আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ছারপোকার ওষুধে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় বিষপানে রাহিমা (২২) ও ফজিলা (১৯) নামে দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তারা দুইজনই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মটবাড়িয়া থানায়।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম বলেন, আমরা চমেক হাসপাতাল থেকে বিষপানে মারা যাওয়া দুই বোনের লাশ পেয়েছি। এরপর তদন্ত করে বলতে পারবো, কোন রহস্য আছে কি না।

তাদের বোন নাজমা আক্তার দাবি করেন, ঘরে বুধবার ছারপোকার ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। এসব ওষুধে বিষক্রিয়া হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।

ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, ছারপোকার ওষুধে বিষক্রিয়া হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন। তবে কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

প্রতিবেশী মেহেদী হাসান দাবি করেন, ঘরে ছারপোকা মারার জন্য দেওয়া বিষে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। নিহত দুই বোন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এরমধ্যে রহিমা আক্তার বিবাহিত। তার স্বামী মো. মনির সৌদি প্রবাসী। তার পাঁচ বছরের একটি বাচ্চা রয়েছে। ফজিলা আক্তার অবিবাহিত। তিনিও পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।


আরও খবর



মুম্বাইয়ে নয় জনের সঙ্গে একঘরে রাত কাটিয়েছেন নোরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিগ বস-এ তার উপস্থিতির মাধ্যমে রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নোরা ফাতেহি। এরপর একের পর এক ছবি, মিউজিক ভিডিওর হাত ধরে এখন বিশ্বব্যাপী এক ঘরোয়া নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রের জন্য সকলের মন জয় করেছেন নোরা। কিন্তু, একটা সময় বলিউডে পা রেখেই নোরা বুঝেছিলেন সফরটা এতোটা সহজ নয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে, নোরা তার স্বপ্নের শহর মুম্বাইতে এসে কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরোক্কান নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহিকে মুম্বাই শহরে এসে ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, প্রথম যখন এখানে এসেছিলেন নয় জনের সঙ্গে একটি ঘর শেয়ার করে থাকতেন। নোরা এই রুমমেটদের সাইকোপ্যাথ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, আমি তিন বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্টে নয়জন সাইকোপ্যাথের সাথে থাকতাম যেখানে আমি অন্য দুই মেয়ের সাথে ঘরটি ভাগ করে নিতাম। সেখানে থাকাকালীন আমি ভাবতাম, আমি কীসের মধ্যে পড়েছি? আমি এখনও সেই ট্রমার মধ্যে আছি।

সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু অডিশনের সময় ভয়ানক অবস্থা হতো আমার। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতাম না। নিজেকে খুব বোকা বলে মনে হত। কিন্তু কিছু মানুষ তো ক্ষমা করেন না। সামনাসামনি হাসাহাসি করতেন তারা। বলতেন, আমি সার্কাস থেকে এসেছি। খুব অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে আমার। বাড়ি ফেরার সময় কাঁদতাম।

এছাড়া নোরা এজেন্সিগুলির হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যে শোষণের সম্মুখীন হয়, তাও তুলে ধরেছিলেন। তাকে সামান্য বেতন দিত সেই এজেন্সি। সেই সময়ে ডিম-পাউরুটি খেয়ে বেঁচে ছিলেন বলে জানান নোরা।

বিগ বস ৯ সিজনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নোরা। সে সময় প্রিন্স নারুলার সঙ্গে তার রোম্যান্টিক লিঙ্ক আপ আলোচিত হয়েছিল। বিগ বসের বাড়িতে তাদের প্রেম শিরোনাম তৈরি করতো।

বিগ বসের পর তাকে দেখা যায় ব্লকবাস্টার বাহুবলী ছবির একটি নাচের দৃশ্যে। ক্যারিয়ার শুরু হয় সেই থেকে। ঠিক মতো হিন্দি বলতে পারতেন না অভিনেত্রী। অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন নোরা। ধীরে ধীরে বলিউডের অন্দরমহলে নিজের জায়গা করেছেন তিনি।


আরও খবর
এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




এখন সময় এসেছে নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার : বিদ্যা বালান

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। ২০২২ সালে অভিনেতা রণবীর সিং যখন নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন তখন একমাত্র নায়িকা হিসেবে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

সময় গড়িয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও থেমেছে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবারও রণবীর প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিদ্যা। যেখানে অভিনেতাদের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে অকপটেই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

বিদ্যা বালান বলেন, এখনো একই কথা বলব। আপনি যেকোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, প্লেবয় বা ডেবোনেয়র-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো যারা, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ থাকতে পারে, ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই যা বলেছিলাম, এখনো তাই বলছি। আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনো হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিদ্যা বালানের অভিমত কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিদ্যার পরবর্তী সিনেমা দো আউর দো পেয়ার। যেখানে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানো হয়নি। এর বাইরের বিষয়ও আছে। আমরা নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

নিউজ ট্যাগ: বিদ্যা বালান

আরও খবর
এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর
এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এবং তেতৈতলা হাস পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকামুখী লেনে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুমিল্লামুখী লেনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জের অংশেও যানজট রয়েছে।

ফেনীগামী প্রাইভেটকারচালক বলেন, কাঁচপুর থেকেই জ্যামে পড়ি আমরা। কাঁচপুর থেকে গজারিয়ার ভবেরচরে আসতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। রাস্তায় কোথাও এক্সিডেন্ট হয়েছে বা গাড়ি নষ্ট হয়েছে এ রকম কিছু দেখলাম না, কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন।

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যানজট নয়; তবে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়েছিল তা আমরা সরিয়ে দিয়েছি। মূলত ঈদযাত্রা শুরু হওয়ায় যানবাহনের অত্যাধিক চাপই ধীরগতির কারণ। পাশাপাশি কুমিল্লার দাউদকান্দির বলদাখাল এলাকায় মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে, সে জন্যও গাড়ি চলাচলের সময় লাগছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪