদের সংগ্রহ করা এসব তথ্যের ওপর ভিত্তিতে করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে বিবিসি। তাদের দাবি, নিহত সেনার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে প্রথম বছরের তুলনায় পরবর্তী ১২ মাসে মৃত রুশ সেনাদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রুশ সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করে আসছে বিবিসির রুশ স্বাধীন মিডিয়া গ্রুপ মিডিয়াজোনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা। তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিবিসি বলছে, কবরস্থানে পাওয়া নতুন কবর থেকেও অনেক সেনার নাম সংগ্রহ করেছেন তারা।

এছাড়া, সরকারি প্রতিবেদন, সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো উন্মুক্ত উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে দায়িত্বরত দলগুলো।

বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে ২৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি দাবি করছে, তাদের সমীক্ষায় পাওয়া নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সরকারের প্রকাশ করা মৃত্যুর সংখ্যার আট গুণ।

এমন ভাবনার কারণ হিসেবে বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বিশ্লেষণে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-অধিকৃতে ডোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিহত হওয়া মিলিশিয়া বা যোদ্ধাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এগুলো যুক্ত করা হলে মৃত রুশ সেনার সংখ্যা আরও বেশি হবে।

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে খুব কমই মন্তব্য করে থাকে ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী এই সংখ্যা আরও অনেক বেশির ইঙ্গিত দেয়।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. মারুফসহ ১১ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর