আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

'ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা-সন্ত্রাস বের হয়' বলেই ভাইরাল চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ছাত্রলীগত্তুন জেন্ গুন্ডা অক্কল বেরয়, সন্ত্রাস-অক্কল বেরয়, গত্তে গত্তে গত্তে গত্তে ছাত্রলীগ ক্যান গরি গরন্ পরিবো ইয়ান আঁরা জানি (ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা বের হয়, সন্ত্রাস বের হয়, করতে করতে করতে করতে ছাত্রলীগ কিভাবে করতে হয় সেটা আমরা জানি) এসব মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ।

তিনি বলেন, হাজার হাজার সংগঠক আমি তৈরি করছি এখান থেকে। আমাকে শিখাতে হবেনা কিভাবে কি করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন সবুজ। ওই সংঘর্ষের সময় সুভাষ মল্লিক সবুজের সমর্থকরা কলেজের সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কয়েকজন ছাত্রীও গণমাধ্যমের কাছে তাদের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছেন।

কাউন্সিলর টিনুর ইন্ধনেই 'নরকপুরী' চট্টগ্রাম কলেজ পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাম্মৎ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাঙচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

কিছুদিন পরপরই পত্রিকার পাতায় চট্টগ্রাম কলেজকে ছাত্রলীগ দ্বন্দের বিষয়টা শিরোনাম হয়। তবে সেটি কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের কর্মকান্ডই দায়ী।

গত এক বছরেই কয়েকদফা সংঘর্ষে জড়ায় চট্টগ্রাম কলেজে বিবাদমান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের গ্রুপটি হলো শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে চট্টগ্রাম কলেজে এসব সংঘর্ষের পিছনে যতনা ছাত্রলীগের কর্মীরা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী স্থানীয় কাউন্সিলর টিনুর প্রভাব বিস্তার করা। এমনটাই জানান কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা।

সাধারন শিক্ষার্থীরা জানায়, চট্টগ্রাম কলেজ ও চকবাজার কেন্দ্রীক সব ধরনের মারামারিতে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন থাকে বির্তকিত টিনুর। মারামারির সময় নিজের অনুসারীদের বহিরাগত ছেলে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়েও সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে টিনু গ্রুপের বিরুদ্ধে। এমনকি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে থানাতেও প্রভাব বিস্তার করেন টিনু। টিনুর প্ররোচনায় মারামারির পরবর্তী ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কেউ মামলা করতে গেলেও নেওয়া হয়না মামলা।

এমনকি টিনুকেও স্বশরীরে  চট্টগ্রাম কলেজে গিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের ইটপাটকেল ছোঁড়ার ছবিও দেখা যায় ইন্টারনেটে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কলেজে তুচ্ছ ঘচনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা।

এসময় সাধারন সম্পাদক সবুজ মুঠোফোনে টিনুকে ফোন করে ছেলে পাঠানোর অনুরোধ করেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন- ' যখন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লাগে, তখন আমরা কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি,তখন সবুজ দা আমার পাশে দাড়িয়ে কাকে যেন ফোন করে বলছেন ' বদ্দা ঝামেলা অইয়ে, তাড়াতাড়ি পোয়া পাঠন, জিনিস পাঠন' ( বড়ভাই, ঝামেলা হয়েছে,তাড়াতাড়ি ছেলে পাঠান, জিনিস পাঠান) উল্লেখ্য যে, টিনুকে সবাই বদ্দা বলেই সম্ভোধন করেন।

আর সবুজের ফোনের পরবর্তী সময়ে কলেজের হোষ্টেল গেইটের পশ্চিম গেইটে একটি কারে করে এসে সবুজের হাতে একটি সাদা ব্যাগ ও দিতে দেখা যায় বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

টিনুর সাথে দেখা করার পর মাহমুদের সমর্থকদের উপর চড়াও হতে দেখা যায় সবুজের অনুসারীদের। এসময় মাহমুদের ৬ কর্মীকেও বেধরক মারধরের অভিযোগ রয়েছে সবুজের বিরুদ্ধে। এমনকি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রীকেও মেরে আহত করার ঘটনা ঘটায় সবুজের অনুসারীরা।

কলেজ শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ২২ তারিখ থেকে আমাদের প্যাট্রিক্যাল পরীক্ষা, প্যাট্রিক্যাল ক্লাসের বিষয়ে কথা বলতেছি,তখন ওনা হাতে রড-টড নিয়ে এসে আমার ফ্রেন্ডকে মারা শুরু করে দিয়েছে। আমি ওদের পায়ে পড়ে বলতেছি মারিয়েন না মারিয়েন না, আমার ফ্রেন্ডকে মারিয়েন না। আমাদের কয়েকদিন পর পরীক্ষা,আমাদের মারিয়েন না, আমরা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবুও ওকে মারছে,সবুজের ছেলেরা।

তবে ছাত্রলীগ থেকে গুন্ডা বের হয়,সন্ত্রাসী বের হয় বলে মন্তব্য করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ।

এসময় তিনি কিভাবে ছাত্রলীগ করতে হয় সেটাও তার জানা আছে বলে মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন সবুজ।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমকে উদ্দেশ্যে করে সবুজ বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, হেডাম থাকলে সামনা সামনি দাড়াতে বলবেন।

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি মাহমুদুল করিম যদি সামনা সামনি দাড়িয়ে ফাইট করতে পারে তবে আমি রাজনীতিতে জুতার মালা পড়ে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যাব। জুতার মালা পড়েই যাবো।

সবুজের এমন আক্রমান্তক কথাবার্তায় যে ফের কলেজটিতে সংঘর্ষ হতে চলেছে তার  আভাস অনেকটাই বুঝা যাচ্ছে দুই গ্রুপের কর্মীদের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসেও।

কলেজটির ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারীরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে  স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। এতে সরাসরি লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়।

নিজেদের গ্রুপে কর্মী সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষ থেকে অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাঃ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাংচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

তবে এই ঘটনায় এখনো থানায় কোন পক্ষই মামলা করেনি বলে জানা যায়।


আরও খবর



৫ বছরে সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তত ২৩ ধরনের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০২৩ এর আলোকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা বা সংযোজন করা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে। তবে কোন সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-২০২৩ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এরমধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাংক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), তুরস্কের মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লাঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ওয়েপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়ায় ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লাঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কনট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আর্মাড রিকভারি ভেহিক্যাল (এআরভি) ফর ট্যাংক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।

নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে আট ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এরমধ্যে আছে- খুলনা শিপ ইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ও সরঞ্জামাদি, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাঙ্ক (এলসিটি), কানাডার ভি-স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম এবং সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চার ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এরমধ্যে আছে- যুক্তরাজ্যের এমকে-৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮-২০২৩ সময়কালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী ও অর্জনগুলো সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়া, রাজস্ব বাজেটের আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পূর্ত কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের স্থিরচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন, মো. মহিববুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান বৈঠকে অংশ নেন।


আরও খবর



তেজগাঁওয়ে প্রাইভেটকার থামিয়ে গুলি, আহত ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বিজি প্রেস এলাকায় গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মামুন নামে একজনকে আহত করা হয়েছে। এ সময় ভুবন চন্দ্র শীল (৫৫) ও আরিফুল হক ইমন (৩০) নামে আরও দুই পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে মগবাজার এলাকার প্রেয়সী বার থেকে বের হয়ে মামুন (৫৪), খোকন (৩৭) ও মিঠু (৫২) নামে তিন ব্যাক্তি প্রাইভেটকারে করে মামুনের তল্লাবাগের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি প্রধান সড়কে পৌঁছালে চারটি মোটরসাইকেলে করে সাত থেকে আটজন সন্ত্রাসী প্রাইভেটকার থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এতে মামুনসহ অন্যরা তাৎক্ষণিক প্রাইভেটকার থেকে নেমে পড়লে মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিরা মামুনের পিঠে ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন।

ওসি জানান, মামুন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শমসেরাবাদ গ্রামের এস এম ইকবালের ছেলে। মামুন প্রায় ২৬ বছর জেল খেটে কয়েক মাস আগে জামিনে বেরিয়েছেন। তাঁর দুই সহযোগীকে নিয়ে প্রাইভেট কারে যাওয়ার সময় অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপ তাঁদের ওপর হামলা করে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা করেনি কোনো পক্ষ, তবে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ দুই পথচারীর মধ্যে ভুবন চন্দ্র শীলের মাথার পেছনে গুলি লেগেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন>> বিএনপির পর এবার নতুন কর্মসূচি দিলো আওয়ামী লীগ

আহত ভুবন চন্দ্র শীলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী জয়শ্রী রানী জানান, ভুবনের বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলায়। বর্তমানে মতিঝিলের আরামবাগে একটি মেসে থাকেন তিনি। তাঁর পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকেন। রাতে পুলিশের মাধ্যমে তাঁরা খবর পান, ভুবন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে ভুবনকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাঁকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

ভুবনকে উদ্ধারকারী মোটরসাইকেল চালক শামীম বলেন, আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে শেওড়া থেকে ভাড়ায় আরামবাগ ক্লাবের দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল বিজি প্রেসের বিপরীত দিকের সড়কে হঠাৎ দুটি বিকট শব্দ হয়, এরপর দেখি আমার মোটরসাইকেলে থাকা ভুবন হেলে পড়েছেন। মাথা ধরে সোজা করে দেখি রক্ত ঝাড়ছে। পরে দেখতে পাই তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন। সেখান থেকে তাকে অন্য একটি গাড়িতে করে দ্রুত সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাহিদুল ইসলাম সহ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং আহতের মোবাইলের মাধ্যমে তার লোকজনকে সংবাদ দেওয়া হয়। পরে জানা যায়, তিনি একজন আইনজীবী, গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেডের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার। 

আরও পড়ুন>> ভারতীয় কূটনীতিককে কানাডা ছাড়ার নির্দেশ

এদিকে ঘটনার পর থেকে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের কয়েকটি ইউনিট বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশপাশের সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তবে মোটরসাইকেল আসা কোনো গাড়ির নম্বর বোঝা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।


আরও খবর
ঢাকা ওয়াসার যৌথ ওয়ার্কশপ সম্পন্ন

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকার বায়ু আজ সহনীয়

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি সপ্তাহে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এমনটি জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৯০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে।

তালতলা বাজারে মুরগি বিক্রেতা রশিদ মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পাইকারি বাজারে দাম কমায় আমরাও দাম কমিয়ে বিক্রি করছি। 

তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। এ ছাড়া সোনালি মুরগিরও দাম কমেছে। সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়। আর গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

শুক্রবার এসব বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

কলার হালি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধনে পাতা ৪০০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি দাম কিছুটা কমেছে। এসব বাজারে ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি-টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি চাষের মাছ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



বগুড়ায় বিনামূল্যে দেওয়া হবে ৫৭ হাজার পিপিআর ভ্যাকসিন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়া পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

দেশব্যাপী ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলার সদর উপজেলার ১নং ফাপোর ইউনিয়নের  ফাপোর মধ্যপাড়া গ্রামে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ছাগল ও ভেড়ার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মো: মোশাররফ হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাপোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: আব্দুস সামাদ, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রণব কুমার, ভি এফ এ লিটন ঘোষ, সি ই এ আল আমিন আকন্দ, এল এস পি সাজেদুল ইসলাম।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৯ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত মোট ১১ টি বিশেষ টিমের মাধ্যমে উপজেলার সব এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫৭ হাজার ছাগল ও ভেড়াকে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া

আরও খবর



কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় টানা ৬দিন ধরে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে করে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার সহ সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। জেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল সহ কিছু কাঁচা পাকা সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত বর্ষণে বিপাকে পরেছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক সহ খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। এসব শ্রেণি পেশার অনেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পলিথিন মুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহে বেরিয়েছেন। আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাথায় পলিথিন মুড়িয়ে সকালেই ঘর থেকে বেরিয়েছেন চর কুড়িগ্রামের রিকশা চালক আইনুল মিয়া (৫৮)। দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের পুরাতন থানা পাড়া এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালাতে দেখা যায় তাঁকে।


এসময় কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারনে কয়েকদিন থেকে ঠিকমতো রিকশা চালাতে পারছিনা। আজ সকালে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টি তো থামছেই না। বৃষ্টির কারনে রাস্তায় যাত্রীও মিলছে না। কিন্তু আয় না হলে পরিবারকে খাওয়াবো কী? কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো কিভাবে?

একই পরিস্থিতি জেলা সদরের যাত্রাপুরের ঘোড়ার গাড়ি চালক আকবর মোল্লার। আকবর মোল্লা বলেন, বৃষ্টির কারনে আয়-রোজগার প্রায় বন্ধের পথে। শহরে এসে কোথাও ভাড়া মিলছে না। তার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেশী হওয়ায় ঘোড়ার খাবার ও পরিবারের খাবারের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

এদিকে টানা বর্ষনে নদ-নদী সহ নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। ফলে চর ও দ্বীপ চরের মানুষজনের দুর্ভোগও বেড়েছে।

জেলা সদরের ডাকবাংলার চরের গৃহবধূ সাহিদা (৪৫) বলেন, টানা বৃষ্টির কারনে ধরলা নদীসহ ধরলার শাখা নদী গুলোর পানি বাড়ছে। এতে করে নৌকা সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুরা নৌকা যোগে ঝুকি নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় দুঃশ্চিন্তায় পরতে হচ্ছে।


তবে আজ রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগামী আরও দুই অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।

এ কর্মকর্তা বলেন, জেলার উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় টানা ৬দিন ধরে বৃষ্টিপাত চলমান রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা থেকে আজ বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগামী আরও দুই দিন অব্যাহত থাকার পর বৃষ্টিপাতের মাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর