আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা মামলায় বারো জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নির আদালতে সাক্ষ্য দেন চারজন।

তারা হলেন, ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, অটো রিকশাচালক মনির হোসেন এবং দুই কৃষক শহিদ মিয়া ও মনির হোসেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলার আসামিরা হলেন, নিহত শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদ। গত বছর ২৯ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। 

জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গজ উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোপের মধ্য থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মরদেহের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। 

তদন্তকালে জানা যায়, মরদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ওই বছর ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮টার মধ্যে যেকোনো সময় খুন হন শিমু।

শিমু হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত বছর ২৯ আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন সাহা হত্যাকাণ্ডে আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে সুমন সাহা (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার রাতে আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী রোডে আরএস টাওয়ার নামে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

নিহত সুমন হাজারী গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যামল সাহার ছেলে। সুমনদের বাড়ি কুমিল্লা হলেও পরিবার নিয়ে থাকতেন চট্টগ্রামের নন্দনকানন ২ নম্বর গলিতে। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মফিজুল ইসলাম দুলুসহ তিনজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের আর্থিক লেনদেনের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আরএস টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় কিছু ব্যাচেলর বাসা রয়েছে। সুমন ও তার অন্য সহযোগীরা সেখানকার এক বাসায় মাদক সেবন করেন। সেখানে মাদকের আসরে তাকে মারধর করা হয়। মারধরে সুমন অসুস্থ হয়ে পড়লে, অন্যরা সুমনের মামাকে ফোনে ডেকে নেন। সুমনের মামা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে মারধরে সুমনের শরীরের বিভিন্ন অংশ কালচে হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও সুমনের সঙ্গে এসব কাজে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।


আরও খবর



ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রকৌশলী নিহত, ইউএনওসহ আহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে আবু সাইদ নামে এক উপজেলা প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। এ সময় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আহত হয়েছেন তিন জন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের চাওয়াই সেতু সংলগ্ন চেকরমারী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত আবু সাইদ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন, সহকারী প্রোগ্রামার নবিউল করিম সরকার আহত হয়েছেন। তাদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আল আমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> নওগাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা খালি ট্রাকে আগুন

জানা গেছে, তারা তেঁতুলিয়া বেড়াতে আসেন। রাতে তেঁতুলিয়া থেকে ইউএনও ফজলে রাব্বির সঙ্গে তার গাড়িতে করে ওই কর্মকর্তারা পঞ্চগড়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের চাওয়াই সেতুর আগে চেকরমারী বাঁকে পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার নিচে পড়ে যান।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। গাড়িটি তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড়ের দিকে যাচ্ছিল। তবে ইউএনও সুস্থ হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, ইউএনওর গাড়ি খাদে পড়ে একজন প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। 


আরও খবর



নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট, তফসিল পেছানোর দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে আটটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট। নির্বাচনে ২০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বাড়ালে ৩০০ আসনেও প্রার্থী দিতে সক্ষম বলে জানান তারা।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জোটের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোটের মহাসচিব ও ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান বলেন, আমাদের লাল-সবুজের পতাকায় মোড়ানো স্বাধীন বাংলাদেশকে নিয়ে দেশে-বিদেশে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। এ দুঃসময়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি।

তিনি বলেন, সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট ২০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশন যদি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ১০ দিন বাড়ালে আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারবো। বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসি তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, দেশকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার স্বার্থে আমাদের সবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা জরুরি। বিএনপিসহ সব নিবন্ধিত দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে আপনারা নির্বাচনী ট্রেন মিস করবেন। মনে রাখতে হবে নির্বাচনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন তালিকায় সেসব দলের সংযুক্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। একই সঙ্গে তফসিল কমপক্ষে ১০দিন পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।

সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা এখনো মার্কা নির্ধারণ করিনি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্বে জোটের মধ্যে থাকা অন্য দলগুলো হলো- ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি।

বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান আতিকীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিছুল হক, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়ামিন হোসাইন আজমী, বাংলাদেশ মুসলিম জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




দলের প্রার্থী কতজন জানেন না বিএনএম মহাসচিব শাহজাহান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী কতজন, তা নিশ্চিত নন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মহাসচিব মো. শাহজাহান। কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই দলের কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাও নিশ্চিত করতে পারেনি দলটি। বিএনএম দাবি করেছে, বিএনপির ১৭ জন সাবেক সংসদ সদস্য তাদের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। যদিও দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহজাহান। দলের প্রার্থী সংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া অস্পষ্টতা দূর করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু দলটির পক্ষ থেকে তাদের প্রার্থীদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেনি। বরং সংবাদ সম্মেলনে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করতে থাকেন দলের মহাসচিব। একসময় দলের প্রার্থী কারা ও কতজন, তা নিয়ে নিজেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান বলেন, ৪৭৮টি ফরম বিক্রি করলেও মাত্র ৮২ জনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার পরে এলাকায় যেতে দেরি হয়েছে অনেকের। অনেকে কাগজপত্র গোছাতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাংকের যে সার্ভারে ট্রেজারি চালান দিতে হয়, সেটাতে তিন ঘণ্টায় ঢোকা যায়নি। কয়েকজন এ বিষয়ে রিট করবেন।

গত ৩০ নভেম্বর ছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ইসির হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন আসনে বিএনএমের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৯ জন। তবে দলের কতজন প্রার্থী, এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি দলের মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসির কাছ থেকে তালিকা পাইনি। আমরা ইসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা চাইব।

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বিএনএমের মহাসচিব দাবি করেন, তাঁদের দলের প্রার্থী সংখ্যা আসলে ১০২। ৮২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ২০ জন হিডেন (লুকানো) প্রার্থী। এই ২০ জনের সবাই সাবেক সংসদ সদস্য বলে তিনি দাবি করেন।

এরপর বিএনএম কীভাবে সরকার গঠন করতে পারবে, সেটারও একটি হিসাব তুলে ধরেন দলের মহাসচিব শাহজাহান। তিনি বলেন, বরাবরই বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার গঠন করতে পারব। ৮২ জন প্রার্থী, এর সঙ্গে ২০ জন হিডেন। এই ১০২টি আসন পেলে কোয়ালিশন করলে আমরাই সরকার গঠন করব। সেটা না হলে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলে যাব।

শাহজাহান বলেন, আমরা বলেছিলাম ২০ জন সাবেক সংসদ সদস্য যোগ দেবেন। তবে ২৫ থেকে ৩০ জন পেয়েছি। এর মধ্যে ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমাদের দলের হয়ে সংসদে যাবেন।

বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান দাবি করেন, যে ২০ জন হিডেন সাবেক সংসদ সদস্য তাঁদের দলের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, তাঁদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। ১ জন জাপা ও ২ জন স্বতন্ত্র ছিলেন।

তখন একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নির্বাচনে আছেন পাঁচজন। এর জবাবে বিএনএমের মহাসচিব বলেন, আমরা এই ১৭ জনকে মনোনয়ন দিয়েছি। দাখিল না করলে আমরা কী করতে পারব?

বিএনপি থেকে কতজন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনএমে যোগ দিয়েছেন ও প্রার্থী হয়েছেনএমন প্রশ্নের জবাবে একেকবার একেক তথ্য দেন বিএনএমের মহাসচিব। প্রথমে তিনি বলেন, দলের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ৯ জন। খানিক পরেই বলেন, বিএনপি থেকে এসেছেন ৭ জন। সব দল মিলিয়ে ১০ জন সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনাদের দলীয় মনোনয়নের তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ছয়জন। এর জবাবে শাহজাহান বলেন, ছয়জন না। সাতজন আছেন। এরপর তিনি নিজেই দলের প্রার্থী তালিকায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা গুনতে শুরু করেন। ছয়জন গোনার পরে বলেন, তালিকার শেষে আরেকজন আছে। তখন সাংবাদিকেরা আরেকজনের নাম জানতে চান। জবাবে বিএনএমের মহাসচিব বলেন, আরেকজনের নাম আমরা পরে আপনাদের পাঠিয়ে দেব।

দেশের রাজনীতিতে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিএনএম থেকে সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, এমন আলোচনা ছিল। দলটির পক্ষ থেকেও নানা চমকের কথা বলা হয়েছিল। নানা কথা বলে দলের নেতারা আলোচনার জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত সাড়া ফেলার মতো কিছু ঘটাতে পারেনি।


আরও খবর
আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




বিশ্বকাপ ট্রফি পায়ের নিচে রাখায় মার্শের বিরুদ্ধে ভারতে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশের তোপের মুখে পড়েছিলেন মিচেল মার্শ। এবার আইনি জটিলতায় পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পণ্ডিত কেশব দেব নামে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আলিগড় শহরের এক বাসিন্দা।

বিশ্বকাপ ট্রফিতে পা রাখায় ভারতীয় সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে দাবি করে দিল্লি গেট থানায় করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই ট্রফিতে মার্শ পা তুলে থাকার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। ভারত এবং ১৪০ কোটি ভারতবাসীর অপমান করা হয়েছে। তাই সেটা অপরাধের আওতায় পড়ে।

আরও পড়ুন>> ভারতকে স্তব্ধ করে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ শিরোপা

এছাড়াও মার্শকে ভারতে পেশাদার ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে পণ্ডিত কেশব এই অভিযোগের একটি অনুলিপি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও পাঠিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের পর পরই ট্রফিতে পা তুলে মার্শের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায, ট্রফি মেঝেতে রেখে তার ওপর দুই পা তুলে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার।


আরও খবর