উইকিপিডিয়া বলছে ৪১ ছুঁয়েছেন স্বস্তিকা
মুখোপাধ্যায়। বয়স নিয়ে অবশ্য কোনও দিনই তার মাথা ব্যাথা নেই। বরাবরাই ছকভাঙা স্বস্তিকা
মুখোপাধ্যায়। নিজের অভিনয় গুণে টালিউড থেকে বলিউড দুই জায়গায়ই সফল তিনি।
১৯৮০ সালে কলকাতায় জন্ম নেন স্বস্তিকা।
কারমেল স্কুলে পড়াশোনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন এই অভিনেত্রী।
‘দেবদাসী’ সিরিয়ালে অভিনয়
দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন স্বস্তিকা। ‘হেমন্তের পাখি’ ছিল স্বস্তিকার
প্রথম সিনেমা।
প্রয়াত অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায় ও গোপা
মুখোপাধ্যায়ের কন্যা স্বস্তিকা। মা-বাবা মারা যাওয়ার পর বোন অযপা মুখোপাধ্যায় ও মেয়ে
অন্বেষাকে নিয়েই সংসার স্বস্তিকার।
স্বস্তিকা ও তার মেয়ে অন্বেষার সম্পর্ক,
সেরা মা-মেয়ে জুটি বলেই পরিচিত টালিপাড়ায়। ২১ বছরের অন্বেষা ও ৪১ এর স্বস্তিকার বয়সের
পার্থক্য থাকলেও তারাই একে অপরের শ্রষ্ঠ বন্ধু।
স্বস্তিকা টালিউডে নিজের মাটি শক্ত করার পর যান বলিউডে। সেখানেও বহু অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এই অভিনেত্রী যেমন মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমা করেছেন তেমনি যত দিন গিয়েছে তিনি ঝুঁকেছেন প্যারালাল সিনেমার দিকে।
এদিকে টালিপাড়ায় স্বস্তিকার প্রেমে পড়ার
খবরও ছিলো সবসময় শিরোনামে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুমন
মুখোপাধ্যায়সহ অনেকের সঙ্গে স্বস্তিকার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায় টলিপাড়ায়। সম্প্রতি
অভিনেতা মীরের সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী
প্রমিত সেনের সঙ্গে বিয়ে হলে দুই বছর সংসার করেন তারা। তারমধ্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে
বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন স্বস্তিকা। তারপর থেকে একাকি জীবনে এই অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা বরাবরই ছক ভাঙ্গা। বার বার বির্তকে
জড়িয়েছেন, তবে তার এই ড্যাম কেয়ার চলাফেরাই ঝড় তুলেছে ভক্ত হৃদয়ে।