আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ছয় গোলের ম্যাচে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল জার্মানি

প্রকাশিত:রবিবার ২০ জুন ২০21 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ জুন ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল, অন্যদিকে সর্বোচ্চ তিনবারের শিরোপা জয়ী দল জার্মানি। ফলে লড়াই যে হবে উত্তেজনাপূর্ণ, তার আভাস ছিল আগেই। মাঠের খেলায়ও মিলল এর ছাপ। দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে মিলেছে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখার সুযোগ।

যেখানে ছয় গোলের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চলতি ইউরো কাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে জার্মানি। নিজেদের ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হালি তথা চার গোল হজম করে ম্যাচটি ৪-২ গোলে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল।

অথচ আলিয়াঞ্জ এরেনায় হওয়া ম্যাচটিতে বেশি গোল করেছে পর্তুগালের খেলোয়াড়রাই। বিশেষ করে প্রথমার্ধে হওয়া তিন গোলের তিনটিই ছিল তিন পর্তুগিজ খেলোয়াড়ের। কিন্তু এর মধ্যে দুইটিই ছিল আত্মঘাতী। ফলে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয়েছে ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

পরে দ্বিতীয়ার্ধেও হয়েছে সমান তিন গোল। যেখানে দুই গোল করে ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে করে নিয়েছে জার্মানি। ম্যাচে এক গোল ও এক এসিস্ট করে ৪-২ গোলে পরাজয়ের সাক্ষী হতে হয়েছে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। সবমিলিয়ে ম্যাচের ছয় গোলের মধ্যে চারটিই ছিল পর্তুগালের খেলোয়াড়দের।

কিন্তু সেই চার গোলের দুইটি আবার নিজেদের জালেই ঢুকিয়েছেন রুবেন ডিয়াজ ও রাফায়েল গুইরেইরো। যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির দুই খেলোয়াড় গোল করেও, তারা ম্যাচটি জিতেছে ৪-২ গোলের ব্যবধানে। জার্মানির পক্ষে গোল দুইটি করেছেন কাই হাভার্জ ও রবিন গোসেনস।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই প্রথম গোল করে ফেলেছিল জার্মানি। দুর্দান্ত গতিময় আক্রমণে পর্তুগালের রক্ষণকে এলেমেলো করে দিয়ে লাফিয়ে ওঠা ভলিতে বল জালে জড়িয়েছিলেন রবিন গোসেনস। কিন্তু সেই আক্রমণের শুরুতে অফসাইডে ছিলেন সার্জি জিনাব্রি। ফলে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।

মিনিট দশেক পর উল্টো প্রথম বৈধ গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। সেই গোলের আক্রমণের শুরুটা ছিল জার্মানির কর্নার কিক থেকে। টনি ক্রুসের নেয়া কর্নার হেডে ক্লিয়ার করেন রোনালদো। সেখান থেকে বল ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যান বার্নার্দো সিলভা।

তাকে সঙ্গ দিতে সামনে এগিয়ে যান ডিয়োগো জোতা। পরে সুবিধামতো জায়গায় বলটি জোতার উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দেন বার্নার্দো। ততক্ষণে নিজেদের ডি-বক্স থেকে জার্মানির ডি-বক্সে পৌঁছে যান রোনালদো। জোতার এগিয়ে দেয়া বলে পা ছুঁইয়ে দলকে লিড এনে দেন পর্তুগালের অধিনায়ক।

জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ১০৭তম গোল। আর মাত্র দুই গোল হলেই ইরানের আলি দাইয়ের করা ১০৯ গোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন রোনালদো। এছাড়া এই গোলের মাধ্যমে ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলে মিরোস্লাভ ক্লোজার করা ১৯ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সিআরসেভেন।

অবশ্য এই গোলের লিডের আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি পর্তুগাল। একের পর এক আক্রমণে তাদের রক্ষণভাগের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিল জার্মানি। যার সুফল তারা পায় ৩৫ মিনিটে গিয়ে। জশুয়া কিমিচের দেয়া ক্রসে ভলি করেন গোসেনস। সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দেন রুবেন ডিয়াজ।

পর্তুগালের হতাশা আরও বাড়ে চার মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় আত্মঘাতী গোল হজম করার মাধ্যমে। এবার প্রতিপক্ষের হয়ে স্কোর করেন গুইরেইরো। ডি-বক্সের মাঝামাঝি থাকা জিনাব্রির উদ্দেশ্যে ক্রস দিয়েছিলেন থমাস মুলার। কিন্তু মাঝপথে সেটি ফেরাতে গিয়ে উল্টো আত্মঘাতী গোলই করে বসেন গুইরেইরো।

যার ফলে নিজেরা কোনো গোল না করেও প্রথমার্ধে ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় জার্মানি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আর অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ৫১ মিনিটের মাথায় মুলারের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পাশ দিয়ে নিচু ক্রস বাড়ান গোসেনস। ছয় গজের বক্সে অপেক্ষায় থাকা হাভার্জ স্কোরলাইন করেন ৩-১।

চতুর্থ গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি জার্মানদের। সাজানো গোছানো আক্রমণে ম্যাচের ৬০ মিনিটের সময় হালিপূরণ করে তারা। এবার জশুয়া কিমিচের ক্রসে লাফিয়ে ওঠা হেডারে স্কোরশিটে নাম তোলেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা রবিন গোসেনস।

চার গোল দিয়ে দেয়ার পর ১৩ মিনিটের মধ্যে চারজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো। যার প্রভাব পড়ে জার্মানির মাঠের খেলায়ও। শুরুর গতিময় আক্রমণ আর শেষদিকে দেখা যায়নি। উল্টো ৬৭ মিনিটের সময় দ্বিতীয় গোল হজম করে তারা। রোনালদোর এসিস্ট থেকে পর্তুগালের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিয়োগো জোতা।

বাকি সময়ে ব্যবধান কমানোর প্রাণপন চেষ্টা করেছে ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি। ফলে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় দিয়ে যাত্রা শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ৪-২ গোলের ধাক্কা খেতে হলো তাদের। এবার শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে পয়েন্ট পেতেই হবে পর্তুগালকে।

চলতি ইউরো কাপের ডেথ গ্রুপ 'এফ' এর সবার দুই ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে ফ্রান্স। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়া জার্মানি ৩ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে দুইয়ে। তিন নম্বরে অবস্থান করছে পর্তুগাল আর ফ্রান্স রুখে দিয়ে ১ পয়েন্ট পাওয়া হাঙ্গেরির অবস্থান সবার শেষে।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা, যাত্রীদের পিটুনিতে চালক-হেলপারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যাত্রীদের পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (ডিইপিজেড) এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইতিহাস পরিবহনের বাস চালক সোহেল রানা বাবু (২৬) ও হেলপার হৃদয় (৩০)। বাস চালক সোহেল মিরপুরের ফুরকান হোসেনের ছেলে। অপরদিকে হেলপার হৃদয় ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রাগামী ইতিহাস পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সাথে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুদুর রহমান ঢাকা ঘটনার সত্যতা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে যাত্রীদের সাথে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান কোনটি তা জানার আগে প্রথমে বুঝে নিতে হবে, অপরিষ্কার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে? আমাদের শরীরের এমন জায়গা আছে যেখানে অনেক জীবাণু জমে থাকে। অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় সেই অঙ্গে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে থাকে, আর একারণেই সেই স্থানকে সবচেয়ে অপরিষ্কার বলা হয়। এর মানে এই নয় যে সেই স্থান পরিষ্কার করা হয় না। কিন্তু তারপরও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকার কারণে সেটিই শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার স্থান বলে মনে করা হয়।

অনেকের কাছেই মনে হতে পারে শরীরের সবচেয়ে নোংরা স্থান হলো আমাদের পা। এর কারণ হিসেবে বলতে পারেন সারাদিনে পায়েই সবচেয়ে বেশি ধুলোময়লা জমে। কেউ হয়তো বলতে পারেন, মূত্রনালীর মুখ হলো শরীরের সবচেয়ে অপরিষ্কার জায়গা। কেউ বলতে পারেন পায়ুদ্বারের কথা। কিন্তু এসব স্থান নয়, ব্যাকটেরিয়ার হিসাব করা হলে এর থেকেও অপরিষ্কার স্থান শরীরে রয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অংশে অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় বেশি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। আর সেই স্থানটি হলো আমাদের নাভি। নাভিকেই শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান বলা হয়ে থাকে। এখানে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে তাই নিয়মিত নাভির যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

শরীরের সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন স্থান হওয়ায় নাভি নিয়মিত ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। শরীর থেকে কিংবা পোশাক থেকে নাভিতে ময়লা জমতে থাকে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সংক্রমণও। নাভি মূলত মানব শরীরের একটি ক্ষতস্থান। শিশুর জন্ম হলে মায়ের শরীর থেকে তাকে আলাদা করার জন্যই এই ক্ষতের সৃষ্টি হয়। শিশু গর্ভে থাকার সময় এই নাভির মাধ্যমেই পুষ্টি পেয়ে থাকে।

নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করা হলে বের হতে পারে দুর্গন্ধ। যে কারণে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে নাভি পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। সেটি হলো, নাভিতে যখন তখন হাত দেওয়া উচিত নয়। কখনো হাত দেওয়া হলে সেই হাত না ধুয়ে কোনোকিছু খাওয়া কিংবা ধরা উচিত নয়। আবার নাভিতেও অপরিষ্কার হাত দেওয়া উচিত নয়।


আরও খবর



সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) নাসিরনগর গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের পাশে আহাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির ভবনে কাজ করতেন ওই শ্রমিকরা। সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকে নামেন ওই তিন জন। পরে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের সমর্থনে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের পতাকা উত্তোলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশনায় খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজ ক্যাম্পাসে পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করেছে।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করে তারা। পতাকা উত্তোলন শেষে একটি র‍্যালিও বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খান সাহেব কোমর উদ্দীন মডেল কলেজের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী,  কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী ও কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কয়রা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক ওয়ালী উল্লাহ আল বেলাল (বিল্লু) ও আমাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক শেখ মো. আবু তালহা সবুজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের নিয়ে  কর্মসূচি পালন করা হয়।

র‍্যালি শেষে ছাত্রলীগ নেতা ওয়ালী উল্লাহ আল বেলাল (বিল্লু) বলেন, ফিলিস্তিনদের ওপর যে বর্বর হামলা করছে ইসরায়েল তা বন্ধ করতে হবে। আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্বে শান্তি চাই। ফিলিস্তিনিদের ওপর এই রকম হত্যাযজ্ঞ অমানবিক অপরাধ।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪