আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চলুন দেখে আসি ঐতিহ্যবাহী ভাসমান হাট

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই বানারীপাড়া দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। এমন পরিচয়ের পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে এখানকার ধান-চালের ভাসমান হাট । ওয়ার্ল্ড হেরিটেজেও বানারীপাড়ার এ ধান-চালের ভাসমান হাটটি স্থান পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ বাজারের পরিধি কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। তবুও টিকে আছে ঐতিহ্যবাহী এই হাট। বানারীপাড়া ধান-চালের ভাসমান হাটটি নিজ চোখে দেখতে প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। একবার ঘুরে আসতে পারেন আপনিও।

বাজারের আদিকথা: বরিশালকে যে বালাম চালের জন্য বিখ্যাত বলা হয়, সেই চাল বানারীপাড়ায়ই প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়। প্রায় দুশ-বছর পূর্বে বানারীপাড়ায় ধানচালের ব্যবসার গোড়াপত্তন হয়। কালক্রমেই এর বিস্তৃতি ঘটে। বানারীপাড়ায় প্রক্রিয়াজাত বালাম চালের চাহিদা ও সুনামের জন্য ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত ফরিয়া এখানে এসে চাল ক্রয়-বিক্রয় করে নিয়ে যেতেন। এছাড়া পটুয়াখালী, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, ভোলাসহ প্রভৃতি স্থানের ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপন্ন ধান বিক্রি করতে বানারীপাড়ায় আসতেন। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধানচালের ব্যবসার ওপর বানারীপাড়ার অন্যান্য ব্যবসা নির্ভরশীল ছিল।

লোকমুখে শোনা যায়, সন্ধ্যা নদীতে এক সময় ভাসমান ধান-চালের হাটে এত বেশি নৌকা আসত যে, নদীর এপার থেকে ওপারে এক নৌকা থেকে অন্য নৌকা, এ রকম করেই নদী পার  হওয়া যেত। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধান-চাল বেচা কেনায় ব্যস্ত থাকতেন ব্যবসায়ীরা। তবে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, নৌকায় চলাচলের অভ্যস্ততা কমে যাওয়া, বালাম চালের চাহিদা কমা, অত্যধিক অটো রাইসমিল গড়ে ওঠা এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চাল উৎপাদন হওয়াসহ নানা কারণে এ বাজারের সেই প্রাচীন অস্তিত্বে ভাটা পড়েছে। তবুও বিলুপ্ত হয়নি বাজারটি।

যা দেখবেন: বানারীপাড়ায় ধানচালের হাট বসে শনিবার ও মঙ্গলবার। তবে রবিবার ও বুধবারেও ধান চাল বেচাকেনা হয়। সন্ধ্যা নদীতে নৌকায় ভাসমান হাটে আসে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতা। একসময় বানারীপাড়া বন্দর বাজার, পশ্চিমপাড় থেকে শুরু করে রায়েরহাট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সন্ধ্যা নদী ও এর শাখা নদী-খালে ভাসমান অবস্থায় হাজার হাজার নৌকায় ধান-চালের হাট বসত। বর্তমানে বানারীপাড়ার লঞ্চঘাট সংলগ্ন চালের হাট এবং নদীর পশ্চিমপাড় দান্ডহাটে ভাসমান ধানের হাটটি বসে।

এখানে দেখা যাবে, ধান কেনা-বেচার মহাউৎসব। বেপারী, মাঝি-মাল্লা, কয়াল (ওজনকারী), শ্রমিক, চাল ঝাড়ার জন্য নারী শ্রমিকের মতো অনেক পেশার মানুষের কর্মযজ্ঞ চোখ আটকাবে। এখানে আরেকটি দ্রব্য বেশ নজর কাড়ে, যার নাম ডোলা। ১০ থেকে ২৫ মণ চালবোঝাই করার মতো বাঁশের তৈরি পাত্রকে বলা হয় ডোলা। কুটিয়ালরা নৌকার মধ্যে এসব ডোলা বসিয়ে চাল বোঝাই করে হাটে নিয়ে আসে। খুব সকাল থেকে ধান-চালের পসরা বসে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে বাজার। বেলা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে মানুষ। দূরের পাইকাররা দূরযাত্রা শুরু করে দুপুরের পরপর। ধান নিয়ে নৌকার সারি, ইঞ্জিনচালিত ট্রলার আর কার্গোবাহী লঞ্চে চাল বোঝাইয়ের দৃশ্য দেখলে মনে হবে, এ যেন কোনো শিল্পীর হাতে আকা একটি জীবন্ত ক্যানভাস।

যাতায়াত: ঢাকার থেকে লঞ্চযোগে বরিশাল যেতে পারেন। খুব ভোর নাগাদ বরিশালের ঘটে লঞ্চ পৌঁছায়। লঞ্চঘাট বা নথুল্লাবাদ বাসস্টান্ড থেকে বানারীপাড়া যাওয়ার সিএনজি আটোরিকশা আছে।

থাকা- খাওয়া: সারাদিন কাটিয়ে রাতেই ফিরে আসা যাবে। আর থাকতে চাইলে, বানারীপাড়ায় মোটামুটি মানের হোটেল, ডাক বাংলো পাবেন। স্বরূপকাঠিতেও থাকা যাবে। ভিআইপিভাবে থাকতে চাইলে ফিরতে হবে বরিশাল সদরে। আর খাবারের ব্যবস্থা স্থানীয় রেস্তোরাঁয়।

মনে রাখুন: একই ভ্রমণে দেখতে পারেন স্বরূপকাঠির রূপ, গুঠিয়া মসজিদ, মাধব রাজার দূর্গাসাগর, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের বাড়ি, শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর, শেরেবাংলা কলেজসহ আরো কিছু ভ্রমণের জায়গা। অবশ্যই শনিবার ও মঙ্গলবারকে টার্গেট করে যাবেন। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে বাজার দেখার স্বাদ মিলবে না।

নিউজ ট্যাগ: ভাসমান হাট

আরও খবর



গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরের কুতুবিয়ায় গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গত চারদিন ধরে ভাসতে থাকা একটি ফিশিং বোটের ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, চারদিন আগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া লাইট হাউস থেকে ৯ নটিকেল মাইল দূরে ভাসছিল ফিশিং বোট এফবি শিফা। পরে ভাসতে থাকা জেলেরা ৯৯৯ জরুরি সেবা নম্বরে যোগাযোগ করলে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ সবুজ বাংলা জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড মিডিয়া সেলের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইতোমধ্যে উদ্ধার হওয়া জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং রাত ৮টার দিকে বোট মালিকের কাছে জেলেদের হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



তাইওয়ানে ভূমিকম্প: ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হুয়ালিয়েন শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দ্বীপজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে গেছে এবং এসব ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অন্তত ৭৭ জন মানুষ।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ৭ টা ৫৮ মিনিটে ঘটে এই ভূমিকম্প। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন ও জাপানেও অনুভূত হয়েছে কম্পণ। তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। এ সময় সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানজুড়ে অন্তত ১০০ ভবন ধসে পড়েছে ভূমিকম্পে। এই ১০০ ভবনের অর্ধেকই হুয়ালিয়েন শহরের। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেছেন, গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



২৩৮ বার হেরেও ফের নির্বাচনে লড়বেন পদ্মরাজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ২৩৮ বার হারার পরও ফের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন ভারতের তামিলনাডুর এক ব্যক্তি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। ৬৫ বছর বয়সি ঐ ব্যক্তির নাম কে পদ্মরাজন।

তার টায়ার মেরামতের একটি দোকান রয়েছে। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়া শুরু করেন ১৯৮৮ সালে। ঐ বছর তামিলনাড়ুর মেটুর থেকে নির্বাচন করেন। যখন তিনি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন তখন অনেকে হাসাহাসি করেন।

তবে পদ্মরাজন প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। পদ্মরাজন বলেছেন, সব প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে জয় পেতে চায়। কিন্তু আমি নই। আমার জন্য জয় হলো নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমি হারলেও খুশি।’

এবার তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী থেকে নির্বাচন করবেন তিনি। পদ্মরাজনকে ইলেকশন কিং’ নামে অভিহিত করে থাকেন তার পরিচিতজনরা। তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল থেকে শুরু করে স্থানীয়সহ সব নির্বাচন করেছেন।

নির্বাচনে তিনি হেরেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ও মনমোহন সিংয়ের কাছে। এছাড়া কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও নির্বাচন করেছেন তিনি।

পদ্মরাজন জানিয়েছেন নির্বাচনে জয় পাওয়াটা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূলত নিজের পরাজয়ের তালিকা দীর্ঘ করার লক্ষ্যই এখন তার। এছাড়া কার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন সেটি নিয়েও তার কোনো চিন্তাভাবনা নেই। পদ্মরাজন বলেছেন, জয় হলো অপ্রধান। বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী যে-ই হোক, আমি পরোয়া করি না।’


আরও খবর



সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আসুন, আমরা আত্মীয়-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদুল ফিতর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন। ঈদ মুবারক।

আজ মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) হিজরি ক্যালেন্ডারের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বাংলাদেশে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




র‍্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব সদর দপ্তর এবং র‌্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই দিনের অভিযানের পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ওইদিন রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।

অপহরণের বিষয়ে তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করেছে।

ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪