আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চলুন পদ্মা সেতু দেখে আসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতুর। দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের মধ্যে এক সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছে দেশের বৃহত্তম সেতুটি। সেই সঙ্গে এটি পদ্মার উত্তাল জলের ধারায় দৈত্যাকার ছায়া হয়ে ৪২টি শক্ত খুঁটির ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

প্রকৃতির সঙ্গে পদ্মা সেতুর রূপরেখা মিশে গিয়ে দেখা মিলেছে এক অনন্য দৃশ্যের, যা উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। রাজধানী ঢাকা থেকে অল্প কিছু দূরে মাওয়া ঘাটের অবস্থান। সেখান থেকে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অতিক্রম করলেই দেখা মিলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। অনেকেই লঞ্চ, ট্রলার কিংবা নৌকায় ভেসে দেখতে গিয়েছেন বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এই ইতিহাসকে। আর এখন সুযোগ পাবেন সরাসরি ছুঁয়ে দেখার। সেই সঙ্গে পদ্মার তাজা ইলিশ মাছ ভাজা তো থাকছেই। তাই ছুটির দিনে ঘোরার জন্য অন্যতম জায়গা হবে এ পদ্মা সেতু।

যেভাবে যাবেন: রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মাওয়াগামী ইলিশ বাস ছেড়ে যায়। এ ছাড়া ফুলবাড়ীয়া বাস টার্মিনাল থেকেও বিআরটিসি এসি বাসে করেও পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পৌঁছানো যাবে। আবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরের যেকোনো জায়গা থেকে পদ্মা সেতু দেখতে হলে আগে যাত্রাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে আসতে হবে। সেখান থেকে এসে এসি কিংবা নন এসি বাসে করে যাওয়া যাবে সোজা পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব মাত্র ৫৫ কিলোমিটার, যা পার হতে সময় লাগবে আধা ঘণ্টার একটু বেশি। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে আধা ঘণ্টার মতো। যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া রোডে উঠে এই এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সোজা চলে যাবেন পদ্মা সেতুর দরজায়।

কী খাবেন: পদ্মায় যাবেন আর ইলিশ ভাজা খাবেন না, তা কি হয়? পদ্মা সেতু ঘুরে আসার পথে মাওয়া ঘাটেই পাবেন ইলিশের বাজার। পদ্মার পাড়ে বসে তাজা ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় জায়গা। প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে অসংখ্য ভ্রমণপ্রিয় মানুষ এখানে ঘুরতে এসে তরতাজা ইলিশ ভাজা খেয়ে যান। তবে ইলিশ মাছ খেতে হলে আপনাকে যেতে হবে শিমুলিয়া ঘাট বা মাওয়া মাছ বাজারের পেছনে। ইলিশ ভাজার সঙ্গে আরও রয়েছে বিভিন্ন রকম ভর্তা এবং সাথে বেগুন ভাজা। এ ছাড়া ঘুরতে গিয়ে আপনি খেয়ে দেখতে পারেন মাওয়ার ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লাও।

থাকবেন যেখানে: সাধারণত ছুটির দিনে খুব অল্প সময়ে ঘুরে আসার মতো জায়গাটি মূলত এক দিনের ট্যুর। ঢাকাবাসীরা দিনে গিয়ে পদ্মা সেতু দেখে আবার দিনের মধ্যে ফিরতে পারবেন। কিন্তু যাঁরা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে মাওয়াতে পদ্মা সেতু দেখতে আসবেন, তাঁরা চাইলে পদ্মা সেতুর পাশে অবস্থিত মাওয়া রিসোর্টে থাকতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর



জিম্মি জাহাজের অদূরে ইইউ নেভির যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদে হাতে ছিনতাই বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে চক্কর দিচ্ছে ইইউ নেভির হেলিকপ্টার। সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে অপারেশন আটলান্টা নামে কার্যক্রম কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশি পতাকাবাহী পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে।

এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহর খুব কম দূরত্বই নির্দেশ করে। অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে। এর আগে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।

পরে ১৪ মার্চ এক বিবৃতিতে ইইউ নেভাল ফোর্স জানায়, অপারেশন আটলান্টার আওতায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। তারা বাংলাদেশ ও সোমালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

১৮ মার্চ রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা মিলে সোমবার (১৮ মার্চ) অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনীর বরাতে তারা এ তথ্য জানায়।

এদিকে ইইউ নৌবাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা।

দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ইইউ নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি-টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

তবে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ এবং সরকার, নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি।

এছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ। সর্বশেষ বুধবার প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশি মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, সোমালিয়া কোস্ট লাইনের ভেতরে এমন অভিযান খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সোমালিয়া কোস্টের ভেতর যতগুলো জাহাজ ছিল আজ পর্যন্ত কোনো জাহাজ পিসফুল নেগোসিয়েশন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন, যেটি ভারতীয় বাহিনী উদ্ধার করেছে, সেটিও যদি তাদের কোস্ট থেকে বের না হতো, তবে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।

অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে।


আরও খবর



এবার গাজা ইস্যুতে সামরিক ইউনিফর্মে আগুন দিলেন মার্কিন সাবেক সেনারা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা ইস্যুতে গায়ে আগুন দেওয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর আত্মহননকারী সদস্য অ্যারন বুশনেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেদের সামরিক পোশাকে আগুন দিয়েছেন আমেরিকার কিছু সাবেক সেনা সদস্য।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যে বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে বুশনেল গত রবিবার ওয়াশিংটন ডিসির ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার এই পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মার্কিন সাবেক সেনারা নিজেদের পোশাকে আগুন দেন। এর মধ্যদিয়ে মূলত তারা ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সরকারের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতিবাদ জানালেন।

শুক্রবার (০১ মার্চ) সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়- কয়েক ব্যক্তি একটি ট্র্যাশ ক্যানের ভেতরে পেট্রোল ঢেলে তার মধ্যে নিজেদের সামরিক পোশাক ফেলে আগুন ধরিয়ে পোড়াচ্ছেন। সেখানে অবস্থান করা লোকজনকে ফিলিস্তিন মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা যায়। ট্র্যাশ ক্যানের ভেতরে বেশ কয়েক ব্যক্তি নিজেদের সামরিক পোশাক ফেলে পুড়িয়ে দেন। যেখানে সামরিক পোশাকে আগুন দেওয়া হয় সেখানে ফিলিস্তিন মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান সম্বলিত ব্যানার দেখতে পাওয়া যায়।

অ্যারন বুশনেল আত্মহত্যা করার আগে ফিলিস্তিন মুক্ত করার পক্ষে স্লোগান দিয়েছিলেন। সেসময় তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, আমাদের শাসক শ্রেণি ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি তাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়।’


আরও খবর



জিম্মি জাহাজ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো ইউরোপীয় নৌবাহিনী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। জাহাজটি এরইমধ্যে সোমালিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে বলে জানা গেছে। এবার বাংলাদেশি ওই জাহাজে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছে, গেল ডিসেম্বরে রুয়েন নামে মাল্টিজ-পতাকাবাহী একটি বাল্ক কার্গো জাহাজ আটক করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। দুদিন আগে (মঙ্গলবার) সোমালিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে পণ্যবাহী জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে; এই কাজে দস্যুরা রুয়েনকে ব্যবহার করে থাকতে পারে। খবর রয়টার্সের।

২০১৮ সাল পর্যন্ত এক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক জলপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রেখেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এরপর তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড কমে আসলেও, গত বছরের শেষ দিক থেকে বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে।

রয়টার্স বলছে, ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে মঙ্গলবার জলদস্যুদের হামলার (বাংলাদেশি জাহাজে) তথ্য সঠিক হয়ে থাকলে তা এই দস্যুদের পুরনো কৌশলে ফিরে আসাকেই বুঝাবে। অর্থাৎ তারা যে আগের মতোই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এ ঘটনা হবে তারই প্রমাণ।

ইইউ’র জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান ইউন্যাভফর (EUNAVFOR)-এর তথ্যানুযায়ী, ছিনতাইয়ের সময় অন্তত ১২ জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহ-তে উঠেছিল।

ইউন্যাভফর বলছে, এমভি রুইন ছিনতাই করা জলদস্যুরাই এই ছিনতাইকাণ্ডে (বাংলাদেশি জাহাজ) অংশ নিয়ে থাকতে পারে। তবে এমভি আবদুল্লাহ’র ক্রুরা নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে জানিয়েছে, অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালানোর জন্য মাদারশিপ’ হিসেবে এই জাহাজটিকে (এমভি রুয়েন) ব্যবহার করা হতে পারে বলে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর



আট জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত অতিক্রমের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি জেলায় শক্তিশালী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) রাতে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাত ২টার দিকে ঢাকায় ঘন ঘন বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এছাড়া রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গাতেও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, রাজধানীতে রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার।

রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। এই সময়ে সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টির এমন আভাস রয়েছে।

মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুই-তিন দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ছাড়াও মাসের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪