আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

চিকিৎসককে হত্যা: সাতক্ষীরার সাবেক ওসি এমদাদসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
সে অনুযায়ী আইন ও শালিস কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেসমিন নাহার রেশমা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অপারগতা প্রকাশ করায় আর মামলা করা হয়নি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার পারকুকরালি এলাকার হোমিও চিকিৎসক মোখলেছুর রহমান জনি সদর থানার লকআপ থেকে নিখোঁজের পাঁচ বছরেও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত মঙ্গলবার তার বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ বাদী হয়ে ছেলেকে অপহরণের পর খুন করে লাশ গুমের অভিযোগ এনে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ, এরপর বদলি হয়ে আসা ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও উপপরিদর্শক (এসআই) হিমেল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

এমদাদুল হক শেখের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর পৌর শহরের নামাজপুর এলাকার। মৃত আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে এবং পিরোজপুর জেলা পরিষদ এর সদস্য সুমন শেখের চাচা। এমদাদুল হক শেখ এর আগে বগুড়া, যশোর, মৌলভীবাজার সদর থানা ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বর্তমানে রাঙামাটি ডিবি পুলিশের ওসি হিসেবে কর্মরত আছে।

মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অসুস্থ বাবার জন্য বাইসাইকেলে ওষুধ কিনতে গিয়ে সাতক্ষীরা শহরের লাবনী সিনেমা হলের সামনের একটি দোকান থেকে সদর থানার এসআই হিমেল শহরের পারকুকরালির মোখলেছুর রহমান জনিকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

এরপর টানা তিন দিন ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট স্ত্রী জেসমিন নাহার রেশমা তার শ্বশুর ও স্বজনদের নিয়ে লকআপে তাকে খাবার দিয়ে এসেছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন এ চিকিৎসক। ওসি এমদাদুল হক শেখ ও এসআই হিমেলের সঙ্গে কথা বললে জনির জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানানো হয়। স্বামীর মুক্তির বিনিময়ে তৎকালীন ওসি ও এসআই জনির স্ত্রী রেশমার কাছে দাবি করেন মোটা অঙ্কের টাকা।

তবে ৮ আগস্ট থানায় গেলে জনিকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জনির অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারেনি। বিষয়টি সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, মানবাধিকার কর্মী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। ওই বছরের ২৪ আগস্ট বিষয়টি জানানো হয় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে (এসপি)। ২৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা তা গ্রহণ করেননি।

উপায় না দেখে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রেশমা। ২১ জানুয়ারি আইন ও শালিস কেন্দ্রের তদন্তকারী টিমের সদস্য অনির্বান সাহা, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাসহ কয়েকজন জনির বাড়িতে আসেন ও পরে থানায় যান। যা পরদিন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

২০১৭ সালের ২ মার্চ হাইকোর্টে রিট পিটিশন (২৮৩৩/১৭) দাখিল করেন রেশমা। মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়। আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ আদালতে উপস্থাপন করা এসপির ব্যাখ্যায় বলা হয়, নিখোঁজ মোখলেছুর রহমান নিষিদ্ধ সংগঠন আল্লাহর দলর সঙ্গে যুক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।

১৯ মার্চ শুনানি শেষে আদালত জনিকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ৯ মে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকা লিগ্যাল সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম জাভিদ হাসানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্য ও পাঁচজন সাধারণ মানুষের জবানবন্দি নিয়ে মোখলেছুর রহমান জনিকে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট আটক করেনি বা তাকে কেউ থানার মধ্যে দেখেনি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাবিবুল্লাহ মাহমুদ হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে থানা লকআপ থেকে ডা. জনির নিখোঁজ হওয়ার সত্যতা উঠে আসে। পরবর্তী সময়ে এক আদেশে ওই বছরের ৩ অক্টোবরের মধ্যে এ সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়।

পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে ডা. জনিকে থানায় এনে আটক রাখার সত্যতা মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে হাইকোর্ট জনি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি নিয়ে তার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য থানা ওসি এমদাদুল হক শেখ, ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও এসআই হিমেল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণ একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যেতে পারে বলে এক আদেশে উল্লেখ করেন।

সে অনুযায়ী আইন ও শালিস কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেসমিন নাহার রেশমা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অপারগতা প্রকাশ করায় আর মামলা করা হয়নি। এর কয়েক মাস পর জেসমিনের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় হাইকোর্টে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে ২৮৩৩/১৭ নং রিট পিটিশনে জনির বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ নিজেকে বাদী শ্রেণিভুক্ত হওয়ার আবেদন করেন।

আদালত তা মঞ্জুর করলে শেখ আব্দুর রাশেদ মামলা করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম ও সাতক্ষীরা আদালতের লিগ্যাল এইডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সালমা আক্তারের শরণাপন্ন হন। এরপরও কোনও আইনজীবী না পাওয়ায় তিনি মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাড. সুলতানা কামালের দ্বারস্থ হন।

এক পর্যায়ে তারই সহায়তায় সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. মোসলেম উদ্দিন ও অ্যাড. মো. ফরহাদ হোসেনের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর এসআই হিমেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বিভাগীয় মামলা (৬/১৮) দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশের কাছে ও ২২ নভেম্বর খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাদের বেগের কাছে জেসমিন নাহার রেশমা, তার শ্বশুর শেখ আব্দুর রাশেদ, শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন সাক্ষী দেন।

একইভাবে ২৮ নভেম্বর মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ ও তিন পুলিশ সদস্যের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। একই ঘটনায় ১৬/২০ ও ১৭/২০ বিভাগীয় মামলা হয় তৎকালীন ওসি এমদাদ শেখ ও ফিরোজ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শকের কার্যালয়ে ও খুলনা নিজ কার্যালয়ে নিখোঁজ জনির বাবা, মা, বোন, চাচা, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, সিপাহী ফসিয়ার রহমান, সিপাহী ইলিয়াস হোসেন, সিপাহী মহিদুল ইসলাম ও এসআই রইচউদ্দিনসহ ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন ও অ্যাড. ফরহাদ হোসেন বলেন, আজ বুধবার আদালত এ মামলার আদেশ দেবেন।


আরও খবর



তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর



বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ইনিংসের তুলনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সিলেট টেস্টের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে হারটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। আজ পঞ্চম দিনে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ১৯২ রানে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ ও ১৫৭/৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ ও ও ৩১৮ রান করেছে।

মূলত শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের পরই টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেননা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে ভালো কিছু কল্পনা করাই কঠিন। সেখানে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রান, যা দুঃস্বপ্ন বটে।

বিশাল এ রান তাড়া করার পথে একটা অতি মানবীয় ইনিংস দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ সেই কাজটি করতে পারেননি। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ যে ৭ ব্যাটার হারিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে তা খুব কার্যকরও ছিল না। কেননা মাত্র ৫০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত ইনিংসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।

তবে মমিনুল হকের এই রান আজ টপকে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটারদের লজ্জা দিয়ে তিনি ৮১ রানে অপরাজিত। তাইজুল ইসলাম তাকে আরো কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ইনিংসে বলার মতো একটা কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাচেছ তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তাইজুল (১৪) আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ (৬) ও খালেদ আহমেদ (২) আউট হয়ে যান। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের লড়াই।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করছেন। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন ৩ উইকেট।


আরও খবর



ঈদে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে ডিএমপির ১৪ পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ফলে আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ঢাকা। এ সুযোগে বিভিন্ন চক্র চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করতে পারে। এছাড়া নিজেদের সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএমপি সদরদপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরামর্শগুলো হলো

১. গ্যাস ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে প্রথমেই ঘরের দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না।

২. বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।

৩. বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন।

৫. রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল করতে হবে।

৬. মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম ব্যবহার করতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকায় উন্নতমানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে।

৭. দেশের বা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না।

৮. যার নাম-ঠিকানা আপনার জানা নেই এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এরূপ ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে।

৯. আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোন কল পেয়ে থাকলে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড বা পিন কোড দেওয়া যাবে না।

১০. ভুল করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে- এমন ফোনকল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।

১১. লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার বা ডলার পাঠানো হবে- এ রূপ ফোনকল পেলে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না।

১২. অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এরূপ প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই।

১৩. ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ইমো আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ না করে টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়।

১৪. সস্তায় হোটেল ভাড়া করা, বিমানের টিকিট কাটা কিংবা কম খরচে ইউরোপ ও কানাডা কিংবা আমেরিকায় পাঠানোর প্রস্তাব কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা অ্যাপসে পাঠালে বিশ্বাস করবেন না।


আরও খবর



বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে : মেয়র তাপস

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ৬৯ নম্বরস্থ বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি যে, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটত এবং কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়ি চালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহ ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতো। কিন্তু সেখান থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্র্যাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো। সেটা এখন নেই বললেই চলে। আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সংস্কার করেছি। এখন আর রাস্তায় উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এভাবেই আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করছি, শৃঙ্খলায় নিয়ে আসছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বৃদ্ধি পাবে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যত্রতত্র বর্জ্য পড়ে থাকত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হলো জায়গার সংকুলান। আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটি নিয়ে চল্লিশতম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিলো। অল্প সময়ের মধ্যে ৪০টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে আমরা আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে। সুতরাং আগে আমরা দেখতাম যে, ১০০ ভাগ বর্জ্য রাস্তার উপরে উপচে পড়ত। নোংরা ময়লা মাড়িয়ে মানুষ মসজিদে যেতে পারত না। সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা ধাপে ধাপে উন্নতি করছি। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করতে পারছি। ইনশাল্লাহ, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বাকি ২০ ভাগও শেষ করতে পারব এবং উপচে পড়া বর্জ্যের জঞ্জাল থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।

এ সময় এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার যে সকল এলাকায় দশ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেসকল এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান করেছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ হতে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারব। আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারব। না, হলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।

পরে ঢাদসিক মেয়র কোনাপাড়া থেকে গলাকাটা সেতু সংলগ্ন খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৯ নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৬৪ নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদর রহমান মোল্লা, ৬৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন সাউদ ও সংরক্ষিত আসনের মাহফুজা আক্তার হিমেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের দিল্লি। আর দূষণমাত্রার দিক থেকে তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

বুধবার ১৯৫ স্কোর নিয়ে তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয় এবং বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর।

বৃহস্পতিবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭০ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা এবং ঢাকার স্কোর হচ্ছে ১৬৯। এর অর্থ দাঁড়ায় এখানকার বায়ুর মানও আজ অস্বাস্থ্যকর।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর