আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

চীনের স্বর্ণ খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাঁচার আকুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
খনিতে বিস্ফোরণের পর খনির প্রবেশপথ থেকে প্রায় ৬০০ মিটার ভেতরে আটকে পড়া ১২ শ্রমিক এখনও জীবিত আছেন, তারা বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন

চীনের স্বর্ণ খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পর তাদের কাছথেকে পাওয়া এক চিরকুট থেকে জানাগেছে তাদের মধ্যে এখনও ১২ জন শ্রমিক জীবিত আছে।

ওই চিরকুটে তারা লিখেছেন, আমরা জীবিত আমাদেরকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা বন্ধ করবেন না।

চীনের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, খনিতে বিস্ফোরণের পর খনির প্রবেশপথ থেকে প্রায় ৬০০ মিটার ভেতরে আটকে পড়া ১২ শ্রমিক এখনও জীবিত আছেন, তারা বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন।

গত ১০ জানুয়ারি চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানদুং প্রদেশের হুশান স্বর্ণের খনিতে বিস্ফোরণের পর মোট ২২ খনি শ্রমিক নিখোঁজ হন। যাদের কাছ থেকে বার্তা পাওয়া গেছে তারা নিজেদের সংখ্যা ১২ জন বলে জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয় তার অর্থ হচ্ছে বাকি ১০ জনের সন্ধান তারাও জানে না অথবা তারা মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা একটি সরু পাইপের সাহায্যে শ্রমিকদের এই দলটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা প্রথমে পাইপের ভেতরে রশি পাঠানোর পর অনুভব করেন ভেতর থেকে এটি ধরে টানা হচ্ছে। এরপর তারা একই পথে খাবার, ওষুধ, কাগজ ও পেন্সিল ভেতরে পাঠান। ওই কাগজে শ্রমিকরা তাদের অবস্থানের কথা লিখে জানিয়েছেন। তারা আরও বেশি ওষুধ বিশেষ করে ব্যথা ও প্রদাহনাশক ওষুধ এবং ব্যান্ডেজ পাঠানোর আবেদন করেছেন। তারা আরও বলেছেন, তারা যেখানে অবস্থান করছেন সেখানকার পানির উচ্চতা অনেক বেশি।

নিউজ ট্যাগ: স্বর্ণ খনি চীন

আরও খবর



ইসরাইলের সঙ্গে সকল বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবিক ট্র্যাজেডি আরও খারাপ’ উল্লেখ করে এ ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য প্রবাহের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে বলা হয়েছে।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্ক ইসরায়েল থেকে সব রপ্তানি এবং আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

২০২৩ সালেও দেশ দুইটির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরায়েলি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



ডিজির অনুপস্থিতিতে এডিজি সাত দিনে হাতিয়ে নিলেন সাড়ে ৭ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অসুস্থতার কারণে গত বছরের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। সেই ৯ দিন অধিদপ্তরের শীর্ষপদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। এর মধ্যে অবশ্য দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করেন সাত দিন। আর এটুকু সময়েই আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বকালে এক দিনেই ছাড় করেন মাল্টিপল পাসপোর্টের ৫০০ ফাইল। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রতিটি ফাইল অনুমোদনের জন্য নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। সব মিলিয়ে এই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) সরাসরি কর্মকর্তা সেলিনা বানু পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা এডিজির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসন বিভাগের এডিজির পদটি শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই বিভাগের এডিজির দায়িত্বও পালন করছেন। পুরো অধিদপ্তরে তার ওপরে শুধু প্রেষণে আসা মহাপরিচালক রয়েছেন। অধিদপ্তরে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তার কথাতেই চলে সবকিছু। অনিয়ম-দুর্নীতিতে এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের নির্দেশনাও অমান্য করে নিজের মতো ডিআইপির কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পেয়েই দীর্ঘদিন আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের ফাইলগুলো ছাড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। অধিদপ্তরে তার সিন্ডিকেটে থাকা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ফাইলগুলো অনুমোদন দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করতে পাঠানো হয়। প্রতি পাসপোর্ট থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়ে তা সিন্ডিকেটে ভাগবাটোয়ারা হয়। কথিত আছে, ওই সময়ে পাসপোর্ট ভবনের তলায় তলায় কোরবানি ঈদ’ চলেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত হলেও বিষয়টি রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন।

এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্টকে মাল্টিপল পাসপোর্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকেই বিদ্যমান পাসপোর্টের তথ্য গোপন রেখে নতুন করে পাসপোর্টের আবেদন করেন। তবে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মেলানোর সময় তা আটকে যায়। আবার অনেকে প্রকাশ্যেই তথ্য পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন। তখন কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের অন্তত ১২ হাজার আবেদন তদন্তের জন্য জমা পড়ে আছে। এসব আবেদন যাচাই করে পুলিশের বিশেষ শাখার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে আবেদনকারীর বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও রয়েছে; কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এডিজি সেলিনা বানু অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিপত্র জারি করে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এরপর নিজের ক্ষমতাবলে টাকার বিনিময়ে পছন্দমতো ফাইল ছাড় করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের হাজার হাজার ফাইলের মধ্যে ৫০০ ফাইল অনুমোদন দেওয়া নিয়ে খোদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেলিনা বানু প্রভাবশালী কর্মকর্তা হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। অধিদপ্তরের সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুললেই তার রোষানলে পড়তে হয়। পরে টার্গেট করে কর্মকর্তাদের বদলি বা ন্যূনতম কারণেও বিভাগীয় মামলা ও বদলির মতো হয়রানিতে পড়তে হয়।

অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সেলিনা বানু পাসপোর্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। বদলিজনিত চাকরি হলেও তিনি ঢাকার বাইরে খুব বেশি দায়িত্ব পালন করেননি। এ সুযোগে তিনি একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাছাড়া দেশের প্রায় প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে তার নিজস্ব বলয়ের কর্মকর্তা বা কর্মচারী রয়েছেন। বিদেশি মিশনগুলোর কয়েকটিতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরেও কর্মী রয়েছে। সেলিনা বানু অধিদপ্তরের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ায় সবাই তাকে অতি সমীহ’ করে চলেন। বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিস থেকে তার অনুগতরা মাল্টিপল আবেদনগুলো বাছাই করে দিয়েছেন। সেগুলোই মূলত তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে ছাড় করিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

ওই সূত্রটি জানায়, প্রতিটি মাল্টিপল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সেলিনা বানু ও অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট নিয়েছে দেড় লাখ টাকা করে। তবে দালাল চক্র ও অন্যান্য জেলা অফিসে তার অনুগত কর্মীরা আবেদনকারীদের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা করে নেন। বছরজুড়েই সেলিনা বানু টাকার বিনিময়ে এ ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকেন। তবে ডিজির অনুপস্থিতিতে একসঙ্গে ৫০০ আবেদন অনুমোদন করায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাল্টিপল আবেদনের সবকিছু ঠিক থাকলেও একজন আবেদনকারী টাকা না দেওয়ায় পাসপোর্ট পাননি। এরপর ওই আবেদনকারী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে গত ২৫ জানুয়ারি দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সূত্র জানায়, শুধু মাল্টিপল পাসপোর্টই নয়, সেলিনা বানু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারীদের নো ভিসা রিকোয়ার্ড (এনভিআর) সিল দেওয়ার জন্যও টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ কাজের জন্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাদিরা আক্তারকে ভিসা শাখার দায়িত্বে রেখেছেন। এই কর্মকর্তা সেলিনা বানুর অনুগত হওয়ায় তাকে পার্সোনালাইজেশন সেন্টার থেকে ভিসা শাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংযুক্ত করে রেখেছেন। প্রতিটি পাসপোর্টের এনভিআর দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা করে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো বিদেশি পাসপোর্টধারী দেশে এসে নো ভিসা রিকোয়ার্ডের আবেদন করলে তার আর বাংলাদেশে আসতে কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না।

ওই সূত্রটি জানায়, এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে দেশে বসবাসকারী বিদেশিদেরও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টাকার বিনিময়ে ভিসা এক্সটেনশন বা মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে আফ্রিকার নাগরিকরা টাকার বিনিময়ে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেশে মাদক কারবারসহ না অনিয়ম করছে।

মাল্টিপল পাসপোর্ট ইস্যু করে সাড়ে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে এডিজি সেলিনা বানুর দপ্তরে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়; কিন্তু তিনি সময় দেননি। পরে তাকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে অভিযোগের বিষয়ে টেলিফোনে তার বক্তব্য চাওয়া হয়। তবে তিনি গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানানো হলে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও আমি তো বক্তব্য দিতে পারব না, আমি তো পত্রিকায় বক্তব্য দিতে পারি না।’

বেনামি চিঠিতে গুরুতর তথ্য সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে:

এদিকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ তুলেছেন, সেলিনা বানুর অপকর্ম নিয়ে কথা বললেই তাদের ওপর খড়্গ নেমে আসে। এ জন্য মুখ না খুলে আতঙ্কিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্প্রতি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও দেশের প্রায় সব পাসপোর্ট অফিসে বেনামি চিঠি দিয়ে এই কর্মকর্তার দৌরাত্ম্য থেকে নিস্তার চেয়েছেন। এসব চিঠিতে সেলিনা বানুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সেলিনা বানু পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ৩০ বছর ধরে চাকরি করলেও তিনি ৬৪ জেলার কোথাও বদলি হননি। একবার অনিয়মের কারণে তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও বেশি দিন থাকতে হয়নি। তার স্বামী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ কে এম মাসুদুল হক রিজভী জামায়াতের পদধারী। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কামারুজ্জামান তাদের স্বজন। শুধু তাই নয়, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন এই দম্পতি।

চিঠিতে বলা হয়, এডিজি সেলিনা বানুর বাড়ি জামালপুরে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরে রেলে নাশকতার ঘটনায় তার স্বজনরাও জড়িত।

ওই চিঠির সূত্র ধরে সেলিনা বানুর গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার পরিবারের কেউ সরকার সমর্থক নয়। তার স্বামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার পরিচিত কয়েক শিক্ষক এবং সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের একাধিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক মাসুদুর রহমান কখনো স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলয়ে ছিলেন না। তবে প্রকাশ্যে তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায় না।

সেলিনা বানু আতঙ্কে পুরো পাসপোর্ট অধিদপ্তর:

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত দুই বছরে এডিজি সেলিনা বানু আইফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে কর্মকর্তাদের কয়েকটি প্রাইজ পোস্টিং দেন। তার আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে না পারলে দেশের প্রত্যন্ত জেলাগুলোতে বদলি হতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। দেওয়া হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদ। কয়েক বছর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে তার ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়েছে ময়মনসিংহসহ ওই এলাকার বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। বিভিন্ন সময়েই কর্মকর্তাদের উপঢৌকন দিতে হয়। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তার অনুগত করতে সামান্য ভুলেও বিভাগীয় মামলা, নানা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার ভয় দেখানোসহ নানাভাবে হুমকি দেন। উড়ো চিঠিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব অনিয়ম থেকে রক্ষা পেতে আবেদন জানিয়েছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সেলিনা বানুর নানা অনিয়ম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে মুখে। তবে কেউ গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন না। সবাই নাম প্রকাশ না করে তার অপকর্ম তুলে ধরেন।

সরকার সমর্থক না হয়েও সেলিনা বানু এত প্রভাবশালী কীভাবে? সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা সব সময়েই কৌশলে চলেন। যখন যে মহাপরিচালক দায়িত্বে আসেন, তিনি কৌশলে তার লোক হয়ে যান। নিজেকে সৎ কর্মকর্তা হিসেবে প্রচার চালায় তার অধিনস্তরা। তা ছাড়া মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগেও কিছু কর্মকর্তাকে নানাভাবে ম্যানেজ করে তিনি পুরো অধিদপ্তরই নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা অনিয়ম করে চলেছেন।


আরও খবর



১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।


আরও খবর



প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সারা আলি খানের লন্ডন ভ্রমণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় দুই নায়িকা তারা। অভিনেত্রী হিসেবে রুপালি পর্দায় পা রেখেছেন মোটামুটি একই সময়ে। জনপ্রিয়তার নিরিখেও কেউই কারও থেকে কম নয়। তবে বলিউডে সাফল্য অর্জন করার ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে রেষারেষির রাস্তায় হাঁটতে চান না তারা। কারণ, তারা নাকি একে অপরের খুব ভালো বন্ধু! বলা হচ্ছে সারা আলি খান ও জাহ্নবী কাপুরের কথা।

বলিউডের দুই আলোচিত পরিবারের সন্তান তারা। এবার একই পরিবারের দুই ছেলের সঙ্গে প্রেম করছেন তারা। জাহ্নবী ও শিখর পাহাড়িয়ার প্রেমের চর্চা এখন সর্বজনবিদিত। প্রেমিকের নামাঙ্কিত হার গালায় পরে ঘুরেছেন আজকাল। এবার শিখরের ছোট ভাই বীরের সঙ্গে লন্ডনে সারা!

বীর পাহাড়িয়া হলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর নাতি এবং ব্যবসায়ী সঞ্জয় পাহাড়িয়ার ছেলে। খুব শিগগিরই বড় পর্দায় অভিষেক ঘটবে তার, এমনটাই গুঞ্জন শোনা যায়।

এদিকে পর্দায় পা দেওয়ার পর সুশান্ত সিং রাজপুত থেকে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে সারার প্রেমের খবর নিয়ে কম চর্চা হয়নি। আবার কার্তিকের সঙ্গে এক সময় জাহ্নবীরও সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে, বীরের সঙ্গে সারার ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়।

২০২০ সালে সারা একপ্রকার স্বীকার করেই নিয়েছিলেন যে, তিনি বীর পাহাড়িয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন। এমনকি, কফি উইথ করণ শোয়ে এসেও সে ব্যপারে উল্লেখ করেন। যদিও মাঝে শোনা গিয়েছিল, তারা আলাদা হয়ে গিয়েছেন। তবে, সম্প্রতি বীরের সঙ্গে সারার লন্ডন ভ্রমণের ছবি দেখে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।


আরও খবর



হোয়াইটওয়াশের মিশনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম চার ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ পঞ্চম ম্যাচ এবং এই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশন। নাজমুল হোসেন শান্তর দল পারবে কি হোয়াইটওয়াশের জন্ম দিতে!

তার আগে আজ সকালে টস করতে নেমে হারতে হয়েছে নাজমুল হোসনে শান্তকে। টস জিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দারুণ বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। ৯ রানের মধ্যে হারিয়েছে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকারকে। ৫ বলে ২ রান করেন তামিম। তিনি আউট হন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। এবং ৭ বলে ৭ রান করে ব্রায়ান বেনেতের বলে আউট হন সৌম্য সরকার।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫। ৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ১ রানে ব্যাট করছেন তাওহিদ হৃদয়।

বাংলাদেশ একাদশে ৩টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের ম্যাচ থেকে নেই তাসকিন আহমেদ, তানভির ইসলাম ও তানজিম সাকিব। দলে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহদি। একাদশে পেসার ২ জন, মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন। তিন স্পিনার- সাকিব, রিশাদ ও শেখ মেহদি।

বাংলাদেশ একাদশ

সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহদি হাসান।


আরও খবর