আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

চক্ষুদান করতে সচেতনতার বিকল্প নেই: শারফুদ্দিন আহমেদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে স্বাস্থ্যখাতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভোগা অন্তত ৬ হাজার জনের মতো লোক চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের (চোখ সংযোজন) জন্য সংগঠনটির তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার জনের জন্য এখনও কর্নিয়া পাওয়া যায়নি, ফলে তারা চিরতরে অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে অপেক্ষমাণ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ( ২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত মরণোত্তর চক্ষুদানে উৎসাহিতকরণ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, একজন মানুষের অন্ধত্ব নানা কারণে হতে পারে। তার মধ্যে কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব হলে এর সংযোজন করে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা যায়। এ ক্ষেত্রে সংযোজন ছাড়া পথ নেই। বিশ্বে অন্তত ২.২ বিলিয়ন মানুষের দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪.২ মিলিয়ন মানুষের কর্নিয়ার অস্পষ্টতা রয়েছে।

সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ কর্নিয়াজনিত অন্ধত্বে ভুগছেন, যারা তাদের চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করলেই দৃষ্টি ফিরে পাবেন। তবে বাংলাদেশে মানুষের মাঝে চক্ষু দান করার প্রবণতা নেই বললেই চলে। বিদেশ থেকে আমদানি করে অন্ধ মানুষের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। সন্ধানীর মাধ্যমে অল্প কিছু সংখ্যক কর্নিয়া পাওয়া যায়। যা প্রয়োজনের তুলনা নিতান্তই অপ্রতুল। সাধারণ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দানের উৎসাহ সৃষ্টি করতে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, মৃত্যুর পর একজন মানুষ চোখের ছোট একটি অংশ (১২ এমএম) কর্নিয়া দানের মাধ্যমে একজন অন্ধ মানুষের চোখের দৃষ্টি দান করা সম্ভব। এর মাধ্যমে মৃত্যুর পরেও একজন মানুষ অন্ধ মানুষের জীবনব্যাপী চোখের আলো হয়ে থাকতে পারেন। কর্নিয়া দান করলে মৃত্যুর পর চেহারার কোনো বিকৃতি ঘটে না। ধর্মীয়ভাবে এ বিষয়ে কোন নিষেধ নেই। ইরানের মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও সবাই মৃত্যুর পর চক্ষু দানের অঙ্গীকার জীবিত থাকা অবস্থাতেই করে থাকেন। কর্নিয়া দান করা, রক্তদান ও কিডনি দান করার থেকেও সহজ একটি প্রক্রিয়া।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বহুদিন থেকে আমি সন্ধানীর সঙ্গে জড়িত। আমি সন্ধানীর প্রথম চক্ষু উত্তোলন করেছি। ৩৮ বছরে ৪ হাজার চক্ষুদান করার সুযোগ পেয়েছে সন্ধানী। ধর্মভীরু এদেশে এসব পাওয়া যায় না। সন্ধ্যানীসহ চক্ষু দানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের আগামী ৫ বছরের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। আমরা ঠিক কতটি চক্ষুদান করতে পারব তা নির্ধারণ করতে হবে। এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। মরণোত্তর চক্ষুদানের বিষয়ে ভারত শ্রীলঙ্কা নেপালের সঙ্গে কাজ করে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে কৃষকদের কর্নিয়ায় রোগ সংখ্যা একটু কমেছে। ধান ও পাট কাটার সময় কৃষকদের চোখে চশমা পরতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চক্ষু পরিষ্কার করার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। কানের মতো করে চক্ষু পরীক্ষা করা যাবে না। টিস্যু দিয়ে চক্ষু পরিষ্কার করার সময় চক্ষুতে আঘাত লাগার কারণে অন্ধ হয়ে যাবে। এটি ট্রমাজনিত অন্ধত্ব।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএমএ মুক্তাদির। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সন্ধানী ন্যাশনাল আই ডোনেশন সোসাইটি এবং সন্ধানী ইন্টারন্যাশনাল আই ব্যাংক, বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. তোসাদ্দেক হোসাইন সিদ্দিক। 

সভাপতিত্ব করেন বিসিআরএসর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কাদের। সেমিনারে হাউ টু ইনভলব দ্যা হোল নেশন ইন আই ডোনেশন-আওয়ার রেসপন্সসিবিলিটি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভান্সমেন্ট ইন ক্যারাটোপ্লাস্টি: নিউ ইনসাইটস শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. মো. শাফি খান এবং ডা. মো. জয়নাল ইসলাম সন্ধানী-দি টর্চ বেয়ারার অব আই ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক সারোয়ার আলম, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ এ হাসান।


আরও খবর



ময়মনসিংহ-কুমিল্লা সিটিসহ ২৩১ নির্বাচনে ভোট আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও ৬টি পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ভোট উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলেও দুটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। 

আরও পড়ুন>> এক মাসে ১৫৯ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে বিজিবি

নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন এবং ৩টি পৌরসভার (পটুয়াখালী পৌরসভা, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা এবং বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচনসহ ৩টি পৌরসভার (ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদ) মেয়রের শূন্য পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন উপনির্বাচন নিয়ে ৯ মার্চ মোট ২৩১টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।

২ সিটি নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর ১৬ জনের ফোর্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকছে। এ দিকে পৌরসভাগুলোয় ১২ থেকে ১৪ জনের ও ইউপির নির্বাচনগুলোতে ২২ জনের ফোর্স নিয়োজিত করেছে ইসি।

নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো আছে। তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন:

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর ১৮ ডিসেম্বর মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে গত ২২ জানুয়ারি মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২, নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ এবং হিজড়া ২ জন। ভোটকেন্দ্র ১০৫টি ও ভোটকক্ষ ৬৪০টি।

কুমিল্লায় সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। বিএনপি থেকে বহিষ্কার ২ নেতা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (ঘড়ি) এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজামুদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করছেন। আর আওয়ামী লীগ মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার (বাস) এবং নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর তানিম (হাতি প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।

আরও পড়ুন>> মালয়েশিয়ায় যেতে এজেন্ট লাগবে না বাংলাদেশি কর্মীদের

ময়মনসিংহ সিটির ভোট:

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২, নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ এবং হিজড়া ৯ জন। এ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৩৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১১টি। ভোটকেন্দ্র ১২৮টি ও ভোটকক্ষ ৯৯০টি।

এখানে মেয়র পদে প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী মাত্র একজন। জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। সিটিতে টেবিল ঘড়ি নিয়ে লড়াইয়ে আছেন বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক, ঘোড়া প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, হাতি মার্কায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কী ও হরিণ প্রতীক নিয়ে কৃষক লীগের সাবেক সদস্য রেজাউল হক রেজা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। ময়মনসিংহ সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৯ জন ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কমিশনার পদে ৬৯ জন লড়ছেন।


আরও খবর



স্বরূপকাঠিতে মা ও বোনসহ গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মাদক ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল হোসেনকে (২৭) সহ তার মা দেলোয়ারা বেগম (৫০) ও বোন জায়েদা আক্তার স্বর্ণাকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে তিনকেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার বেল্লালের পিতা মাদক ব্যবসায়ী জহিরুল হক পালাতক রয়েছেন। আসামীরা সকলেই এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেছারাবাদ থানার এসআই মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মো. জহিরুল হকের ঘরে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ জহিরুলের ছেলে বেল্লাল হোসেন, স্ত্রী দেলোয়ারা ও মেয়ে স্বর্ণাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে জহিরুল সটকে পড়েন। আটককৃতদের দেয়া  তথ্যানুযায়ী পুলিশ জহিরুলের পাকাঘরের মাটির নিচে পুতে রাখা ড্রাম থেকে অনুমানিক সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


আরও খবর



জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে দেশে গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, নতুন ফর্মুলায় শিগগিরই দেশে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের নতুন দাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রস্তাবিত নতুন দামের অনুমোদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে গত ১ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে। চলতি মার্চ থেকেই জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ এ পদ্ধতি কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল) তথা সরকার যে সব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা প্রকাশ করে সরকার।

তবে প্রয়োজনে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।


আরও খবর



মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করা হবে : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরে আইসিপি (ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বিজিবি ডিজি বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অন্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জের ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে জাহাজে করে সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। মার্চে মিয়ানমারের বিজিপির ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি ডিজি বলেন, আইসিপি- ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট (সমন্বিত চৌকি) যখন চালু হবে, আমাদের দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অর্থনৈতিক অনেক প্রাপ্তি ও সুবিধা হবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এদিকে ও ভারতের দিকেও আইসিপির দু'প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করছে। এই আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দুপাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধি করবে।

এর আগে তিনি বিজিবির সূতিকাগার ২২৯ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গৌরবমন্ডিত রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু এলাকা এবং বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন।

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দরটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অবস্থানটি ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সে জন্য এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা  দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু রয়েছে এবং এখানে যে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে সেটা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরও ত্বরান্বিত হবে।

বিজিবি প্রধান রামগড়ে বিজিবি স্সৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০ দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর রামগড়ে ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় এবং ইফতার করেন। এ সময় তিনি সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আগামী রমজানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী বছরের রমজানে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে দাম বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষিপণ্য সরবরাহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রোডিনটর্গ এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএইতে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) দেখলাম ১৮টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের রাষ্ট্রীয় সার্কুলার দিয়ে দিয়েছে, এই পণ্যগুলোর দাম কেউ এ মাসে (রমজান) বাড়াতে পারবে না। আমরা এবার হয়তো পারি নাই। ইনশাআল্লাহ আমাদের সাপ্লাই চেইন ইম্প্রুভ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ ইম্প্রুভ করে আগামীতে কেবিনেটের অনুমোদন নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের একটা কমপ্লিটলিস্ট তৈরি করবো। ওইভাবে এটার সাপ্লাই বাড়ানো এবং পণ্যের নির্ধারিত দাম আমরা যাতে ঠিক করতে পারি।

আপনারা বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সেভাবে প্রভাব পড়ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই যারা রোজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি ও উৎপাদন করেন তাদের সঙ্গে বসেছি। আমদানি এবং উৎপাদন পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে, এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।

বাজারে রমজান উপলক্ষে এই মুহূর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দেড় মাসে চালের বাজারে একটা অস্থিরতা ছিল। সেটা আল্লাহর অশেষ রহমতে স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। চালের দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তেলের দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি।‌ রমজান উপলক্ষে আজ থেকে বাজার তদারকি আরও বাড়াবো। যাতে কেউ সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৩ টাকা, খোলা তেল প্রতি লিটার ১৪৯ টাকার ওপরে কেউ বিক্রি না করে। সেই ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো। কোনোভাবে যাতে এটার ব্যত্যয় না হয়, সেই চেষ্টা করবো। রমজান উপলক্ষে আজ থেকে আমরা বাজার পরিদর্শন শুরু করবো।

আহসানুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও কিন্তু নির্দেশ দিয়েছেন বাজারে সরবরাহ চেইনে কেউ যদি ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি। একেবারে যে উন্নতি হয়নি তা নয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য তাদের সম্মতি আমরা পেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজও ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে ঢুকবে।

সুপারশপগুলোতে নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন কাঁচাবাজারে গেলাম তখন দেখলাম প্রত্যেকটি জিনিসের দাম নির্ধারিত দামের চেয়ে দুই-তিন টাকা বেশি। একেবারে খুচরা পর্যায়ে কাঁচাবাজারগুলো অস্থায়ীভাবে থাকে, ওইগুলো আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো সেটা এখন বের করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই- সরবরাহ নিশ্চিত করা, কোনোভাবেই যেন সরবরাহে ঘাটতি না হয়। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছি। বাজার মনিটরিং ইনশাল্লাহ আমরা বাড়াবো। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দেওয়া হয় এটা সম্পূর্ণ শুরু হলে এতেও বাজারে একটা চাপ কমে যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ একটা মূল্য নির্ধারণ করে দিতে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, হঠাৎ করে শুনলাম লেবুর দাম বেড়ে গেছে। শসার দাম, পেঁয়াজের দাম...। এটি কিন্তু সারা বাংলাদেশের তুলনায় ঢাকার কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই বলবো। এটি কিন্তু গুটিকয়েক জায়গায়। সারাদেশের পরিস্থিতি কিন্তু এটা না। অনেক সময় হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যায়। দেখা যাবে আজ বা কাল সবাই বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়বো ১০/২০ দিনের সাপ্লাই একদিনে কিনে ফেলবো। ডিমান্ড বেড়ে গেলে হয়তো ওই অনুযায়ী সাপ্লাইটা আসে না। এজন্যও (আকস্মিক দাম বৃদ্ধি) হতে পারে।

তিনি বলেন, আমি আজ সকালে শুনলাম একজন বিক্রেতা বলতেছে বছরে একটাবার রোজা আসে লেবু দিয়ে একটু ই করতে হয়, কৃষকরা একটু পয়সা পায়, আমরাও দুইটা পয়সা পাই। ব্যাপার কিন্তু এটাই। এখানে কিন্তু কোনো বড় গ্রুপ কাজ করতেছে না। একটা ডালা নিয়ে তিনি ব্যবসা করতেছেন, সে চিন্তা করতেছে দুই টাকা বেশিতে পাইলে সে দুই টাকা বেশি লাভ করবে। ভেরি ইনোসেন্টলি সে এ কথাটা বলেছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের একটু সততার সঙ্গে ব্যবসাটা করতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতিটাকে প্রাধান্য দিয়ে যাতে আমরা ব্যবসাটা করি।

রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চালের স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গম, ভুট্টা, ডালের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। এগুলো আমাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গমের উৎস হলো রাশিয়া। আজ যে প্রোডাক্টগুলো তারা সাইন করলো- রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে তারা যদি সাপোর্ট দিতে পারে তাহলে আমাদের ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির একটা বড় বাফার স্টক আমরা তৈরি করতে পারবো।

টিসিবিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে সাবসিডাইজ প্রাইজে পণ্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে ফেয়ারপ্রাইজে মাল্টিপল প্রোডাক্ট সরবরাহ করবো, যদি আমাদের এই রকম সোর্স থাকে। শুধু রাশিয়া থেকে নয় কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনতে আমরা ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তি করার জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছি। মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।


আরও খবর