আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চীন ছাড়ছে পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত এয়ারবিএনবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চীনের জিরো-কোভিড পলিসির আওতায় লকডাউন ও বিধিনিষেধ এখন জারি থাকায় দেশটি থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্য গুটিয়ে নিচ্ছে পর্যটকদের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী অনলাইনভিত্তিক কোম্পানি এয়ারবিএনবি। সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, সান ফ্রান্সিকোভিত্তিক কোম্পানিটির ওয়েবসাইট থেকে দেশটির বাড়িঘরের ছবিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি গ্রীষ্মের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হবে।

গত কয়েক বছরে চীনের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে এয়ারবিএনবির আয়ের মাত্র ১ শতাংশ এসেছে। তবে এটি এখনও বেইজিংয়ে অফিস চালু রাখবে। ভবিষ্যতে বিধিনিষেধ শিথিল হলে বহির্মুখী পর্যটনের উন্নতি হওয়ার আশা করছে তারা। এয়ারবিএনবি ২০১৬ সালে চীনে তার কার্যক্রম শুরু করেছিল এবং তখন থেকে আড়াই কোটি মানুষ বাড়ি ভাড়ার জন্য বুকিং করে এতে। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে, চীন বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কোভিড বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, যা দেশের মধ্যে এবং আশেপাশে ভ্রমণ বাণিজ্যকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে। সংস্থাটি এই সিদ্ধান্তের বদলে অন্যান্য গন্তব্যে বিদেশে ভ্রমণকারী চীনা বাসিন্দাদের দিকে মনোনিবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, মহামারির আগে বিদেশগামী চীনা ভ্রমণকারীর সংখ্যা এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে তিনগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৫ কোটি।

এয়ারবিএনবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রায়ান চেস্কি জানান, এমনিতেই চীনের ব্যবসা-বাণিজ্য বহির্মুখী এবং অনেকেই চীন ভ্রমণের পর এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ঘুরতে যান। মে মাসের শুরুতে নিউইয়র্কে একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে চেস্কি বলেছিলেন যে তিনি আশা করেন এশিয়া অঞ্চলে ২০২৩ সালের দিকে ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন কোম্পানি এয়ারবিএনবি অনলাইনে মার্কেটপ্লেস পরিচালনা করে থাকে। তাদের মাধ্যমে পর্যটকরা বিভিন্ন পছন্দের জায়গায় ছুটি কাটানোর জন্য আবাসন ও অন্যান্য পর্যটন সুবিধা নিতে পারেন। ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো এআরবিএনবির নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা নেই। বরং প্রতিটি বুকিং সংরক্ষণ থেকে তারা কমিশন পেয়ে মুনাফা আয় করে।

নিউজ ট্যাগ: এয়ারবিএনবি

আরও খবর



আজকের রাশিফল: শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজ নতুন কী ঘটতে চলেছে? আজ কি আপনার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করে আছে? কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা? নাকি খারাপ কিছুর অপেক্ষা করে আছে আপনার ভাগ্যে। বিখ্যাত জ্যোতিষীর দ্বারা বিশ্লেষণের পর আজকের দিন নিয়ে ভবিষ্যত গণনা জানুন আপনার আজকের রাশিফলে।

মেষ : বন্ধু বা আত্মীয়কে ঋণ দিতে পারেন। অন্যকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে আপনার দিনের প্রথম ভাগটি কাটবে। কঠিন সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। বড়দের পরামর্শ নেওয়া ভাল। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কারোর থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।

বৃষ : দিনের শুরুতেই চাকরি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের সাথে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ। প্রেমের দিক থেকেও দিনটি ভাল। ঘরে সুখ ও শান্তির পরিবেশ। সারাদিনে মিশ্র ফললাভ।

মিথুন : আজ অন্যের অনুভূতি বুঝে কাজ করলে ভাল হবে এবং মনে সন্তোষ থাকবে। মাঝে মাঝে অন্যের মতে চললে কোন ক্ষতি নেই। অফিসে দলগত প্রচেষ্টায় কঠিন সমস্যার সমাধান।

কর্কট : আজ নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ থাকবে। এগুলি চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করা আপনার দায়িত্ব। এছাড়াও যে সুযোগগুলি বার বার আসছে সেগুলো নিয়েও ভাবুন। চাকরি নিয়ে চাপ নেওয়ার দরকার নেই। বন্ধুদের সাথে দিনটি আনন্দে কাটান।

সিংহ : আজকের দিনটি পূর্ণ আনন্দে কাটবে। বিতর্কে জয়লাভ। ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কারও সাথে পরামর্শ করার দরকার হতে পারে। প্রতিটি নতুন কাজের আইনি সমস্যা গুলি অতিক্রম করা আপনার পক্ষে সহজ হবে।

কন্যা : আজকে আপনাকে অনেক বেশি দায়িত্ব বহন করতে হবে। বাড়ির পুরানো আটকে থাকা কাজ শেষ করার সুযোগ পাবেন। দিনের দ্বিতীয় ভাগে প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা করতে পারেন। ব্যবসায় কোনও ধরণের ঝুঁকি নেবেন না।

তুলা : আজ পুরানো বকেয়া মেটাতে পারেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কিনতে হতে পারে। পকেটের বিশেষ যত্ন নিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন না। ব্যবসায় বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে নেওয়া পরামর্শ কার্যকর হতে পারে।

বৃশ্চিক : সারাদিন খুব ব্যস্ত থাকবেন। দিনের প্রথমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফোন কল এবং ইমেলের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। কোনও পুরানো বন্ধুর সাথে হঠাৎ দেখা হতে পারে। সে যদি আপনার থেকে ধার চায় তবে সঞ্চয়ের কথা ভেবে তারপর ধার দিন।

ধনু : অফিসে নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন। সৃজনশীল কাজেও আগ্রহ বাড়বে। সন্ধ্যায় জিনিসপত্র ক্রয়। বাড়ির প্রবীণদের সাথে তর্ক না করাই ভাল। তাদের মতামত শুনুন, পরে তা কার্যকরী হতে পারে।

মকর : আজ নতুন কোনো পরিকল্পনাকে কেন্দ্র আপনার নতুন শক্তির উন্মেষ হবে। প্রেম সম্পর্কে খুব উত্তেজিত থাকবেন। মনের কথা বলার এটি সেরা সময়। অফিসে পদোন্নতি বা বেতন বাড়ার সম্ভাবনা। আপনার প্রত্যাশার উপর নজর রাখুন।

কুম্ভ : সকালের দিকে স্বল্প ধনপ্রাপ্তি। তবে কোন কাজই ছোট বা বড় নয়। একবার কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলেই দুনিয়া আপনার হাতের মুঠোয় আসবে। আজকের সন্ধ্যা পরিবারের সাথে আনন্দে কাটবে।

মীন : আজ আপনি নিজের কাজ উপভোগ করবেন। প্রতিপক্ষের সমালোচনার দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান। সাফল্য একদিন আপনার পদতলে হবেই। আপনার সামাজিক পরিচিতি বাড়াতে সক্ষম হবেন। সাথে সম্মানও বাড়বে। আটকে থাকা কাজগুলোও যদি চেষ্টা করেন তবে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



যমুনায় নানীর সাথে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিনহাজ উদ্দিন (১০) ও মিনাল মিয়া (৮) নামে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের দুর্গম চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারা উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে। এর আগে ঈদের দুইদিন আগে বাবা-মার সাথে তারা নানা দুদু সরকারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় ওই দুই শিশু। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তাদের মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠে।

সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ আলম মন্ডল জানান, তাদের নানা খুবই দরিদ্র। নদীতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দুপুরে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর