আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চিয়া চাষে স্বপ্ন বুনছে লালমনিরহাটের চাষীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

পুষ্টি ও ঔষধি গুন সম্পন্ন সুপারফুড চিয়া বীজ চাষ করে আলোড়ন তৈরী করেছে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষক জাহিদুল ইসলাম। চিয়া চাষে স্বপ্ন বুনছেন জাহিদুলের মতো অনেকেই। এলাকার মানুষের কাছে তিনি আদর্শ কৃষক নামেই পরিচিত। রয়েছে তার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ কৃষকের পুরুস্কার।

কৃষক জাহিদুলের চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার আনেক কৃষক ক্ষতিকর তামাক চাষ বাদ দিয়ে পুষ্টি ও ঔষধি গুন সম্পন্ন সুপারফুড চিয়া চাষে ঝুকছে। চিয়া চাষে কৃষকদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নিতিসহ মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্রত নিয়েছে এ এলাকার কৃষকরা।

গত বছর কৃষক জাহিদুলের ৩৫ শতাংশ জমিতে চিয়া চাষ করে ভালো ফলন ও লাভ হয়। তাই তিনি এলাকার সকল কৃষকদের চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। ভালো ফলন ও লাভের আশায় তিনি এবার প্রায় ১ একর ৫০ শতক  জমিতে দানাদার খাদ্য চিয়া চাষ করছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুপারফুড চিয়া বীজ সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদেও ভোজ্য বীজ। এটি মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি এলাকার উদ্ভিদ। চিয়া বীজ দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মতো। আকারে তিলের মতো সাদা ও কালো রঙের হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে চিয়া চাষে সার, বীজ, সেচ ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ১০০ থেকে ১২০ কেজি চিয়া ফলন পাওয়া যায়। প্রতি কেজি চিয়া বীজের বাজার মূল্য আট থেকে নয়শত টাকা।

জানা গেছে, চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে শরীরের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চিয়া বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যাসিড থাকায় দেহের পাচনতন্ত্র ও মেটাবলিজমের জন্য অনেক উপকারী এই বীজ। এছাড়াও পাচন প্রক্রিয়া ঠিক রাখায় কমতে পারে ওজন। এই বীজ ত্বক,নাক ও চুল সুন্দর রাখে ও ক্যানসার রোধ করে। ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

এ বিষয়ে পূর্ব সারডুবী এলাকার কৃষক মনছুর আলী বলেন, কৃষি অফিস ও জাহিদুল ভাইয়ের পরামর্শে প্রথম বারের মতো ৫০ শতক জমিতে চিয়া চাষ করেছি। গতবছর এই জমিতে তামাক চাষ করেছিলাম। এবার তামাকের পরিবর্তে চিয়া চাষ করেছি। ভালো ফলন ও দাম পেলে সামনের বছরে আরও বেশি করে চাষ করবো।

একই এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, জাহিদুল ভাইয়ের চিয়া চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তামাক চাষের পরিবর্তে এবার ৪০ শতক জমিতে চিয়া চাষ করছি। চিয়া চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জাহিদুল ভাই আমাদের সবকিছু শিখিয়ে দিয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে।

কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, চিয়া বীজ সম্পর্কে টিভিতে একটা প্রতিবেদন দেখি। তারপর হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে গত বছর ৩৫ শতক জমিতে চিয়া লাগাই। তাতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় চিয়ায় বেশি লাভ হয়। সেই থেকে এলাকার কৃষকদের ক্ষতিকর তামাক চাষ বর্জন করে চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। তামাক চাষে জমির উরর্বতা নষ্ট হয়। এ বছর ১ একর ৫০ শতক জমিতে চিয়া চাষ করেছি। এর পাশাপাশি আদা, পেঁয়াজ ও ভুট্টা চাষ করছি। চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন আছে। আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিয়া বীজের বিকল্প নাই।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, আমাদের মুল লক্ষ্য তামাক মুক্ত উপজেলা গড়া। তাই তামাকের পরিবর্তে কৃষকদের ভুট্টা ও পুষ্টি সমৃদ্ধ নতুন ফসল চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন,পুরো জেলায় ৮ একর জমিতে চিয়া চাষ হচ্ছে। এটা লাভজনক ভেষজ ফসল। জেলায় গত বছর ৬ একর জমিতে চিয়া চাষ হয়েছিলো। লাভজনক ফসল হওয়ায় অনেকেই চিয়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ ফসল মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যান্ত উপকারী। প্রযুক্তিগত দিক থেকে চিয়া চাষীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ফসল ফলানো থেকে শুরু করে না ওঠা পর্যন্ত কৃষকের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা পরামর্শ দিচ্ছেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মিলনমেলা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে উপাচার্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন করলে হবে না, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন করতে হবে। ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সিভাসুর সহযোগিতা ও "এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশে (ইআরডিএফবি) এর আয়োজনে "অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক" আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাইনা। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্বাভনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সকল অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা।তিনি প্রতিটি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। 

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফল আহসান বক্তব্য কালে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রচুর ভূমিকা রয়েছে।

চবি পালি বিভাগের প্রফেসর ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।

প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে।তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন।জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন।এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক।

ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে।বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

প্রফেসর ড. মো: রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড.আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো: শহীদ, ড. নূর হোসেন, প্রফেসর ড. সজীব কুমার, প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক,ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেক  নোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



নির্বাচনের অজুহাতে এনআইডি সংশোধন বন্ধ করা যাবে না: ইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে।

কমিশন জানায়, তফশিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> নতুন প্রকল্পে অর্থছাড় এবং ত্রাণ-অনুদান বিতরণ স্থগিতের নির্দেশ

নির্দেশনায় বলা হয়, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে। কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সেক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়া বিএনপি নেতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক সাবেক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার রাত ২টার দিকে সদরের জামালপুর পূর্ববাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (৪৫)। তিনি আক্কেলপুর উপজেলার পূর্ব রুকিন্দিপুর গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। মাসুদ থানা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে পিকআপে আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।


আরও খবর



ফাইনালের পিচ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আইসিসি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের আগে পিচ পাল্টে ফেলার অভিযোগে সমালোচনার ঝড় ওঠে আইসিসির বিরুদ্ধে। একদলকে সুবিধা দিতেই আইসিসি পিচ পাল্টে ফেলেছিল বলে অভিযোগ করে একাধিক গণমাধ্যম। পরে অবশ্য আইসিসি এটার ব্যাখ্যা দেয়। তবে ফাইনালের আগে এমন কোনো বিতর্ক যেন না আসে সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক অবস্থানে আইসিসি।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার দুপুরে বসছে বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাদের সামনে এটা নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য পিচের দেখভাল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আইসিসি।

আইসিসির পিচ কনসাল্টেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন শুক্রবার সকালে আহমেদাবাদে পৌঁছে শনিবার পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইসিসির এক কর্মকর্তা পিটিআই পত্রিকাকে বলেন, অ্যান্ডি চলে যায়নি। তিনি আইসিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গেই বিকেলে এখানে এসেছিল তবে সে মাঠে আসেনি। তিনি আগামীকাল সকাল থেকে পিচ পরিচর্যার কাজ করবে।

এর আগে নিউজিল্যান্ড-ভারত ম্যাচে মুম্বাইর পিচ পাল্টানো নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। শুক্রবার বিসিসিআইর গ্রাউন্ড স্টাফ প্রধান আকাশ ভৌমিক ও তার সহকারী তাপস চ্যাটার্জি পিচ প্রস্তুতি খুব সামনে থেকে নজরদারি করেন।


আরও খবর



সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’, চার বন্দরে চার নম্বর সংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অবশেষে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে রূপ নিয়েছে। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এস এম কামরুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

আরও খবর
কমবে বৃষ্টি, বাড়বে শীতের অনুভূতি

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩