
ছুরিকাঘাতে হৃদপিণ্ড
ফুটো হয়ে গিয়েছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
বুলবুল আহমেদের। বুলবুলের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক
বিভাগের প্রধান শামসুল ইসলাম এমনটি জানিয়েছেন।
গত সোমবার সন্ধ্যায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজিকালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে আহত হন বুলবুল আহমেদ। হাসপাতালে নেওয়ার
পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বুলবুলের
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বুধবার তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন
চিকিৎসকরা।
বুধবার দুপুরে
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামসুল ইসলাম বলেন, বুলবুলের
শরীরে ছুরির চারটি আঘাত ছিল। এরমধ্যে পেট, বুক ও উরুর আঘাত গুরুতর। বুকে ছুরিকাঘাতের
ফলে তার হার্ট ফুটো হয়ে যায়। এ ছাড়া হাতে আরেকটি আঘাত থাকলেও তা গুরুতর নয়। চিকিৎসক
শামসুল ইসলাম আরও বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই বুলবুলের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই)
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাজিকালুর টিলার পাশে ছুরিকাঘাতে খুন
হন ২২ বছর বয়সী শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের
তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে যখন ছুরিকাঘাত করা হয় তখন তার সঙ্গে এক ছাত্রীও ছিলেন।
বুলবুল আহমদ খুনের
ঘটনায় ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ
থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আর তদন্ত কমিটি
করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সংবাদ
সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই বুলবুলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক
তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তাদের মধ্যে কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুলবুলের মোবাইল
ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। আর বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দেন আবুল হোসেন। হামলাকারীদের আজ বিকেলে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।