আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

চলতি বছর কর্মীদের বেতন বাড়াবে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কর্মীদের বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জাপানের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান চলতি বছর শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দা পরিস্থিতি ও ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জাপানি নাগরিকদের বেশ ভোগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সর্বাধিক চেষ্টা করতে বলেছেন। এ ব্যাপারে কিশিদার প্রশাসন বারবার বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করে আসছেন। ৪০ বছরের মধ্যে দ্রুততম মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির অর্থনীতি।

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে এরই মধ্যে সাড়া দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহে পোশাক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ইউনিকলোর নিয়ন্ত্রক ফাস্ট রিটেইলিং কোম্পানি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়াবে।

জাপানে প্রতি বছরের বসন্ত মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি ও মার্চে) শ্রমিক ইউনিয়ন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেতনবিষয়ক আলোচনা হয়। এ সময়কে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে জরিপ করেছে রয়টার্স। জরিপে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর ২৪ শতাংশ ম্যানেজার জানিয়েছেন নিয়মিত নির্ধারিত বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল বেতনের ব্যাপক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে তারা। ২৯ শতাংশ ম্যানেজার জানিয়েছেন, তারা শুধু নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি করবে। এছাড়া ৩৮ শতাংশ ম্যানেজার জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তারা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছেননি।

রাকুতেন সিকিউরিটিজের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মাসায়িকি কুবতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বেতন বাড়ানোর কথা বলেছেন। তবে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের কথায় করা হয় না। বেতন বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এজন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। মাসাসিকি কুবতার মতে, যদি প্রাতিষ্ঠানিক প্রবৃদ্ধি প্রতিযোগিতামূলক না হয়, তাহলে বেতন বাড়ানোর ফলে খরচ বাড়বে। পরিস্থিতি তখন আরো খারাপ হবে।

রয়টার্সের জরিপে অংশ নেয়া মোট ৩৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩ শতাংশ বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অক্টোবরে রয়টার্সের আরেক জরিপের তুলনায় এ হার কিছুটা বেড়েছে। জরিপটি শুধু বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে পরিচালনা করা হয়েছে। ফলে দেশটির অধিকাংশ কর্মসংস্থান সরবরাহকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি জানা যায়নি। জাপানের ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, ছোট ব্যবসায়ীরা সাধারণত বেতন বাড়াতে পারে না। কেননা তারা প্রায়ই গ্রাহকদের ধরে রাখতে গুণগত মান বজায় রেখে কম মুনাফা অর্জন করে।

জরিপ বলছে, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রী কিশিদার অন্য আরেকটি পরিকল্পনায় তেমন আগ্রহী নয়। অন্য পরিকল্পনাটি হলো, চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় সামরিক ব্যয় বহন করা। জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী সামরিক ব্যয় বহনের জন্য বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪ শতাংশ কিংবা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্সের অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন এ পরিকল্পনা ২০২৪ অর্থবছর বা তার পরে কার্যকর হবে।

জরিপে অংশ নেয়া ৪৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সামরিক ব্যয়ের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে। এছাড়া ২৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান করপোরেট করের হার বাড়ানোয় সম্মত হয়েছে। রয়টার্সের অক্টোবর সমীক্ষায় ৮১ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা সামরিক ব্যয়ের উদ্দেশ্যে করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানোর পক্ষে। ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলেছে, এর জন্য করপোরেট ট্যাক্স তুলে নেয়া উচিত।

নিউজ ট্যাগ: জাপান

আরও খবর



তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধের কারণে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতি দেখা দিয়েছি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ বলেন, সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ হয়। এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ শনিবার বিকালের মধ্যে জানা যাবে, এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

দেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় এখন ৫ হাজার জিবিপিএস। দুই সাবমেরিন ক্যাবলের বাইরে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) মাধ্যমে স্থল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই ৬ থেকে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ট্রাকচাপায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। নিহত প্রকৌশলীর নাম শাহাদাত হোসেন মুন্না।

বুধবার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে পূবাইল থানা এলাকার মীরের বাজার চৌরাস্তার কামারগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদাত হোসেন মুন্না ময়মনসিংহ জেলার নান্দইল থানার রামগাতি খালপাড় গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি মিরপুর-১ লালকুটি তৃতীয় কলোনিতে থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, মুন্না রোড ও ফ্লাইওভার প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সকালে মোটরসাইকেলে উলুখোলা থেকে ভোগড়া বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দেয়। এতে মুন্না গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



তাপমাত্রা কমাতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিলেন হিট অফিসার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

নগরীর ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা তাপপ্রবাহ কমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে পানীয় জলের সুব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পান। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বলেন, গত এক বছরে আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ, তারা অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। এসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে এবং এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। কৃত্রিম বৃষ্টি-র দেখা মিলবে প্রতিদিনই। তীব্র দাবদাহে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা কৃত্রিম বৃষ্টির দেখা পাবে নগরবাসী। রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিরদেখা মিলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নগরীর তাপপ্রবাহ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির তৈরির জন্য ব্যবহার করছে বড় বড় জলকামান। প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার।


আরও খবর