ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার চিলাহাটির বুড়ি তিস্তা নদীর বুদুর ঘাটে বাঁশের সাকোঁই একমাত্র ভরসা ছয় গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের। একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির স্বীকর হচ্ছে এই এলাকার মানুষের। বর্ষায় কলার ভেলা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই নদীর দুপারের মানুষের একমাত্র ভরসা।
চিলাহাটির ভোগডাবুরী ও বোদার বড়শষী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি তিস্তা নদীটি। নদীর এপারে সব্দিগঞ্জ, গোসাইগঞ্জ ও আনন্দবাজার ওপারে সর্দ্দারপাড়, জালিয়াপাড়া, ও চিলাপাড়া গ্রামের মানুষের অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাঁশের সাকোঁই ভরসা। অবহেলায় অবাঞ্চিত অবস্থায় পরে থাকতে হয়েছে বছরের পর বছর। নদীর এ পাড়ে রয়েছে শব্দিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ,কারেঙ্গাতলী উচ্চ বিদ্যালয়। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করতে বুদুরঘাচের উপর বাঁশের সাকোঁ দিয়ে জীবণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাকোঁতে প্রতি নিয়ত ঘটে দূর্ঘটনা। জটিল কঠিন রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় সীমাহীন দূর্ভোগ। ইউনিয়ন থেকে সংসদ নির্বাচনের সময় আশ্বাস দেওয়া হয় বুদুরঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই বুক ভরা আশা নিয়ে দুই পারের মানুষ আজো দিন গুনছে।
সব্দিগঞ্জ গ্রামের হবিবর,অমিনুল ও তাইজদ্দনি বলেন, নদীর ওপার থেকে শিশু ছেলে মেয়েরা নড়বড়ে সেতুটি দিয়ে স্কুল কলেজে আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন শত শত মানুল জীবণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকাবাসীর দাবী করে আসছে একটি সেতু নির্মাণে জন্য। পঞ্চাশ বছর অতিবাহিত হলেও কেউ শুনেনী আমাদের কথা। বড়শশী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনজু ইসলাম বলেন, নদীর দুপারের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবী একটি সেতু স্থাপনের। ট্রেন বাস ধরতে সেতু না থাকায় এলাকার মানুসের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে।