কক্সবাজারের চকরিয়ায়
নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের ১১ দিন পেরিয়ে
গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই শিক্ষার্থীর এখনও খোঁজ মিলছে না।
এদিকে এই অপহরণের
ঘটনায় জড়িত বখাটেকে আসামি করে রোববার থানায় একটি মামলা করেছেন অপহৃত শিক্ষার্থীর মা।
সন্ধান চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চকরিয়ার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রীর
পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে
ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে তার বোন (১৪) প্রাইভেট শিক্ষকের
কাছে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়া সড়ক থেকে কয়েকজনের
বখাটের দল ওই তাকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
সে উত্তর কাকারা
মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী অপহরণে জড়িত বখাটে মো. মোবারক
ওরফে বারেককে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। সে ইউনিয়নের একই গ্রামের মৃত নজু
মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে
উপস্থিত অপহৃত শিক্ষার্থীর মা বলেন, তার অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে প্রায় দুইমাস
ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বখাটে মোবারক ওরফে বারেক। এমনকি অভিভাবকদের মাধ্যমে বিয়ের
প্রস্তাবও পাঠায় বাড়িতে। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং বখাটের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে
রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন,
অপহরণের পর স্বজনদের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে আমার মেয়ের সর্বনাশ ঘটিয়ে কয়েকদিনের
মধ্যে বখাটে মোবারক বিদেশ পাড়ি দেবে। তাই পুলিশের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত আমার মেয়েকে
উদ্ধার এবং বখাটে মোবারককে গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে চকরিয়া
থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা নেওয়া
হয়েছে। এখন বখাটে মোবারককে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সে যাতে বিমানবন্দর
হয়ে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বার্তা দেওয়া হবে।