নারায়ণগঞ্জে চলন্ত বাসে উচ্চশব্দে গান
বাজিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাসের চালক-সুপারভাইজার
ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে সায়েদাবাদ থেকে রূপগঞ্জের
ভুলতা-গাউছিয়া রুটে চলাচলকারী বাসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে বন্দর উপজেলার
মদনপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গৃহবধূকে
উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, বাসের চালক নুরুল হক (২১), সুপারভাইজার (১৬)
ও হেলপার (১৪)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়,
রবিবার রাত ১০টার দিকে গাউছিয়ায় যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবহনের
একটি বাসে ওঠেন গৃহবধূ। চিটাগাং রোড বাসস্ট্যান্ডে গেলে বাসের যাত্রীরা নেমে যান। এ
সময় বাসে একা ছিলেন ওই গৃহবধূ।
বাসচালক কাঁচপুর দিয়ে ভুলতা-গাউছিয়া রুটে
না গিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে চলতে থাকে। মদনপুর জাহিন টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন এলাকায়
পৌঁছালে সুপারভাইজার ও হেলপার বাসের দরজা-জানালা লাগিয়ে উচ্চশব্দে গান ছেড়ে দেয়। এরপর
চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা
বলে চালকের পা ধরে কান্না শুরু করেন গৃহবধূ। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বাস থেকে
নামার সুযোগ দিলে আড়ালে গিয়ে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে
জানান। কল পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার এবং বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে
গ্রেফতার করা হয়।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন,
চলন্ত বাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গৃহবধূকে
উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে
(ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাসচালক নুরুল হকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। সুপারভাইজার ও হেলপারের বয়স যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাদের শিশু-কিশোর আদালতে পাঠানো হবে।